বাসস
  ৩০ মে ২০২৪, ২২:৫৫

কৃষিপণ্যের মধ্যস্বত্বভোগীদের দৌরাত্ম কমাতে হবে : বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী

ঢাকা, ৩০ মে, ২০২৪ (বাসস): দেশে উৎপাদতি কৃষিপণ্যের মধ্যস্বত্বভোগীরা বেশি মুনাফা করছে এমন অভিযোগ করে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু বলেছেন, মধ্যস্বত্বভোগীদের দৌরাত্ম কমাতে হবে।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর মতিঝিলে ডিসিসিআই অডিটোরিয়ামে ‘স্মার্ট এগ্রিকালচার; ভ্যালু চেইন উন্নয়নে চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
ঢাকা চেম্বার সভাপতি আশরাফ আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব মো. সামসুল আরেফিন।
বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু বলেন, আমদানি-রপ্তানিকারকদের সুবিধার্থে খুব শিগগিরই ঢাকা চেম্বারের একটি পূর্ণাঙ্গ হেল্প ডেস্ক স্থাপন করা হবে। যেখান থেকে ‘আইআরসি’ এবং ‘ইআরসি’ সার্টিফিকেট প্রাপ্তির সব সুবিধা থাকবে। এ বছরের শেষ নাগাদ ‘যৌথ মূলধন কোম্পানি ও ফার্মসমূহের পরিদপ্তর (আরজেএসসি)’-এর সেবার সকল কার্যক্রম পেপারলেস করা হচ্ছে। এতে ব্যবসায়ীদের ভোগান্তি হ্রাস পাবে বলে জানান তিনি।
প্রতিমন্ত্রী বলেন,স্মার্ট বাংলাদেশের জন্য স্মার্ট এগ্রিকালচারের কোনো বিকল্প নেই এবং পণ্যের মূল্য স্থিতিশীল রাখতে কার্যকর ভ্যালু চেইনের গুরুত্ব অপরিসীম। কৃষকরা তাদের উৎপাদিত পণ্যের সঠিক দাম পাচ্ছেন না, অপরদিকে ভোক্তারা বেশি দামে পণ্য ক্রয় করছে, মধ্যস্বত্তভোগীরা মুনাফা করছে, তাদের দৌরাত্ম কমাতে হবে। দেশের কোন কোন  জায়গায় তুলনামূলক কম মূল্যে পণ্য পাওয়া যাচ্ছে। এ ধরনের তথ্য প্রাপ্তির একটি প্ল্যাটফর্ম প্রণয়নের জন্য তথ্য-প্রযুক্তিবিদদের প্রতি আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, কৃষকদের ব্যবহার উপযোগী তথ্য কাঠামো প্রণয়নের কোনো বিকল্প নেই। নতুন প্রণীত ‘লজিস্টিক পলিসি ২০২৪’- তে ভ্যালু চেইনসহ অন্যান্য ব্যবসা-বাণিজ্যের অন্যান্য বিষয়গুলোর সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে এবং এ বিষয় অবগত হওয়ার জন্য উদ্যোক্তাদের প্রতি আহ্বান জানাই।
মো. সামসুল আরেফিন কৃষি ক্ষেত্রে উদ্ভাবনী কার্যক্রম বাড়ানোর উপর গুরুত্বারোপ করেন।
ঢাকা চেম্বার সভাপতি আশরাফ আহমেদ বলেন, কৃষি খাতে স্মার্ট প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে পণ্যের উৎপাদনশীলতা ২০ থেকে ৩০ শতাংশ বৃদ্ধি করা যায়। সেই সঙ্গে এ খাতে ব্যয় ২০ শতাংশ হ্রাসের পাশাপাশি কৃষকের আয় ৩০-৪০ শতাংশ বাড়ানো সম্ভব। বর্তমানে এ খাতে সাপ্লাই চেইনের অপর্যাপ্ততা, বাজারে পণ্য প্রবেশাধিকারের সুযোগ না থাকা এবং উৎপাদিত পণ্যের মূল্য সংযোজন প্রভৃতি সমস্যার মুখোমুখি হতে হচ্ছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
সেমিনারে আই ফার্মার-এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফাহাদ ইফাজ ‘এগ্রো ভ্যালু চেইনে ফ্রন্টিয়ার টেক অটোমেশনের সম্ভাবনা’ এবং সুইসকন্টাক্ট-এর সিনিয়র ম্যানেজার (প্রোগ্রাম) মোহাম্মদ সাকিব খালেদ ‘স্মার্ট এগ্রিকালচার : ইস্যুস অ্যান্ড চ্যালেঞ্জস ইন ভ্যালুচেইন ডেভেলপমেন্ট’ বিষয়ক দু’টি মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।
ফাহাদ ইফাজ বলেন, কৃষি খাতে ফ্রন্টিয়ার টেকনোলোজি ব্যবহারের মাধ্যমে উৎপাদিত পণ্যের বাজারের অভিগম্যতা বাড়ানো, উৎপাদন ব্যয় হ্রাসে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে সক্ষম।
তিনি জানান, ‘ম্যাকেনজি অ্যান্ড কোম্পানি’র তথ্য মতে, ২০৩০ সালের মধ্যে বৈশ্বিক জিডিপিতে ফ্রন্টিয়ার টেকনোলোজির অবদান থাকবে প্রায় ৫০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, তাই এ খাতের উন্নয়নে নীতি সহায়তা এবং একটি কার্যকর ইকোসিস্টেম একান্ত আবশ্যক।