বাসস
  ২২ মার্চ ২০২৩, ২০:২১

জলবায়ু তহবিলে প্রতিশ্রুত অর্থ ছাড় না করলে এসডিজি অর্জন করা কঠিন হবে : স্থানীয় সরকার মন্ত্রী

ঢাকা, ২২ মার্চ, ২০২৩ (বাসস): স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, উন্নত বিশ্ব জলবায়ু তহবিলে তাদের প্রুতিশ্রুত অর্থ ছাড় না করলে বাংলাদেশসহ উন্নয়নশীল দেশগুলোকে এসডিজি বাস্তবায়নে সমস্যার মুখোমুখি হতে হবে। 
তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ পরিস্থিতির শিকার দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ পৃথিবীর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত দেশ। 
তিনি আরো বলেন, উন্নত বিশ্বে কার্বন নির্গমনের হার মাথাপিছু যেখানে ৬ টনের বেশি সেখানে বাংলাদেশ মাত্র দশমিক ৪ ভাগ কার্বন নিঃসরণ করেও জলবায়ুর বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সম্মুখীন হয়েছে। 
তাজুল ইসলাম আজ রাজধানীর জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের উদ্যোগে এবং  ইউনিসেফ ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সহায়তায় বিশ্ব পানি দিবস উপলক্ষে "পানি ও পয়:নিষ্কাশন সংকট সমাধানে পরিবর্তন ত্বরান্বিতকরণ" শীর্ষক এক সেমিনারে প্রধান  অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা বা এসডিজি অর্জনে বাংলাদেশ কাজ করছে। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি বাসযোগ্য পৃথিবী তৈরী করতে সরকার দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। কিন্তু সেই অঙ্গীকার বাস্তবায়ন করতে যে পরিমাণ আর্থিক সামর্থের প্রয়োজন তার ঘাটতি রয়েছে। 
তিনি আরো বলেন, সরকার ঢাকা শহরে প্রয়োজনীয় পানি বিশুদ্ধকরণ প্ল্যান্ট স্থাপন করেছে। কৃষি, গৃহস্থালি ও শিল্পে পানির প্রয়োজন। তাই নিরবচ্ছিন্ন ও সুপেয় পানি সরবরাহের উৎসগুলো নিরাপদ ও দূষণমুক্ত রাখতে হবে।
মন্ত্রী আরো বলেন, পানি ব্যবহারে সকলকে সচেতন থাকতে হবে। কারণ সুপেয় পানির পরিমাণ নির্দিষ্ট। তাই পানির যথেচ্ছ অপচয় করলে এই সম্পদ ফুরিয়ে যাবে।
তাজুল আরো বলেন, বাংলাদেশ ভাটির দেশ হওয়ায় উজানে পানির গতিপথ কৃত্রিমভাবে পরিবর্তন করলে বাংলাদেশের পরিবেশ ও জলবায়ু ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
স্থানীয় সরকার বিভাগের মহাপরিচালক মোহাম্মদ সরোয়ার বারীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সেমিনারে মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. কাজী মতিন উদ্দীন আহমেদ এবং আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন বুয়েটের পরিচালক অধ্যাপক ড. তানভীর আহমেদ, এনজিও ফোরাম ফর পাবলিক হেলথের নির্বাহী পরিচালক  এস.এম.এ রশিদ। 
এতে সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত সুইডিশ রাষ্ট্রদূত আলেকজান্দ্রা বার্গ ভন লিনডে, ইউনিসেফ বাংলাদেশ প্রতিনিধি শেলডন ইয়েট এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিনিধি ড. বারডান ইয়াং রানা।