শিরোনাম
ঢাকা, ৮ জানুয়ারি, ২০২৩ (বাসস) : 'কক্সবাজারের সামুদ্রিক শুকনো মাছের উৎপাদন ও বাজারজাতকরণের ওপর বিশ্লেষণ এবং নীল অর্থনীতি অর্জনে সম্ভাবনা এবং চ্যালেঞ্জ' শীর্ষক এক ওয়েবিনারে বক্তারা বলেছেন, বাংলাদেশে বিকাশমান সমুদ্র অর্থনীতির সফলতা নির্ভর করছে এ খাতে সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণের ওপর।
তারা কৌশলগত পরিকল্পনা প্রনয়ণ ও সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বের ওপর জোর দিয়ে স্বাস্থ্যসম্মত সামুদ্রিকখাদ্য, শুকনো মাছ উৎপাদন, আন্তঃদেশীয় ও বৈদেশিক বিপণনের ক্ষেত্রে সকল বাধা ও প্রতিবন্ধকতা দূর করার আহ্বান জানান।
কানাডা প্রবাসী লেখক, গবেষক ও সাংবাদিক, বাংলাদেশ নর্থ আমেরিকান জার্নালিস্টস নেটওয়ার্ক’র সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা দেলোয়ার জাহিদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কক্সবাজার চেম্বার অব কমার্স এর সভাপতি আবু মোর্শেদ চৌধুরী। অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক প্রফেসর ড. আব্দুল জলিল চৌধুরী। প্রধান আলোচক ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ফিশারিজ অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. এস.এম. রফিকুজ্জামান। বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন একাডেমি (বার্ড) এর সাবেক পরিচালক অধ্যাপক ড. এস. জে আনোয়ার জাহিদ. প্রশিকার প্রোগ্রাম পরিচালক সাঈদ হাসান, উন্নয়ণ কনসালটেন্ট বাবু অশোক সরকার, আবেদ আহসান সাগর, মাহবুব উল আলম, খায়রুল আহসান মানিক, কৃষিবিদ মোয়াজ্জেম হোসাইন, নজরুল ইসলাম বাবুল, শামসুল হাবিব, শিরিন ফেরদৌসি, নাজমা রেশমী, ইভানা হোসাইন ও এসরার জাহিদ।
কক্সবাজার চেম্বার অব কমার্স এর সভাপতি আবু মোর্শেদ চৌধুরী বলেন, সমূদ্র অর্থনীতির সদ্ব্যবহার বাংলাদেশকে উন্নতির শিখরে নিয়ে যেতে পারে যদি আমরা এ খাতে প্রথাগত পদ্ধতির পরিবর্তে আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার নিশ্চিত করতে পারি ।
মূল প্রবন্ধে প্রফেসর ড. আব্দুল জলিল চৌধুরী বলেন, কক্সবাজারে মার্কেট ভ্যালু চেইন এর উপর গবেষণা ও প্রশিক্ষণ দান বিষয়ে মাঠ পর্যায়ে কাজ করে এর সুফলতা আসতে শুরু করেছে। সাসটেইনেবল ব্লু-ইকোনমির জন্য পরিবেশগত অবক্ষয় এবং সমুদ্রের পানির দূষণ কমাতে প্রয়োজনীয় নীতিনির্ধারণের ওপর বাংলাদেশের উদ্যোগ গ্রহণ করা উচিত।
প্রধান আলোচক প্রফেসর ড. এস.এম. রফিকুজ্জামান বলেন, কক্সবাজার জেলার সামুদ্রিক খাদ্য ও শুকনো মাছের স্বাস্থ্যসম্মত উৎপাদন ও এগুলো বাজারজাতকরণের উপর নিবিড় গবেষণা করার প্রয়োজন রয়েছে। দেশে মৎস্যখাত নিয়ে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করতে একে অগ্রাধিকার তালিকায় নিতে হবে।
বার্ড এর সাবেক পরিচালক ড. আনোয়ার জাহিদ বাংলাদেশের অর্থনীতিতে সামুদ্রিক মৎস্য সম্পদ আহরণ বিশেষ করে শুকনো মাছের উৎপাদনের অতীত ও বর্তমান অবস্থার ওপর কক্সবাজার চেম্বার অব কমার্সের পরিচালিত গবেষণা ও সমীক্ষায় প্রাপ্ত ফলাফলের উপর আলোকপাত করেন। ভেলু চেঞ্জ এনালাইসিস সমীক্ষার মাধ্যমে যারা মৎসজীবি, ট্রলার মালিক, মাছ ও শুঁটকি বিক্রয়কারী মার্চেন্ট এজেন্ট মধ্যস্বত্ব ভোগী যেমন: আড়তদার, পাইকার, খুচরা ব্যবসায়ী, সংরক্ষণকারী ও মহাজন তাদের প্রতি কেজি বা ১০০ কেজিতে মুনাফা বা লাভের অংশ নির্ধারণ করা প্রয়োজন।
সভাপতির বক্তৃতায় দেলোয়ার জাহিদ বলেন, দারিদ্র্য বিলোপ, ক্ষুধা মুক্তি, সুস্বাস্থ্য ও কল্যাণ, জলবায়ু কার্যক্রম এবং জলজ জীবনকে অর্থবহ ও সমূদ্র অর্থনীতিকে সমৃদ্ধ করার অভীষ্ট লক্ষ্য অর্জনে বাংলাদেশকে কানাডার মতো উন্নত দেশের অংশীদারিত্ব গ্রহণের ওপর জোর দিতে হবে।