বাসস
  ১৭ আগস্ট ২০২৩, ২৩:২০

জয় মনে করিয়ে দিলেন কীভাবে বিএনপি-জামায়াত জঙ্গি সংগঠনগুলোকে পৃষ্ঠপোষকতা করেছিল

ঢাকা, ১৭ অগাস্ট, ২০২৩ (বাসস) : তারেক রহমানের নির্দেশে বিএনপি-জামায়াত নেতৃত্বাধীন সরকারের বেশ কয়েকজন শীর্ষ পর্যায়ের মন্ত্রী কুখ্যাত জঙ্গি সংগঠন জেএমবিকে সরকারি অর্থায়ন এবং রক্ষা করেছিল যারা পরবর্তীতে ২০০৫ সালে দেশজুড়ে ৬৩ জেলায় সিরিজ বোমা হামলার জন্য দায়ী বলে প্রমাণিত হয়।
বাংলাদেশে ইসলামী শাসন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে জঙ্গি সংগঠনটি প্রগতিশীল লেখকদের বিরুদ্ধে হত্যাকান্ডও চালায়।
২০০৫ সালের সিরিজ বোমা হামলার ১৮তম বার্ষিকীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় তার ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে বিএনপি জামায়াত জোট ও জঙ্গিদের ওপর প্রকাশিত প্রতিবেদন সংকলন করে একটি ভিডিও পোস্ট করেন।
উইকিলিকস প্রকাশ করে, ‘তারেক রহমান পুলিশ হেফাজত থেকে বাংলা ভাইয়ের শীর্ষ সহযোগীর মুক্তি নিশ্চিত করতে হস্তক্ষেপ করেছিলেন।’
ভিডিওগুলোতে মূলধারার গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনের কয়েকটি শিরোনাম রয়েছে, ‘জঙ্গিবাদের উত্থানের পেছনে প্রত্যক্ষ পৃষ্ঠপোষকতার জন্য দায়ী বিএনপি-জামায়াতের আট নেতা ও মন্ত্রী’, ‘বাংলা ভাইয়ের ক্যাডাররা পুলিশি পাহারায় রাজশাহী শহরে ঘুরে বেড়াচ্ছে’, ‘বাংলা ভাইয়ের ক্যাডাররা শ্বাসরোধ করে আওয়ামী লীগ নেতাদের হত্যা’, ‘শীর্ষ জঙ্গিদের গ্রেফতারের পর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে’।
২০০১ থেকে ২০০৬ সালের মধ্যে বিএনপি-জামায়াত জোটের শাসনামলে রাষ্ট্রযন্ত্রের প্রত্যক্ষ পৃষ্ঠপোষকতায় মাথাচারা দিয়ে ওঠা কুখ্যাত অপরাধী সিদ্দিকুর রহমান ওরফে বাংলা ভাই বর্তমানে নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন জামাত-উল-মুজাহিদীন বাংলাদেশ (জেএমবি) গড়ে তুলেছিল।
বিস্ফোরণের পর, জঙ্গি গোষ্ঠীর ‘আমরা বাংলাদেশের জন্য ইসলামিক শাসন প্রতিষ্ঠা করতে চাই’ লিফলেট বিতরণ করা ছবিও ভিডিওতে দেখানো হয়। ভিডিওটিতে এটিও দেখানো হয় যে প্রগতিশীল লেখক, চিন্তাবিদ এবং কর্মীদের জঙ্গিদের লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছিল এবং হুমায়ুন আজাদের মতো বিশিষ্ট লেখকের উপর হামলা হয়েছিল এবং পরে জঙ্গি গোষ্ঠীর এর দায় স্বীকার করে।
জনপ্রিয় আওয়ামী লীগ নেতা ও কর্মীদের নির্মূল করার জন্য জঙ্গি গোষ্ঠী নিয়োগ বিএনপি-জামাত শাসনের একটি দৃষ্টান্ত হয়ে রয়েছে উল্লেখ করে তিনি জঙ্গি গোষ্ঠীর মাধ্যমে কীভাবে আওয়ামী লীগ নেতাদের উপর হামলা করা হয়েছিল তার প্রতিবেদনের ভিডিও ফুটেজ তুলে ধরেন।
 ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসবিরোধী শান্তি সমাবেশে গ্রেনেড হামলা এবং সেই হামলায় অন্তত ২৪ জন আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীকে হত্যা করেছিল এবং তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রী শেখ হাসিনা কানের আঘাত পেয়ে হত্যা প্রচেষ্টা থেকে রক্ষা পেয়েছিলেন। অন্য একটি পোস্টে লেখা হয়েছে, ‘সেই বিস্ফোরণটি ঘটানো হয়েছিল বিএনপি-জামায়াত সমর্থিত জঙ্গি গোষ্ঠীর মাধ্যমে’।
তারেক রহমানকে বাংলাদেশে ‘দুর্নীতিবাজ সরকার এবং সহিংস রাজনীতির’ প্রতীক হিসাবে চিত্রিত করে, তিনি বলেন, এমনকি ঢাকায় মার্কিন দূতাবাস তার যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে বাধা দেওয়ার সুপারিশ করেছিল।
২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত সুইডিশ সাংবাদিক ও লেখক বার্টিল লিন্টনারের মতো শীর্ষস্থানীয় বিশ্লেষকরা বাংলাদেশকে ‘সন্ত্রাসের উর্বর ভুমি’ এবং পুলিৎজার পুরস্কারবিজয়ী মার্কিন সাংবাদিক ও কবি এলিসা গ্রিসওল্ড আফগান স্টাইলের ইসলামি বিপ্লবের ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন।
২০০২ সালের ৪ এপ্রিল বার্টিল লিন্টনার/ফার ইস্টার্ন ইকোনমিক রিভিউ রচিত ‘সন্ত্রাসের উর্বর ভূমি এবং এলিসা গ্রিসওল্ড/দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমসের ‘দ্য নেক্সট ইসলামিক রেভল্যুশন’ (২৩ জানুয়ারি, ২০০৫) এমন কয়েকটি শিরোনাম যা বিএনপি-জামায়াত সরকারের আগের মেয়াদে সুস্পষ্ট পৃষ্ঠপোষকতার কথা বলে।
ভারতের প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা সংস্থার সাবেক উপ-মহাপরিচালক মেজর জেনারেল গগনজিৎ সিং ২০০৪ সালে চট্টগ্রামে ১০ ট্রাক অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধারের কথা স্মরণ করে বলেন, তারেক রহমান ও বাংলাদেশের তৎকালীন গোয়েন্দা কর্মকর্তাসহ তার সহযোগীদের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন ইউনাইটেড লিবারেশন ফ্রন্ট অব আসামের (উলফা) কমান্ডার-ইন-চিফ পরেশ বড়–য়ার সঙ্গে সম্পর্ক ছিল।