বাসস
  ২৯ মার্চ ২০২৩, ২০:৩৬

স্বাধীনতাকে সুসংহত করার চ্যালেঞ্জ এখনও রয়েছে : স্থানীয় সরকার মন্ত্রী 

ঢাকা, ২৯ মার্চ, ২০২৩ (বাসস) : স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, দেশের স্বাধীনতাকে সুসংহত করার চ্যালেঞ্জ এখনও রয়েছে। 
তিনি আরো বলেন, সকল ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে স্বাধীনতার সুফল জনজীবনে পৌঁছাতে হলে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে।
তাজুল ইসলাম আজ রাজধানীর জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর মিলনায়তনে মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে "জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক নেতৃত্ব এবং দেশের উন্নয়ন" শীর্ষক এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন। 
তাজুল ইসলাম বলেন, দেশের মহান স্বাধীনতা অর্জনে যেমন ৩০ লক্ষ জীবন উৎসর্গ করতে হয়েছে, তেমনি রক্ষার জন্য কম ত্যাগ স্বীকার করতে হয় নি। 
তিনি বলেন, পরাধীন জাতি স্বাধীনতার গুরুত্ব সবচেয়ে ভালো বুঝতে পারবে। পরাধীন জাতি হীনমন্যতায় ভোগে, তাদের নিজেদের ভবিষ্যৎ নেই এবং কোন লক্ষ্যও থাকে না। 
তিনি আরো  বলেন, বাঙালি জাতির হাজার বছরের ইতিহাসে অন্ধকারাচ্ছন্ন ও হতাশাময় পরাধীনতার দুর্ভোগ থেকে মুক্তি দিয়েছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
মন্ত্রী বলেন, কিন্তু সাবেক সেনা শাসন এবং বিএনপি জামাতের সময়কালে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাস নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি করা হয়েছে। জাতিকে বিভ্রান্ত করার জন্য বঙ্গবন্ধুর নাম ইতিহাস থেকে মুছে ফেলার সকল ধরণের চেষ্টা করা হয়েছে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সকল ষড়যন্ত্র ও বাধা জয়  করেই বাংলাদেশ সামনের দিকে এগিয়ে চলেছে। 
স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, ১৯৭০ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে। দেশের জনগণ জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানকে দেশের অবিসংবাদিত নেতা হিসেবে নির্বাচিত করেছিল। কিন্তু তৎকালীন পাকিস্তান সরকারের ষড়যন্ত্রের কারণে আমাদেরকে স্বাধীনতা যুদ্ধে অবতীর্ণ হতে হয়।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু শুধু আমাদের স্বাধীনতাই এনে দেননি, আমাদের স্বাধীনতাকে শক্ত ভিত্তির ওপরও  দাঁড় করিয়েছিলেন। 
মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ  আয়তনের দিক থেকে ছোট্ট একটি দেশ হওয়ায় এক সময় তার বিশাল জনসংখ্যা নিয়ে উদ্বেগ থাকলেও প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার বিচক্ষণ নেতৃত্বে শিক্ষা ও নারীর ক্ষমতায়নের মাধ্যমে এই বিশাল জনসংখ্যাকে সম্পদে পরিণত করেছেন।
বিএনপি'র সুষ্ঠু নির্বাচন দাবির প্রেক্ষিতে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, বিএনপির কাছে সুষ্ঠু নির্বাচন হচ্ছে, যে নির্বাচনে বিএনপি ক্ষমতায় আসতে পারবে। আওয়ামী লীগ সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্যই তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার জন্য আন্দোলন করেছিল এবং ওই সরকার ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করেছিল। কিন্তু বিএনপি সেই ব্যবস্থাকেও কলুষিত করেছিল এবং নিজ স্বার্থে ব্যবহার করার হীন প্রয়াসের প্রেক্ষিতে আদালতের রায়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল হয়েছে।
স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মুহম্মদ ইবরাহিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় আরো বক্তব্য রাখেন স্থানীয় সরকার বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ড. মলয় চৌধুরী, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মো. সরোয়ার হোসেন, স্থানীয় সরকার ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক সালেহ আহমেদ মোজাফফর ও স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী সেখ মোহাম্মদ মহসিন।