বাসস
  ১৭ ডিসেম্বর ২০২৩, ২১:০১
আপডেট : ১৭ ডিসেম্বর ২০২৩, ২১:২৪

শেখ হাসিনা বাংলাদেশের দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ী : এম জে আকবর

ঢাকা, ১৭ ডিসেম্বর, ২০২৩ (বাসস) : ভারতের সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী এবং প্রখ্যাত লেখক এম জে আকবর আজ বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ী। কারণ, তিনি স্বৈরাচার থেকে  দেশকে মুক্ত করেছেন।
রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘(বাংলাদেশের) দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধের নেতা এবং মুক্তিদাতা হিসেবে প্রধানমন্ত্রী ও প্রধান নেতা শেখ হাসিনাকে স্বীকৃতি প্রদান ও সম্মানিত করা উচিত।’
‘৫২ বছরে বাংলাদেশের অর্জন এবং আগামী দশকগুলোতে এই অঞ্চলে এবং এর বাইরে দেশটির অবস্থান’ শীর্ষক একটি আলোচনায় মূল বক্তব্য দেওয়ার পরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেনের সাথে এই বিশিষ্ট লেখক-সাংবাদিক ও অভিজ্ঞ রাজনীতিবিদ মিডিয়ার সামনে উপস্থিত হন।
আকবর বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শুধু বাংলাদেশকে একটি সফল রাষ্ট্র হিসেবেই গড়ে তুলছেন না, নীতির ভিত্তিতে এবং প্রমাণিত ও দৃশ্যমান সাফল্যের ভিত্তিতে দেশকে আধুনিক রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তুলছেন।
আসন্ন নির্বাচন প্রসঙ্গে ভারতের সাবেক এই প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকায় তিনি এখানে দারুণ আনন্দ দেখতে পাচ্ছেন।
বাংলাদেশের বিরুদ্ধে মার্কিন নিষেধাজ্ঞার হুমকি এবং ভূ-রাজনৈতিক মনোযোগ সম্পর্কে এক প্রশ্নের উত্তরে আকবর বলেন, বাংলাদেশ প্রাসঙ্গিক হওয়ায় বিশ্বব্যাপী মনোযোগ দেওয়া হচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘যারা বাংলাদেশকে ভয় দেখানোর চেষ্টা করছে তারা ভুলে যাচ্ছে যে বাংলাদেশ আর ভীতু দেশ নয়। সুতরাং আপনি যদি আমাকে ভয় দেখান, এটা কাজ করবে না, আমি ভয় পাবো না।’
এই অঞ্চলকে কেন্দ্র করে ভূ-রাজনৈতিক শক্তির খেলা প্রসঙ্গে ভারতীয় রাজনীতিবিদ বলেন, তিনি বিশ্বাস করেন যে বাংলাদেশের নিজস্ব সমস্যা ও চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করার দৃঢ় সক্ষমতা রয়েছে।
মূল বক্তব্য প্রদানকালে আকবর একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত করার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়ন প্রচেষ্টার কথা তুলে ধরেন এবং বাংলাদেশকে এশিয়ার উদীয়মান শক্তি হিসেবে অভিহিত করেন।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে একটি আধুনিক রাষ্ট্রে পরিণত করতে সকল প্রতিষ্ঠান, জনগণ,তথ্য ও প্রযুক্তি, অংশীদার ও সরবরাহকারী এবং ভ্যালু স্ট্রিম ও প্রক্রিয়া ‘চতুর্মাত্রিক’ উদ্যোগে জাতির নেতৃত্ব দিচ্ছেন।
তিনি বলেন, গণতন্ত্র এবং প্রতিটি বিশ্বাসের স্বাধীনতা ছাড়া কোনো দেশই আধুনিক জাতি হতে পারে না কারণ প্রতিটি বিশ্বাসের স্বাধীনতা নিশ্চিত করাই হলো অন্তর্ভুক্তিমূলক জাতীয়তাবাদ।
আকবর দারিদ্র্য নিরসন এবং লিঙ্গ সমতা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর অর্জনের প্রশংসা করেন। কারণ এই দুটি প্যারামিটার ছাড়া কোনো দেশ আধুনিক জাতি হতে পারে না।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাত্ত্বিক অধিকারকে কার্যকর বাস্তবতায় পরিণত অনুবাদ করেছেন।
আকবর বলেন, বাংলাদেশের জনগণ বারবার শেখ হাসিনাকে নির্বাচিত করে কারণ দেশ অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধির মাধ্যমে ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতির পথে হাঁটছে।
মুক্তিযোদ্ধাদের বীরত্বের প্রশংসা করে তিনি বলেন, স্বাধীনতা বাংলাদেশকে হস্তান্তর করা হয়নি, বাংলাদেশ এটি অর্জন করেছে।
এমজে আকবর বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ সম্ভাবনার দেশে পরিণত হয়েছে।
ভারতের সাবেক এই প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সীমান্ত বিরোধের শান্তিপূর্ণ নিষ্পত্তি সমগ্র বিশ্বের জন্য একটি শিক্ষা হতে পারে।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন এবং ফরেন সার্ভিস একাডেমির রেক্টর মাশফি বিনতে শামস।