শিরোনাম
সংসদ ভবন, ১৪ জুন, ২০২৩ (বাসস) : রেলপথ মন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন জানিয়েছেন, বর্তমানে দেশে ৪৩টি জেলায় রেলপথ রয়েছে এবং ২১টি জেলায় এখনো রেলপথ স্থাপন করা হয়নি।
যে ২১ জেলায় এখনো রেলপথ স্থাপন করা হয়নি এগুলো হলো- কক্সবাজার, বরিশাল, নড়াইল, শরিয়তপুর, মাদারীপুর, সাতক্ষীরা, মেহেরপুর, খাগড়াছড়ি, বান্দরবান, রাঙ্গামাটি, শেরপুর, মুন্সিগঞ্জ, বরগুনা, পটুয়াখালী, মানিকগঞ্জ, মাগুরা, লক্ষ্মীপুর, ভোলা, পিরোজপুর, ঝালকাঠি ও বাগেরহাট।
আজ সংসদে বিকল্পধারার সদস্য আবদুল মান্নানের টেবিলে উপস্থাপিত তারকা চিহ্নিত এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, উল্লেখিত জেলাসমূহ পর্যায়ক্রমে বাংলাদেশ রেলওয়ে নেটওয়ার্কের আওতায় আনা হবে। বাংলাদেশ রেলওয়ের ২০২২-২৩ অর্থবছরের এডিপিতে অন্তর্ভূক্ত প্রকল্পসমূহ সফলভাবে বাস্তবায়িত হলে নতুন ৭টি জেলা (কক্সবাজার, নড়াইল, মুন্সীগঞ্জ, মাদারীপুর, শরিয়তপুর, মাগুরা ও বাগেরহাট) রেলওয়ে নেটওয়ার্কের আওতায় আসবে।
মন্ত্রী বলেন, দেশের আপামর জনসাধারণকে স্বল্প খরচে নিরাপদ ও স্বাচ্ছন্দ্যময় পরিবহন সেবা প্রদানের উদ্দেশে বাংলাদেশ রেলওয়ে কাজ করে যাচ্ছে। দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে বর্তমান আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকারের ক্ষমতা গ্রহণের পর হতে রেলওয়েকে প্রকৃত গণপরিবহন মাধ্যম হিসেবে ঢেলে সাজাতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী রেলওয়েকে গড়ে তুলতে গত চৌদ্দ বছরে ব্যাপক উন্নয়ন কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে।
নুরুল ইসলাম সুজন বলেন, বর্তমানে যে সকল প্রকল্পের সমীক্ষা সমাপ্ত হয়েছে সে সকল প্রকল্পের আওতায় রেলপথ নির্মিত হলে ৮টি জেলা (সাতক্ষীরা, বরিশাল, রাঙ্গামাটি, ঝালকাঠি, পটুয়াখালী, বরগুনা, পিরোজপুর ও মেহেরপুর) রেলওয়ে নেটওয়ার্কের আওতায় আসবে। অপরদিকে মানিকগঞ্জ জেলায় রেলপথ নির্মাণের সমীক্ষা কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ রেলওয়ের বিদ্যমান মাস্টারপ্ল্যান যার মেয়াদ ৩০ বছর (২০১৬-২০৪৫) বাস্তবায়নের পর লক্ষীপুর, শেরপুর, বান্দরবান ও খাগড়াছড়ি-এ ৪টি জেলা রেলওয়ে নেটওয়ার্কের আওতায় আসবে।