বাসস
  ০৩ এপ্রিল ২০২৩, ২০:০৮

ইমতিয়াজ আহমেদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি বঙ্গবন্ধু পরিষদের

ঢাকা, ৩ এপ্রিল, ২০২৩ (বাসস) : ড. ইমতিয়াজ আহমেদের বইয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু, বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম ও গণহত্যা সম্পর্কে অসত্য, বিকৃত ও উদ্ভট তথ্য উপস্থাপনের নিন্দা প্রকাশ করে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছে বঙ্গবন্ধু পরিষদ। বঙ্গবন্ধু পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আ ব ম ফারুক আজ সোমবার দেওয়া এক যুক্ত বিববৃতিতে এই দাবী জানান।
বিবৃতিতে তারা বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু পরিষদ মনে করে, জাতীয় পর্যায়ে উপরোক্ত বিষয়গুলো অত্যন্ত গুরুতর । কারন বাংলাদেশে ইতোমধ্যেই রাষ্ট্রীয় ও একাডেমিক পর্যায়ে চূড়ান্তভাবে বিষয়গুলোর সুরাহা করা হয়েছে এবং এগুলো নিয়ে নতুন করে বিতর্কের আর কোনো অবকাশ নেই।’ নেতৃদ্বয় বলেন, একমাত্র ৭১-এর কতিপয় গণধিকৃত পরাজিত শক্তিই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদানকে অবমূল্যায়ন করা ও মহান মুক্তিযুদ্ধের  সময়ে পাকিস্তানি বর্বর বাহিনীর পরিচালিত পৃথিবীর ভয়ংকরতম নৃশংসতাকে হালকা করে দেখানোর অপচেষ্টায় মাঝে মাঝে এসব কুতর্ক উত্থাপন করে। ড. ইমতিয়াজ আহমেদ এই বইয়ে এসব মনগড়া ও বিকৃত তথ্য লিখে একই অপচেষ্টায় লিপ্ত হয়েছেন এবং এভাবে তিনি নিশ্চিতভাবেই ৭১-এর পরাজিত শক্তির দোসর হিসেবে কাজ করছেন বলে প্রতীয়মান হচ্ছে। বিবৃতিতে বলা হয়, পুরো বইটিতে জাতির পিতার নামের আগে তিনি কোথাও ‘বঙ্গবন্ধু’ শব্দটি একবারের জন্যও ব্যবহার করেন নি। আমাদের মনে রাখতে হবে যে, ‘বঙ্গবন্ধ’ু কোনো আনুষ্ঠানিক উপাধি নয়। বরং এটি বাঙালি জাতির সকল আন্দোলন-সংগ্রামের প্রত্যক্ষ দলিল। 
নেতৃদ্বয় বলেন, “তখনকার পূর্ব ও পশ্চিম পাকিস্তানের অধিবাসীদের মধ্যে বিয়ে হতো, দুই অংশের মধ্যে সাংস্কৃতিক অনেক মিল ছিল, উর্দুর সাথে বাংলাও পাকিস্তানের দ্বিতীয় রাষ্ট্রভাষা ছিল, দুই অংশের অধিবাসীদের মধ্যে নৃতাত্ত্বিকও অনেক মিল ছিল- কখনো তিনি এসব ‘কুযুক্তি’ বলছেন, ্আবার কখনো পরোক্ষভাবে বা কখনো অন্যের মুখ দিয়ে ‘শুনেছি’ বলে এই বইতে বলেছেন। কেন? আসলে তিনি কী বলতে চান? বা কাউকে কি খুশি করতে চান? আমরা ড. ইমতিয়াজের উপরোক্ত এসব মনগড়া, উদ্ভট, অত্যন্ত ঘৃণ্য ও সর্বাংশে অগ্রহণযোগ্য বক্তব্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। 
এই সাথে নেতৃদ্বয় দেশের আইন অনুযায়ী, এ বিষয়ে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সরকারের কাছে জোর দাবি এবং সেই সাথে বঙ্গবন্ধু পরিষদ আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রাক্কালে এই ধরনের যে কোনো অপতৎপরতার বিরুদ্ধে সজাগ থাকার জন্য দেশবাসীকে আহ্বান জানান।