বাসস
  ১১ মার্চ ২০২৪, ১৩:৩৫

রমজানের প্রাক্কালে গাজায় যুদ্ধ আরো তীব্র হয়েছে

গাজা উপত্যকা (ফিলিস্তিনী অঞ্চল), ১১ মার্চ, ২০২৪(বাসস ডেস্ক): অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরাইল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধ আরো তীব্র রূপ নিয়েছে। 
এদিকে রমজানকে কেন্দ্র করে যুদ্ধবিরতির চেষ্টা চালানো হলেও এ পর্যন্ত তার কোন আভাস পাওয়া যায়নি। 
এ প্রেক্ষিতে যুক্তরাষ্ট্র, কাতার ও মিসরের মধ্যস্থতাকারীরা এখনও জিম্মি হিসেবে আটককৃতদের ছাড়ের বিনিময়ে ইসরাইলে থাকা ফিলিস্তিনী বন্দীদের মুক্তি এবং ছয় সপ্তাহের যুদ্ধবিরতির জন্যে  গত কয়েকসপ্তাহ ধরে আলোচনা চালিয়ে আসছিল। কিন্তু রমজান শুরুর আগে এ যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দেয়া সম্ভব হয়নি। এ জন্যে উভয়পক্ষ একে অন্যকে দায়ী করছে। 
যুদ্ধবিরতির আলোচনায় ইসরাইল বেঁচে থাকা সকল জিম্মির তালিকা চেয়েছে এবং  হামাস দাবি করেছে গাজা থেকে সকল ইসরাইলী সৈন্য প্রত্যাহারের। 
আলোচনা সম্পর্কে জানে এরকম এক ঘনিষ্ঠ সূত্র জানিয়েছে, রমজানের প্রথম দিকেই চুক্তি নিশ্চিত করতে আগামী ১০ দিন কূটনৈতিক চাপ তীব্র করা হবে।
এদিকে রমজান শুরু হওয়া সত্ত্বেও গাজায় প্রয়োজনীয় ত্রাণ সরবরাহ করা সম্ভব হয়নি।
ত্রাণ গোষ্ঠীগুলো বলছে, অক্টোবর থেকে ইসরাইল গাজাকে সম্পূর্ণ অবরোধের মধ্যে রেখে মৌলিক মানবিক চাহিদা পূরণের জন্যে প্রয়োজনীয় সরবরাহের মাত্র একটি অংশ প্রবেশের অনুমতি দেয়া হয়েছে। 
এদিকে ইসরাইলকে অবিচল সমর্থন জোগানোর কারণে সমালোচনার মুখে থাকা মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন শনিবার এমএসএনবিসি সম্প্রচার কেন্দ্রকে বলেছেন, গাজায় নিরীহ জীবন রক্ষায় ইসর্ইালী নেতা বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুকে আরো মনোযোগী হতে হবে। 
তিনি আরো বলেছেন, যুদ্ধে নেতানিয়াহুর দৃষ্টিভঙ্গিতে মনে হচ্ছে ইসরাইলকে সহযোগিতার চেয়ে  তাকে আঘাত করাই তার উদ্দেশ্য। 
উল্লেখ্য, গতবছরের ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনী সংগঠন হামাস ইসরাইলে আকস্মিক বড়ো ধরনের হামলা চালায়। এর প্রতিশোধ হিসেবে ইসরাইল গাজায় ভয়াবহ অভিযান শুরু করে এবং তা অব্যাহত রেখেছে। 
গত পাঁচমাস ধরে চলা এ হামলায় গাজার পরিস্থিতি অত্যন্ত ভয়াবহ হয়ে উঠেছে। প্রয়োজনীয় ত্রাণ সরবরাহ করাও সম্ভব হচ্ছে না। এ প্রেক্ষিতে সেখানে দুর্ভিক্ষ অনিবার্য বলে হুঁশিয়ার করেছে জাতিসংঘ।