বাসস
  ০৯ মে ২০২৩, ০০:০০

বিভিন্ন কর্মসূচীর মধ্য দিয়ে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬২তম জন্মবার্ষিকী উদযাপিত

ঢাকা, ৮ মে, ২০২৩ (বাসস) : বাঙালীর আত্মিক মুক্তি ও সার্বিক স্বনির্ভরতার প্রতীক, বাংলাভাষা ও সাহিত্যের উৎকর্ষের নায়ক,কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬২তম জন্মবার্ষিকী উদযাপিত হয়েছে।
নানা কর্মসূচীর মধ্য দিয়ে নোবেল বিজয়ী এই বাঙ্গালি কবিকে স্মরণ করেছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বাংলা ভাষাভাষীরা হৃদয় উৎসারিত আবেগ ও পরম শ্রদ্ধায়।
এ উপলক্ষে সরকারের পক্ষ থেকে জাতীয় পর্যায়ে বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়। ‘সমাজ সংস্কার ও রবীন্দ্রনাথ’-নিয়ে রবীন্দ্র জন্মবার্ষিকীর মূল অনুষ্ঠান হবে রবীন্দ্র স্মৃতি বিজড়িত নওগাঁর পতিসরে।    
জাতীয় পর্যায়ের অনুষ্ঠানের অংশ হিসেবে বিশ্বকবির স্মৃতিবিজড়িত কুষ্টিয়ার শিলাইদহ,সিরাজগঞ্জের শাহ্জাদপুর, এবং খুলনার দক্ষিণডিহি ও পিঠাভোগে স্থানীয় প্রশাসনের ব্যবস্থাপনায় যথাযোগ্য মর্যাদায় বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মবার্ষিকী উদ্যাপন করা হয়। এ উপলক্ষে রবীন্দ্রমেলা, রবীন্দ্রবিষয়ক আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়েছে। জন্মবার্ষিকী উদ্যাপন উপলক্ষে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে তিন দিনব্যাপী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও কবির চিত্রশিল্প প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে। বাংলা একাডেমিও  আলোচনা অনুষ্ঠান আয়োজন করেছে।    
সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ এর সভাপতিত্বে নওগাঁর পতিসরে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ.ক.ম মোজাম্মেল হক।
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী বলেন, বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বাংলা সাহিত্যকে বিশ্ব সাহিত্যে সগৌরবে পৌঁছে দিয়ে বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন। রবীন্দ্রনাথ একাধারে কবি,গীতিকার,নাট্যকার, প্রাবন্ধিক, সমাজ সংস্কারক,অসাম্প্রদায়িক চেতনার মানুষ। রবীন্দ্রনাথ অসাম্প্রদায়িক মানুষ হিসেবে বিশ্বে দারুনভাবে নন্দিত হয়েছেন।
এ অনুষ্ঠানকে ঘিরে পতিসর কাচারীবাড়ি  রবীন্দ্র ভক্তদের মহা-মিলন মেলায় পরিণত হয়। পতিসরের চারদিকের জনপদ নওগাঁ জেলার সদর, রানীনগর ও আত্রাই, বগুড়া জেলার আদমদিঘি ও নন্দীগ্রাম, নাটোর জেলার সদর  উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে এই উৎসবের আমেজ ছড়িয়ে পড়ে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দিবসটি উদ্যাপিত হয়েছে। এ উপলক্ষে ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র মিলনায়তনে এক আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের রুটিন দায়িত্বে নিয়োজিত প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ সভায় সভাপতিত্ব করেন। অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলা বিভাগের সংখ্যাতিরিক্ত অধ্যাপক ড. বেগম আকতার কামাল।
আলোচনা পর্ব শেষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সংগীত বিভাগ ও নৃত্যকলা বিভাগের যৌথ উদ্যোগে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়।