আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের এখতিয়ার চ্যালেঞ্জের বিষয়ে আদেশ বুধবার

বাসস
প্রকাশ: ২০ জানুয়ারি ২০২৫, ১৯:৪৮ আপডেট: : ২০ জানুয়ারি ২০২৫, ২০:৪৪
ফাইল ছবি

ঢাকা, ২০ জানুয়ারি, ২০২৫ (বাসস) : জুলাই-আগস্টে সংঘটিত গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের এখতিয়ার চ্যালেঞ্জের আবেদনের বিষয়ে আদেশ আগামী বুধবার।

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেল আদেশের জন্য আজ এই দিন ধার্য করেন।

মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে গ্রেফতার সাবেক সেনা কর্মকর্তা ও ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টারের (এনটিএমসি) সাবেক মহাপরিচালক জিয়াউল আহসানের পক্ষ থেকে আবেদনটি করা হয়েছে।

আদালতে জিয়াউল আহসানের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এম আই ফারুকী ও অ্যাডভোকেট নাজনীন নাহার। আর প্রসিকিউশন পক্ষে শুনানি করেন চিফ প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম।

আদেশের পর চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, ট্রাইব্যুনালের এখতিয়ার ও ট্র্যাইব্যুনাল আইন সংশোধন করে জারি করা অধ্যাদেশ চ্যালেঞ্জ করেছেন।

আমরা বলেছি, এটা করলে সাংবিধানিক আদালত তথা হাইকোর্টে করতে হবে। এটা আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল তথা এই ফৌজদারি কোর্টে চ্যালেঞ্জ করার সুযোগ নেই। এছাড়া তারা বর্তমান সরকারের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করেছেন সেক্ষেত্রেও আমরা বলেছি এটি এখানে চ্যালেঞ্জ করার সুযোগ নেই। এছাড়া আমরা বলেছি যুদ্ধাপরাধ বা মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ যার বিরুদ্ধে থাকবে তার কোন মৌলিক অধিকার থাকবে না এবং তার বিচারের জন্য করা কোন আইন যদি সংবিধানের কোন অনুচ্ছেদের সঙ্গে অসামঞ্জস্যপূর্ণও হয় সেটা চ্যালেঞ্জ করা যাবে না। সাংবিধানিকভাবে এক্ষেত্রে সুরক্ষা দেয়া আছে। এছাড়া ট্রাইব্যুনালের সংশোধিত আইনে গুমের বিষয়টি যুক্ত করা হয়েছে যেটি তারা চ্যালেঞ্জ করেছে। 

আমরা দেখিয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইনে এটি বিচারের সুযোগ আছে, সেটি আগে বা পরে যখনই হোক না কেন। সর্বোপরি মিডিয়ার দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্য ট্রাইব্যুনালের এখতিয়ার চ্যালেঞ্জ করে আসামির খালাস চেয়ে তারা আবেদন করেছিলেন। আমরা সে আবেদন সরাসরি খারিজের পাশাপাশি এ ধরনের আবেদন করায় তাদের (কস্ট) জরিমানা করার আবেদন জানাই। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল উভয় পক্ষকে শুনে আগামী বুধবার এ বিষয়ে আদেশের দিন ধার্য করেছেন।

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ৫ আগস্ট পদত্যাগ করে দেশত্যাগ করেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। এর মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে টানা প্রায় ১৬ বছরের শাসনের অবসান হয়।

গত জুলাই-আগস্টে গড়ে ওঠা ছাত্র-জনতার আন্দোলন নির্মূলে আওয়ামী লীগ সরকার, দলীয় ক্যাডার ও সরকারের অনুগত প্রশাসন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একটি অংশ গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধ সংগঠিত করে। জাজ্বল্যমান এ অপরাধের বিচার অনুষ্ঠিত হচ্ছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
গাছি ও চাষি সংকটে পটুয়াখালীর খেজুর রসের ঐতিহ্য হারানোর শঙ্কা
সারাদেশে রাত ও দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে
মুক্তিযোদ্ধাদের স্বপ্নের শোষণমুক্ত ও কল্যাণমূলক রাষ্ট্র গড়তে সরকার অঙ্গীকারবদ্ধ: প্রধান উপদেষ্টা
ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ৫.৭ মাত্রার ভূমিকম্প 
বিএনপি ও দলটির অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের ৫৬ নেতার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার
সশস্ত্র বাহিনীর বীর শহীদদের প্রতি প্রধান উপদেষ্টার শ্রদ্ধা
৪৭তম বিসিএস লিখিত পরীক্ষার সময়সূচি পরিবর্তনের দাবিতে ছাত্রশিবিরের স্মারকলিপি প্রদান
সৌদি আরবে অপহরণ, দেশে মুক্তিপণ আদায় চক্রের সদস্য গ্রেফতার
কমোডিটি এক্সচেঞ্জ চালু করতে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত
রাজধানীতে পুলিশের বিশেষ অভিযানে গ্রেফতার ১১
১০