
রাঙ্গামাটি, ২৫ নভেম্বর, ২০২৫ (বাসস) : ঢাকায় নিযুক্ত অস্ট্রেলিয়ার ডেপুটি হাই কমিশনার ক্লিনটন পবকে’র নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল রাঙ্গামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (রাবিপ্রবি) পরিদর্শন করেছে।
এ সময় তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো. আতিয়ার রহমানের কার্যালয়ে সৌজন্য সাক্ষাৎ, মতবিনিময় সভা এবং ক্যাম্পাস পরিদর্শন করেন।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

প্রতিনিধিদলের অন্যান্য সদস্যরা হলেন- ফার্স্ট সেক্রেটারি (ডেভেলপমেন্ট কো-অপারেশন) সাঈদ হায়দার, প্রোগ্রাম ম্যানেজার ইমাম নাহিল, অস্ট্রেলিয়া অ্যাওয়ার্ডস বাংলাদেশ-এর কান্ট্রি প্রোগ্রাম ম্যানেজার কাঞ্চন খীসা এবং প্রোগ্রাম অফিসার হৃদিতা দেওয়ান।
ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. আতিয়ার রহমান অতিথিদের ফুল দিয়ে স্বাগত জানান। পরে একটি মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় ভাইস-চ্যান্সেলর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠার ইতিহাস, দীর্ঘদিনের অবকাঠামোগত চ্যালেঞ্জ, সাম্প্রতিক উন্নয়ন, একাডেমিক অগ্রগতি, গবেষণায় বরাদ্দ অর্থ এবং শিক্ষার্থীদের সাংস্কৃতিক ও সেবামূলক কার্যক্রমের বিষয় তুলে ধরেন। তিনি প্রক্রিয়াধীন গবেষণা ও ইনোভেশন সেন্টার, ট্যুরিজম হাব নির্মাণ, কাপ্তাই লেককেন্দ্রিক দীর্ঘমেয়াদি গবেষণা এবং এ অঞ্চলের প্রাকৃতিক সম্পদ-সম্ভাবনা নিয়ে পরিকল্পনার বিবরণ দেন।
তিনি অস্ট্রেলিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সঙ্গে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের যৌথ গবেষণা, এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রাম এবং প্রশিক্ষণভিত্তিক স্বল্পমেয়াদি কোর্স চালুর বিষয়ে সহযোগিতা কামনা করেন।
ফিশারিজ অ্যান্ড মেরিন রিসোর্সেস টেকনোলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক এবং ভারপ্রাপ্ত পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ড. মো. মিজানুর রহমান অস্ট্রেলিয়ায় ভিজিটিং রিসার্চার হিসেবে অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন এবং যৌথ গবেষণা প্রকল্পে অস্ট্রেলিয়ার সহযোগিতা বৃদ্ধির আহ্বান জানান।
অন্য শিক্ষকরা জলবায়ু পরিবর্তন, টেকসই উন্নয়ন, রিসার্চ ও প্রোডাক্ট ইনোভেশন, স্থানীয় অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং আঞ্চলিক উন্নয়নমুখী প্রকল্পে অর্থায়নের গুরুত্ব তুলে ধরেন। আরআইএমসি’র ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ড. আবদুল্লাহ আল মামুন চীনে অস্ট্রেলিয়ার যৌথ গবেষণা প্রকল্প পরিচালনার উদাহরণ তুলে ধরে রাবিপ্রবিতে অনুরূপ উদ্যোগে সহযোগিতা কামনা করেন।

ডেপুটি হাই কমিশনার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের আতিথেয়তা ও আন্তরিকতার জন্য ধন্যবাদ জানান। তিনি পাহাড়-ঘেরা ক্যাম্পাস, কাপ্তাই লেক ও সামগ্রিক পরিবেশের প্রশংসা করেন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেন। এছাড়া কৃষিভিত্তিক গবেষণা, জলবায়ু পরিবর্তন, ট্যুরিজম ও কাপ্তাই লেককে কেন্দ্র করে আন্তর্জাতিক মানের গবেষণা প্রকল্পে সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
প্রতিনিধিদল শিক্ষার্থীদের জন্য আইটি প্রশিক্ষণ, বিদেশি ভাষা শিক্ষা, ভোকেশনাল কোর্স, কৃষি ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক গবেষণা এবং সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সংরক্ষণে যৌথ গবেষণার গুরুত্ব তুলে ধরেন। বিদেশি গবেষকদের জন্য ভ্রমণ নীতি সহজ করার বিষয়ে প্রশাসনিক সহযোগিতার অনুরোধও করা হয়।
মতবিনিময় সভা শেষে প্রতিনিধিদল ক্যাম্পাস পরিদর্শন করেন। ক্লিনটন পবকে বিশ্ববিদ্যালয়ের অবকাঠামোগত উন্নয়ন, একাডেমিক পরিবেশ এবং ক্যাম্পাসের সৌন্দর্য দেখে মুগ্ধ হন।
এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ জুনাইদ কবির, বিজ্ঞান অনুষদের ডীন ড. মুহাম্মদ জামশেদ আলম পাটোয়ারী, ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ডীন ড. মুহাম্মদ রহিম উদ্দিন, বিভিন্ন বিভাগের চেয়ারম্যান ও অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।