বাসস
  ০৭ মার্চ ২০২৩, ২০:৫১

বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশ মিশনে ঐতিহাসিক ৭ মার্চ পালিত

ঢাকা, ৭ মার্চ, ২০২৩  (বাসস):  বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশ মিশনে যথাযোগ্য মর্যাদায় ঐতিহাসিক ৭ মার্চ পালিত হয়েছে। 
এসব মিশন প্রাঙ্গণে আজ সকালে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন ও জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্যদিয়ে এ দিবসের অনুষ্ঠানের সূচনা করা হয়। এরপর বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে তাঁর স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, তাঁর পরিবারের শহীদ সদস্যবৃন্দসহ বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে আতেœাৎসর্গকারী সকল শহীদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।
মঙ্গলবার ঢাকায় প্রাপ্ত পৃথক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি থেকে এ সংবাদ জানা গেছে।
জাপানে বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আজ টোকিওস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের উদ্যোগে যথাযোগ্য মর্যাদায় ঐতিহাসিক ৭ মার্চ  পালিত হয়েছে । 
সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ভাষণ প্রদানের স্মৃতি বিজড়িত ৭ মার্চ স্মরণে দূতাবাস প্রাঙ্গণে নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
মঙ্গলবার সকালে জাপানে প্রবাসি বাংলাদেশি ও দূতাবাসের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উপস্থিতিতে টোকিওতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত শাহাবুদ্দিন আহমদ বঙ্গবন্ধুর  প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে তাঁর স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানান। পরে রাষ্ট্রদূত জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনের সাথে-সাথে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। 
এরপর, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, তাঁর পরিবারের শহীদ সদস্যবৃন্দ এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে আতেœাৎসর্গকারী সকল শহীদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।  
অনুষ্ঠানের দ্বিতীয়াংশে বঙ্গবন্ধুসহ তাঁর পরিবারের সদস্য এবং মহান মুক্তিযুদ্ধের সকল শহীদের আত্মার মাগফিরাত এবং  প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের শান্তি, উন্নয়ন ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। 
এছাড়াও দিবসটি উপলক্ষ্যে অয়োজিত আলোচনা সভার শুরুতেই রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও  প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রদত্ত বাণী পাঠ করে শোনানো হয়। 
সূচনা বক্তৃতায় রাষ্ট্রদূত শাহাবুদ্দিন আহমদ বঙ্গবন্ধুর জীবন-সংগ্রামের ইতিহাস জাপানী বন্ধু এবং নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরার জন্য প্রবাসী বাংলাদেশিদের প্রতি আহ্বান জানান। 
উম্মুক্ত আলোচনায় উল্লেখযোগ্য সংখ্যক জাপান প্রবাসী বাংলাদেশ কমিউনিটির সদস্যরা অংশগ্রহণ করেন।
বক্তারা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের ‘সোনার বাংলা’ এবং ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উন্নত রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে যার যার অবস্থান থেকে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণের ওপর তথ্যচিত্র প্রদর্শনের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শেষ করা হয়। 
সৌদি আরবের রিয়াদে বাংলাদেশ দূতাবাসেও আজ ঐতিহাসিক ৭ মার্চ পালিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষ্যে আজ সকালে দূতাবাস প্রাঙ্গণে পতাকা উত্তোলন করেন চার্জ দ্যা এফেয়ার্স আবুল হাসান মৃধা। 
এরপর তিনি দূতাবাস প্রাঙ্গণে স্থাপিত জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। এসময় দূতাবাসের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। রিয়াদস্থ বিভিন্ন সংগঠন, বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের পক্ষ থেকেও জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়। এছাড়াও, আলোচনা অনুষ্ঠানে দিবসটি উপলক্ষ্যে প্রদত্ত রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করা হয়। 
জেদ্দাস্থ বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল’র উদ্যোগে কনস্যুলেট প্রাঙ্গণে ‘ঐতিহাসিক ৭ মার্চ’  পালিত হয়। মঙ্গলবার সকাল ৭টায় সূর্যোদয়ের অব্যবহিত পরই জাতীয় সংগীত পরিবেশনের সাথে-সাথে কনসাল জেনারেল মোহাম্মদ নাজমুল হকের আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্যদিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা করা হয়। 
এরপর বঙ্গবন্ধুসহ সকল শহীদের স্মরণে এক মিনিট নিরবতা পালন ও তাঁদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনায় বিশেষ দোয়া এবং মোনাজাত করা হয়। দিবসটি উপলক্ষে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী’র  প্রদত্ত বাণী পাঠ করে শোনানো হয়। অতঃপর জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণের ভিডিও প্রদর্শন করা হয়। এছাড়াও দিবসটি উপলক্ষ্যে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এছাড়ও কলোম্বস্থ বাংলাদেশ হাই-কমিশন, থাইল্যান্ডে বাংলাদেশ দূতাবাস, পাকিস্তানে বাংলাদেশ হাই-কমিশনসহ বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশ মিশনে দিবসটি পালিত হয়।