বাসস
  ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১২:০২
আপডেট : ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১২:২৫

কুমিল্লায় সৌর বিদ্যুৎ দিয়ে পাম্পে পানি তোলা হচ্ছে

॥ কামাল আতাতুর্ক মিসেল ॥
কুমিল্লা (দক্ষিণ), ৫ ফ্রেব্রুয়ারি, ২০২৩ (বাসস) : জেলায় বিদ্যুৎ, তেল, ডিজেল ছাড়াই  সৌর বিদ্যুৎ দিয়ে পাম্পে পানি তোলা হচ্ছে।  গ্রামের অনেক কৃষকের কাছে এটা বিস্ময়কর। সেই পাম্পটি দেখতে প্রতিদিনই কৃষক ভিড় জমাচ্ছেন। কুমিল্লার বিভিন্ন উপজেলার গ্রামের মাঠে এখন সৌর বিদ্যুতের সেচ উৎসব চলছে। বিদ্যুৎ ঘাটতির এ সময়ে সৌর বিদ্যুতের সেচ পাম্প কৃষকদের মাঝে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। সদর দক্ষিণ উপজেলার নলকুড়ি মাঠে এ রকম একটি সেচ পাম্প বসানো হয়েছে। এএলাকায় এ রকম আরও কয়েকটি পাম্প বসানো হয়েছে। এতে কৃষকের ফসল উৎপাদন বাড়ছে, পরিবেশ দূষণ কমছে। কৃষকের সঙ্গে লাভবান হবেন উদ্যোক্তারা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মাঠের মধ্যে সৌর বিদ্যুতের প্যানেল স্থাপন করা হয়েছে। তার পাশে চলছে সেচ পাম্প। গড়গড় শব্দে উঠছে পানি। পাম্পের পানি ছড়িয়ে পড়ছে পাশের ১৫ একর জমিতে। এসব জমিতে আগে খাল ও পুকুরের স্বল্প পানি ব্যবহার করা হতো। তাও সব সময় পাওয়া যেত না। অনেকে পানি সংকটে জমি পতিত ফেলে রাখতেন। এখন নিরবচ্ছিন্ন পানি পেয়ে কৃষকদের আশা, এ মাঠে এবার ভালো ফসল হবে। নলকুড়ি মাঠে সৌর বিদ্যুতের সেচ পাম্প বসিয়েছেন স্থানীয় তরুণ উদ্যোক্তা আকিবুল ইসলাম মজুমদার। তিনি জানান, ছয় মাস আগে বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড ভর্তুকি দিয়ে এ পাম্প বসিয়ে দিয়েছে। তিনি প্রথমে ৫০ হাজার টাকার মতো দিয়েছেন। আরও সাড়ে ৩ লাখ টাকা ১০ বছরের কিস্তিতে পরিশোধ করবেন। তিন মাস তিনি পাম্পটি সেচ কাজে ব্যবহার করবেন। বাকি সময় গ্রামে বিদ্যুৎ বিক্রি বা পল্লী বিদ্যুতের কাছে বিদ্যুৎ বিক্রি করতে পারবেন।
স্থানীয় উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা সাহিদা খাতুন বাসসবে বলেন, সৌর বিদ্যুৎ পরিবেশবান্ধব। এ সেচ পাম্পের পানি দিয়ে ১৫ একর জমি চাষ করা হচ্ছে। এসব জমির অধিকাংশ পানি সংকটে পতিত থাকত। কুমিল্লা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর উপ-সহকারী প্রকৌশলী দেবাশীষ সিকদার বলেন, এখানে সরকার প্রতিটি পাম্পে ১০ লাখ টাকা ভর্তুকি দিচ্ছে। পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর আওতায় ২৫টি সেচ পাম্প বসানোর টার্গেট রয়েছে। এ সংখ্যা সামনে আরও বাড়বে। সদর দক্ষিণ উপজেলা কৃষি অফিসার হাবিবুল বাশার চৌধুরী বলেন, কৃষি বান্ধব সরকার কৃষকের কল্যাণে বিভিন্ন উদ্যোগ নিচ্ছে। সৌর বিদ্যুৎ ব্যবহারে পরিবেশের ক্ষতি হবে না। কৃষকের ব্যয় অনেক কমে আসবে।