বাসস
  ০৭ নভেম্বর ২০২৪, ১৯:২৭
আপডেট : ০৭ নভেম্বর ২০২৪, ২০:০৯

আইসিটিতে দায়েরকৃত ১২২টি অভিযোগের অধিকাংশই গুম সংক্রান্ত

ঢাকা, ৭ নভেম্বর, ২০২৪ (বাসস) : আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের (আইসিটি) প্রসিকিউশনে এ পর্যন্ত ১২২টি অভিযোগ জমা পড়েছে, যার উল্লেখযোগ্য অংশই গুমের ঘটনা বলে জানিয়েছেন আইসিটি’র প্রসিকিউটর গাজী এম এইচ তামিম।

আজ বিকেল ৫টা পর্যন্ত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে দায়েরকৃত অভিযোগ বিষয়ে বাসস’কে তিনি জানান, ‘বিগত ১৫ বছরে সংঘটিত গুমের প্রায় ৫০ থেকে ৬০টি অভিযোগ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের কাছে এসেছে। এসব অভিযোগ যাচাই করে ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থায় পাঠানো হবে। পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত সাপেক্ষে তদন্ত সংস্থার দেয়া রিপোর্ট অনুযায়ী পরবর্তীতে অভিযোগ আমলে নিবে ট্রাইব্যুনাল।’

তিনি বলেন,‘ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন বরাবর বিগত ১৫ বছরে গুমের বিভিন্ন অভিযোগ ছাড়াও জুলাই-আগস্টে গণআন্দোলন নির্মূলে পরিচালিত হত্যা-গণহত্যাসহ মানবতা বিরোধী অপরাধ এবং ২০১৩ সালের ৫ মে মতিঝিলের শাপলা চত্বরে পরিচালিত গণহত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে। পাশাপাশি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা বরাবরও প্রতিনিয়ত অভিযোগ জমা পড়ছে।’

বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলন নির্মূলে হত্যা, গণহত্যার সুনির্দিষ্ট ঘটনায় সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে তদন্ত পূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে এসব অভিযোগে আর্জি পেশ করা হয়েছে বলে তিনি জানান।

গত ১৪ অক্টোবর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল পুনর্গঠন করা হয়। ১৭ অক্টোবর শেখ হাসিনাসহ ৪৬ জনের বিরুদ্ধে মানবতা বিরোধী অপরাধের অভিযোগে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির মধ্য দিয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিচারিক কার্যক্রম শুরু হয়।

জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলন নির্মূলে আওয়ামী লীগ সরকার ও তার অনুগত প্রশাসন আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একটি অংশ গণহত্যাসহ বিভিন্ন ধরনের মানবতা বিরোধী অপরাধ সংগঠিত করে।

এর আগে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম বলেন, ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলাকালীন সময়ে সংঘটিত সকল অপরাধের বিচার অনুষ্ঠিত হবে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে।