শিরোনাম
ঢাকা, ২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ (বাসস): পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন গ্লোবাল সাউথের সম্ভাবনা অন্বেষণ এবং এর অগ্রাধিকার ও উদ্বেগ বিষয়ক শিক্ষা বিনিময়ের লক্ষ্যে দক্ষিণ-দক্ষিণ সহযোগিতার ওপর মন্ত্রী পর্যায়ের একটি ফোরাম গঠনের প্রস্তাব পুনর্ব্যক্ত করেছেন। তিনি বলেন, ‘নিয়মিত সাক্ষাৎ এবং গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে মতামত বিনিময় এবং সুযোগ ও চ্যালেঞ্জ নিয়ে আলোচনার লক্ষ্যে গ্লোবাল সাউথের পররাষ্ট্র ও অর্থ বা উন্নয়ন সহযোগিতা বিষয়ক মন্ত্রীদের সমন্বয়ে একটি ফোরাম প্রতিষ্ঠা করার এটি সবচেয়ে উপযুক্ত সময়।’ আজ এখানে প্রাপ্ত এক বার্তায় বলা হয়, পররাষ্ট্রমন্ত্রী শুক্রবার নিউইয়র্কে জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী মিশনে রাষ্ট্রদূত পর্যায়ের একটি বৈঠকে যোগ দেন।
বৈঠকে আর্জেন্টিনা, চীন, কিউবা, মিশর, ইন্দোনেশিয়া, কেনিয়া, মালয়েশিয়া, মালদ্বীপ, মালাবি, মরক্কো, নেপাল, ফিলিপাইন, রুয়ান্ডা, সিঙ্গাপুর, দক্ষিণ আফ্রিকা, সলোমন দ্বীপপুঞ্জ, থাইল্যান্ড, সংযুক্ত আরব আমিরাত, উজবেকিস্তান ও ভিয়েতনাম থেকে নির্বাচিত স্থায়ী প্রতিনিধিদের একটি দল অংশগ্রহণ করে।
বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ২০১৯ সালের মার্চে আর্জেন্টিনায় অনুষ্ঠিত বিএপিএ+৪০ সম্মেলনে দক্ষিণ-দক্ষিণ সহযোগিতা বিষয়ক মন্ত্রী পর্যায়ের ফোরাম গঠনের প্রস্তাব দেন। মোমেন বলেন, ‘আমি আমার দেয়া উল্লেখিত প্রস্তাবে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের সভাপতি, জাতিসংঘের মহাসচিব ও গ্লোবাল সাউথের বেশ কয়েকজন মন্ত্রীর কাছ থেকে অত্যন্ত উৎসাহজনক সমর্থন পেয়েছি।’ পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রক্রিয়াটি শুরু করার জন্য এ বছর সুবিধাজনক সময়ে বাংলাদেশে এই ধরনের মন্ত্রী পর্যায়ের ফোরামের প্রথম বৈঠকের আয়োজনে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করার প্রস্তুতির কথাও ব্যক্ত করেন।
টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যে ২০৩০ এজেন্ডা এবং আন্তর্জাতিকভাবে সম্মত অন্যান্য উন্নয়ন প্রতিশ্রুতি অর্জনে দক্ষিণ-দক্ষিণ সহযোগিতার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার কথা উল্লেখ করে, বৈঠকে অংশগ্রহণকারী সদস্য দেশগুলো একটি মন্ত্রী পর্যায়ের ফোরাম প্রতিষ্ঠার প্রস্তাবের জন্য বাংলাদেশের নেতৃত্বের প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে। বৈঠকে কিউবা, কেনিয়া, মিশর, রুয়ান্ডা ও মরক্কো শিগগির ফোরাম প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করতে তাদের অঙ্গীকার ও সর্বাত্মক সমর্থন ব্যক্ত করে।
অংশগ্রহণকারীরা বাণিজ্য, অর্থ, বিনিয়োগ ও জ্ঞান বিনিময়সহ একাধিক স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে দক্ষিণ-দক্ষিণ সহযোগিতার অব্যবহৃত সুযোগসমূহ কাজে লাগানোর জন্য প্রস্তাবটিকে একটি সহায়ক পদক্ষেপ হিসাবে বিবেচনা করে। নিউইয়র্কে জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি বৈঠকটি পরিচালনা করেন এবং স্বাগত বক্তব্য রাখেন।
বৈঠকে জাতিসংঘের দক্ষিণ-দক্ষিণ সহযোগিতা বিষয়ক অফিসের একজন প্রতিনিধিও উপস্থিত ছিলেন।