ভয়াল ১২ই নভেম্বর পালনে ভোলায় আলোচনা সভা 

বাসস
প্রকাশ: ১২ নভেম্বর ২০২৫, ১৮:৩১
ছবি : বাসস

ভোলা, ১২ নভেম্বর, ২০২৫ (বাসস): ১৯৭০ সালের ১২ই নভেম্বর প্রলয়ঙ্কারী ঘূর্ণিঝড় “গোর্কি” পালন উপলক্ষে শোভাযাত্রা, স্মরণসভা ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

আজ বুধবার সকালে উপকূল ফাউন্ডেশন, ব-দ্বীপ ফোরাম, জাগরণ ফাউন্ডেশন, যুব রেড ক্রিসেন্টসহ বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের আয়োজনে ভোলা প্রেসক্লাবে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

এ সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন, ভোলা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও বিএনপি মনোনীত প্রার্থী গোলাম নবী আলমগীর।

বিশেষ অতিথি ছিলেন, দৈনিক আজকের ভোলা সম্পাদক মুহাম্মদ শওকাত হোসেন, জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক হুমায়ুন কবির সোপান, যুগ্ম আহ্বায়ক এনামুল হক, ভোলা সদর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আসিফ আলতাফ, ভোলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও ভোলা প্রেসক্লাবের আহ্বায়ক এ্যাড. আমিরুল ইসলাম বাছেত, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সভাপতি জামিল হোসেন ওয়াদুদ।

ব-দ্বীপ ফোরামের প্রধান সমন্বয়কারী মীর মোশারেফ অমির সভাপতিত্বে এবং উপকূল ফাউন্ডেশনের সদস্য সচিব মো. আনোয়ার হোসেনের সঞ্চালনায় এতে বক্তব্য দেন, সাবেক প্রধান শিক্ষক মুহাম্মদ আবু তাহের, দুদকের পিপি সাংবাদিক অ্যাডভোকেট সাহাদাত শাহিন, বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী স্কুলের প্রধান শিক্ষক জহিরুল ইসলাম, দৈনিক আজকের পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি শিমূল চৌধুরী, ক্যাব ভোলার সভাপতি মো. সোলাইমান, কবি ডা. মো. মহিউদ্দিন, উপকূল ফাউন্ডেশনের আহ্বায়ক এম শাহরিয়ার ঝিলন, ব-দ্বীপ ফোরামের সদস্য ইয়াছিন আরাফাত, উপকূল ফাউন্ডেশনের সমন্বয়ক এ্যাড. ইয়ামিন হোসেন, জাগরণ ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক মো. সুমন, যুব রেডক্রিসেন্ট এর সদস্য মো. শান্ত প্রমুখ।  

সভায় পবিত্র কুরআন তেলাওয়াত করেন, যুব শক্তি ফাউন্ডেশনের সদস্য মো. শাকিব এবং ইসলামী সংগীত পরিচালনা করেন মো. আবদুর রহমান।

আলোচনা শেষে প্রেসক্লাবের সামনে থেকে একটি র‌্যালি বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। 

সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে গোলাম নবী আলমগীর ঘূর্ণিঝড় গোর্কির ভয়াবহতা তুলে ধরে বলেন, "১৯৭০ সালের এই দিনে ঘূর্ণিঝড় গোর্কি আমাদের উপকূলীয় অঞ্চলের মানুষের জীবনে এক চরম আঘাত হেনেছিল। আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকেও এই ইতিহাস জানাতে হবে, যাতে তারা প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলায় সচেতন হতে পারে।" 

এসময় অন্যান্য বক্তারা বলেন, এই ভয়াল ঘূর্ণিঝড়ে দক্ষিণাঞ্চলের ১০ লাখেরও মানুষ মারা গেছে। প্রায় ৪ লাখেরও বেশি ঘর-বাড়ি ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়েছিল এবং ৩৬ লাখেরও বেশি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। শুধু ভোলা জেলাতেই আনুমানিক ৫ লাখ মানুষ প্রাণ হারিয়েছিল। ঘটনার ৫৫ বছর পরেও সেই দুঃসহ স্মৃতি দক্ষিণ জনপদের মানুষের মন থেকে মুছে যায়নি। 

দিনটি স্মরণে নিহতদের রুহের মাগফিরাত কামনা করা হয় এবং ভবিষ্যতের প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলায় গুরুত্বারোপ করা হয়।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
গ্যাস অনুসন্ধানে ১০০ নতুন কূপ খনন কার্যক্রম জোরদার করেছে পেট্রোবাংলা
বিএমইউতে সেবার মানোন্নয়ন, রোগীর যত্ন ও হাসপাতাল শিষ্টাচার বিষয়ক প্রশিক্ষণ কর্মশালা 
আপিল বিভাগের আইনজীবী হিসেবে অনুমোদন পেলেন ১৫৩ জন
হাসিনার গণমাধ্যমে প্রবেশাধিকার নিয়ে ঢাকায় ভারতীয় রাষ্ট্রদূত তলব
অগ্নিসংযোগকারীদের দমন করতে দেশব্যাপী পুলিশের অভিযান জোরদার 
জরিমানার কবলে রানা
সিএমএসএমই খাতে ২৫ হাজার কোটি টাকার প্রকল্পের মেয়াদ বাড়লো 
প্রথমবারের মতো প্রবাসীদের ভোটাধিকার দেশের ইতিহাসে মাইলস্টোন: ইসি সানাউল্লাহ
আওয়ামী লীগের নাশকতা প্রতিরোধে বৃহস্পতিবার দেশব্যাপী অবস্থান কর্মসূচি পালন করবে ৮ দল
লিবিয়ায় নৌকাডুবিতে ৪২ জনের মৃত্যুর শঙ্কা
১০