বাসস
  ০২ অক্টোবর ২০২৪, ১৭:০৬
আপডেট : ০২ অক্টোবর ২০২৪, ১৯:৩৪

বাংলাদেশি কর্মী ভিসার ব্যাকলগ নিষ্পত্তি করবে ইতালি

ঢাকা, ২ অক্টোবর, ২০২৪ (বাসস): বাংলাদেশে ইতালির রাষ্ট্রদূত আন্তোনিও আলেসান্দ্রো ঢাকায় তার দূতাবাস শিগগির রোমের জোরালো সহযোগিতায় ইতালি যেতে আগ্রহী অপেক্ষমাণ বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য কাজের অনুমতিপত্র বা কর্মী ভিসা প্রক্রিয়াকরণে জমে থাকা বিপুল বকেয়া কাজের (ব্যাকলগ) সমস্যা নিষ্পত্তির পদক্ষেপ নেবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আজ বলা হয়েছে, ইতালির রাষ্ট্রদূত আজ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে প্রথমবারের মত পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে এই আশ্বাস দেন।
বৈঠকে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বাংলাদেশ থেকে ইতালিতে নিয়মিত ও প্রাণবন্ত অভিবাসন বাধাগ্রস্ত করে এমন সব ধরনের অনিয়ম রোধে অন্তর্বর্তী সরকারের দৃঢ় প্রতিশ্রুতির কথা অবহিত করেন। 
রাষ্ট্রদূত প্রতিশ্রুতির জন্য পররাষ্ট্র উপদেষ্টাকে ধন্যবাদ জানান এবং বর্তমানে কাজের ভিসা জমে থাকা নিয়ে গভীর দুঃখ প্রকাশ করেন।
উপদেষ্টা ও রাষ্ট্রদূত উভয়েই একটি শক্তিশালী এবং নিয়মিত অভিবাসন পরিকাঠামো নিশ্চিত করার জন্য শিগগির একটি দ্বিপক্ষীয় অভিবাসন ও ভ্রমণ বিষয়ক চুক্তিতে উপনীত হতে কাজ করতে সম্মত হন।
রাষ্ট্রদূত ইতালিতে বসবাসরত বাংলাদেশিদের বিশেষ করে, ক্ষুদ্র ব্যবসা, শিল্প, চলচ্চিত্র নির্মাণসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে উভয় দেশের পারস্পরিক আর্থ-সামাজিক কল্যাণে সম্পৃক্ততা ও সাফল্যের প্রশংসা করেন। 
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশ-ইতালি দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক নিবিড় উল্লেখ করে জনগণ-জনগণ, ব্যবসা, শিক্ষা ও সংস্কৃতিসহ বিভিন্নর ক্ষেত্রে দুই বন্ধুত্বপূর্ণ দেশের মধ্যে ক্রমবর্ধমান বহুমুখী সম্পৃক্ততার ইঙ্গিত দেন।
ইতালির রাষ্ট্রদূত তৈরি পোশাকসহ বিভিন্ন সেক্টরে সুদৃঢ় ব্যবসায়িক সম্পর্কের মাধ্যমে বাংলাদেশকে ইতালির প্রধান অর্থনৈতিক অংশীদার হিসেবে রাখার বিষয়ে উপদেষ্টার বক্তব্যের পুনরুক্তি করেন।
রাষ্ট্রদূত ইতালির প্রতি বাংলাদেশে ব্যাপক ক্ষেত্রে ব্যবসার সুযোগ তুলে ধরে দীর্ঘদিনের অংশীদার দেশগুলোর মধ্যে বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক সম্প্রসারণের জন্য আহ্বান জানান।
রোহিঙ্গা ইস্যুতে উভয় পক্ষই অধিকার ও নিরাপত্তাসহ রোহিঙ্গাদের তাদের নিজ ভুমি মিয়ানমারে স্থায়ীভাবে প্রত্যাবাসনের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন।
ইতালির রাষ্ট্রদূত পররাষ্ট্র উপদেষ্টাকে বাংলাদেশে রোহিঙ্গাদের জন্য মানবিক সহায়তা অব্যাহত রাখার আশ্বাস দেন।