
খুলনা, ১২ নভেম্বর, ২০২৫ (বাসস) : জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের খুলনা বিভাগের আওতাধীন ১০টি টিম বিভিন্ন জেলায় অভিযান পরিচালনা করে ২০ প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে ২ লাখ ১৫ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেছে।
অভিযানকালে গ্যাস, ঔষধ, ডায়াগনস্টিক সেন্টার, নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য, চাল, ভোজ্য তেল, আলু, দেশি পেয়াজ, সবজি, মুরগির বাজার ও ডিমের বাজার দর ও ক্রয় ভাউচার যাচাই করা হয়। এসময় সব ব্যবসায়ীকে সরকার নির্ধারিত মূল্যে পণ্য বিক্রির নির্দেশনা দেয়া হয়।
ভোক্তা অধিকারের খুলনা বিভাগীয় কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ সেলিমের নেতৃত্বে খুলনা মহানগরীর সদর থানা মোড় এলাকায় অভিযান চালিয়ে সাতক্ষীরা ঘোষ ডেইরিকে পণ্যের মোড়ক যথাযথ ব্যবহার না করার অপরাধে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
খুলনা বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক প্রণব কুমার প্রামাণিকের নেতৃত্বে খুলনা মহানগরীর সদর থানা মোড় এলাকায় অভিযান চালিয়ে পণ্যের মোড়ক যথাযথ ব্যবহার না করার অপরাধে যশোর শান ঘরকে ২ হাজার টাকা এবং কার্ড সেন্টারকে ৩ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
খুলনা জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক ওয়ালিদ বিন হাবিবের নেতৃত্বে খুলনা মহানগরীর সদর থানার আহসান আহমেদ রোড ও সাত রাস্তা মোড় এলাকায় অভিযান চালিয়ে অবৈধ প্রক্রিয়ায় খাদ্য উৎপাদন করার অপরাধে দুলাভাই হোটেলকে ১০ হাজার টাকা এবং মাহফুজ হোটেলকে ২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
মাগুরা জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. সজল আহম্মেদের নেতৃত্বে মুহাম্মদপুর উপজেলার বিনোদপুর, বড়রিয়া ও যশোবন্তপুর বাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে ভেজাল পণ্য বিক্রয় করার অপরাধে মেসার্স বিসমিল্লাহ ট্রেডার্সকে ২০ হাজার টাকা, মেসার্স জাফর স্টোরকে ১ হাজার টাকা এবং মেসার্স রাজ ট্রেডার্সকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
সাতক্ষীরা জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. মেহেদী হাসান তানভীরের নেতৃত্বে সদর উপজেলার ইটাগাছা বাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে ভাই ভাই স্টোরকে মেয়াদ উত্তীর্ণ পণ্য সংরক্ষণ ও বিক্রির অপরাধে ৮ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়৷
কুষ্টিয়া জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. মাসুম আলীর নেতৃত্বে সদর উপজেলার পৌর বাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে ভেজাল পণ্য বিক্রির অপরাধে পাতু মাছের দোকানকে ২ হাজার টাকা, রাজু মাছের দোকানকে ২ হাজার টাকা, মনোয়ার মাছের দোকানকে ২ হাজার টাকা, মেসার্স মুকুল মৎস্য ভান্ডারকে ৫০ হাজার টাকা এবং মেসার্স খোরশেদ হোসেন মৎস্য ভান্ডারকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
যশোর জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. সেলিমুজ্জামানের নেতৃত্বে সদর উপজেলার চুয়াডাঙ্গা বাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে ইলিয়াস স্টোরকে মূল্য তালিকা প্রদর্শন না করার অপরাধে ২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
ঝিনাইদহ জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক নিশাত মেহেরের নেতৃত্বে কোটচাঁদপুর উপজেলার কোটচাদপুর বাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে হাবিব ট্রেডার্সকে পণ্যের মোড়ক যথাযথ ব্যবহার না করার অপরাধে ৩ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
চুয়াডাঙ্গা জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ মামুনুল হাসানের নেতৃত্বে সদর উপজেলার সদর বাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে মেসার্স বেঙ্গল গ্যাসকে যথাযথ পণ্য সরবরাহ না করার অপরাধে ৩০ হাজার টাকা এবং মেসার্স মিঠু স্টোরকে পণ্যের মোড়ক যথাযথ ব্যবহার না করার অপরাধে ২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
বাগেরহাট জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক শরিফা সুলতানার নেতৃত্বে সদর উপজেলার পালের হাট বাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে মেয়াদোত্তীর্ণ ঔষধ সংরক্ষণ ও বিক্রির অপরাধে সৌরভ ফার্মেসিকে ৫ হাজার টাকা এবং জননী ফার্মেসিকে ১ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
ভোক্তা অধিকারের খুলনা বিভাগীয় কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ সেলিম বাসসকে বলেন, তদারকিকালে সরকার নির্ধারিত মূল্যে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য বিক্রির জন্য ব্যবসায়ীদের সতর্ক করা হয়। কেউ সরকার নির্ধারিত মূল্যের থেকে বেশি মূল্য নিলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে তিনি সতর্ক করেন।
অভিযান চলাকালে ব্যবসায়ীদের সচেতন করার পাশাপাশি বাধ্যতামূলকভাবে মূল্য তালিকা দৃশ্যমান স্থানে প্রদর্শন ও ক্রয়-বিক্রয় ভাউচার সংরক্ষণ এবং নির্ধারিত মূল্যে পণ্য বিক্রি করার নির্দেশনা দেয়া হয়। জনস্বার্থে এ অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে তিনি জানান।