বাসস
  ১৬ জানুয়ারি ২০২৪, ১৩:৩৭

ইরাক ও সিরিয়ায় সন্ত্রাসী লক্ষ্যবস্তুতে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা

তেহরান, ১৬ জানুয়ারি, ২০২৪ (বাসস ডেস্ক) : ইরানের বিপ্লবী গার্ডরা সিরিয়া এবং ইরাকের স্বায়ত্তশাসিত কুর্দিস্তান অঞ্চলে একাধিক ‘সন্ত্রাসী’ লক্ষ্যবস্তুতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। মঙ্গলবার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম এ কথা জানিয়েছে।
ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড বাহিনী’র (আইআরজিসি) বিবৃতি উদ্ধৃত করে সরকারী ইরনা বার্তা সংস্থা জানিয়েছে, হামলায় ইরাকি কুর্দিস্তানের রাজধানী আরবিলে ‘একটি গুপ্তচর সদর দপ্তর’ এবং ‘ইরান বিরোধী সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর সমাবেশ’ ধ্বংস করেছে।
ইরাকের কুর্দিস্তান নিরাপত্তা পরিষদ জানিয়েছে, হামলায় চারজন নিহত ও ছয়জন আহত হয়েছে।
কুর্দিস্তান ডেমোক্রেটিক পার্টি জানিয়েছে, নিহত বেশ কয়েকজন বেসামরিক নাগরিকের মধ্যে বিশিষ্ট ব্যবসায়ী পেশরাউ দিজাই ছিলেন।
আইআরজিসি সিরিয়ার লক্ষ্যবস্তুতেও ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে আঘাত করেছে, যার মধ্যে রয়েছে ‘কমান্ডারদের একত্রিত করার স্থান এবং সাম্প্রতিক সন্ত্রাসী অভিযানের সাথে সম্পর্কিত প্রধান গ্রুপ বিশেষ করে ইসলামিক স্টেট গ্রুপ’। আইআরজিসি’র নিউজ এজেন্সি এ কথা  জানিয়েছে।
এতে বলা হয়, সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোর সাম্প্রতিক হামলায় ইরানের দক্ষিণের শহর কেরমান এবং রাস্কে ইরানিদের হত্যার জবাবে সিরিয়ায় এই হামলা চালানো হয়।
সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস ওয়ার মনিটর জানিয়েছে, আলেপ্পো এবং এর গ্রামাঞ্চলে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে, যেখানে ‘ভূমধ্যসাগরের দিক থেকে আসা কমপক্ষে ৪টি ক্ষেপণাস্ত্র’ আছড়ে পড়েছে।
গত ৩ জানুয়ারি কেরমানে আইআরজিসি জেনারেল কাসেম সোলেইমানির সমাধির কাছে জড়ো হওয়া জনতার ভিড়ে সন্ত্রাসীরা আত্মঘাতী বোমা হামলা চালিয়ে প্রায় ৯০ জনকে হত্যা করে। পরে হামলার দায় স্বীকার করে আইএস।
ডিসেম্বরে রাস্কে একটি পুলিশ স্টেশনে জিহাদি গোষ্ঠী জইশ আল-আদল (আর্মি অফ জাস্টিস) গ্রুপের হামলায় কমপক্ষে ১১ ইরানি পুলিশ কর্মকর্তা নিহত হন। জিহাদি গোষ্ঠী জইশ আল-আদল ২০১২ সালে গঠিত হয়েছিল এবং ইরান এটিকে ‘সন্ত্রাসী’ গোষ্ঠী হিসাবে কালো তালিকাভুক্ত করেছে। গ্রুপটি হামলার দায় স্বীকার করেছে।
আইআরজিসি আরও বলেছে, তারা ইরাকের স্বায়ত্তশাসিত কুর্দিস্তান অঞ্চলে কথিত ইসরায়েলি ‘গুপ্তচর সদর দফতর’ আক্রমণ করেছে। ইরানের ইরনা বার্তা সংস্থা এ কথা জানিয়েছে।
এতে বলা হয়, ইসরায়েলের গুপ্তচর সংস্থা মোসাদ সদর দফতরটি  ‘গুপ্তচরবৃত্তি কার্যক্রম বিকাশ এবং এই অঞ্চলে সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের পরিকল্পনার কেন্দ্র হিসাবে কাজ করেছিল’।
আইআরজিসি বলেছে, ইরানের উপর সাম্প্রতিক হামলা এবং ইরান-সংযুক্ত গোষ্ঠীগুলোর ‘প্রতিরোধের অক্ষ’ এর প্রতিক্রিয়া হিসাবে এই হামলা  চালানো হয়।