বাসস
  ১৫ জানুয়ারি ২০২৩, ২০:৫৮

দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর তুলনায় বাংলাদেশ উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে : সরকারি দল

ঢাকা, ১৫ জানুয়ারি, ২০২৩ (বাসস) : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে ভারত ও পাকিস্তানসহ দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশ বিভিন্ন উন্নয়ন সূচকে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে। আজ সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণ সম্পর্কে আনীত ধন্যবাদ প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে আজ সরকারি দলের সদস্যরা এ কথা বলেন। 
গত ৫ জানুয়ারি সংবিধান অনুযায়ি বছরের প্রথম অধিবেশনের প্রথম দিনে সংসদে রাষ্ট্রপতি এ ভাষণ দেন। রীতি অনুযায়ি এ ভাষণ সম্পর্কে চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী ধন্যবাদ প্রস্তাব উত্থাপন করেন। এ প্রস্তাবটি সমর্থন করেন সরকারি দলের সদস্য শহীদুজ্জামান সরকার।
ধন্যবাদ প্রস্তাবের ওপর আলোচনার পঞ্চম দিনে আজ অংশ নেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা, সরকারি দলের সদস্য প্রাণ গোপাল দত্ত, উম্মে কুলসুম স্মৃতি, আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন, জাকিয়া পারভীন খানম, খন্দকার মমতা হেনা লাভলী এবং জাতীয় পার্টির সদস্য শরিফুল ইসলাম জিন্নাহ। 
সরকার গৃহীত বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকান্ড তুলে ধরে তারা বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের যোগাযোগ, আর্থ-সামাজিক, বিদ্যুৎ, কৃষি, শিক্ষা, যুব ও ক্রীড়া, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি)সহ বিভিন্ন খাতে ব্যাপক অগ্রগতি সাধিত হয়েছে।
আলোচনায় অংশ নিয়ে মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন্নেসা ইন্দিরা বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে দেশ এখন উন্নয়নের রোল মডেল। সমৃদ্ধ ও স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে ঘোষিত ২০৪১ সালের রূপকল্প যা এখন দৃশ্যমান।
প্রাণ গোপাল দত্ত বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যোগ্য নেতৃত্বের কারণে বাংলাদেশ গড় আয়ু এবং নারীর ক্ষমতায়নের মতো বিভিন্ন উন্নয়ন সূচকে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে। বাংলাদেশের গড় আয়ু ১৯৭১ সালে মাত্র ৪০ বছর থেকে ৭৩.২৯ বছরে উন্নীত হয়েছে। যেখানে ভারতে ৭০.১৯ বছরের বেশি নয় এবং পাকিস্তানে মাত্র ৬৭.৬৪ বছর। এমনকি নারীর ক্ষমতায়নের ফলে নারীদের জীবিকা ও আয়ু উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। 
আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন বলেন, বিদ্যুৎ উৎপাদনের উন্নয়নের কারণে, দেশের উৎপাদন বেড়েছে। যার প্রেক্ষিতে রপ্তানির পরিমাণ ১৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার থেকে এখন ৫১ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে। তিনি বলেন, ১৯৭৬ সালে নরওয়ের অর্থনীতিবিদ জাস্ট ফানান এবং মার্কিন অর্থনীতিবিদ জে আর পার্কিংসন “বাংলাদেশ দ্য স্টেট কেস অব ডেভেলপমেন্ট” নামে একটি গবেষণামূলক বইয়ে লিখেছিলেন, বাংলাদেশের পরিস্থিতি এতটাই খারাপ যে, যদি এই দেশটি উন্নতি করতে পারে। তাহলে নিঃসন্দেহে কলা যায়, পৃথিবীর যেকোন দেশ উন্নতি করতে পারবে। আজকে দেশের যেকোন নাগরিক মাথা উঁচু করে তাদের বলতে পারে- বাংলাদেশ উন্নতি করেছে, বাংলাদেশ উন্নতি করতে পারে। যারা বাংলাদেশের বিরুদ্ধে এই ধরনের কথা বলেছিল, সেই বিশ^ব্যাংকের প্রেসিডেন্ট ২০১৬ সালে এবং ২০২২ সালে বিশ^ব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট বাংলাদেশে এসে বলেছেন-বাংলাদেশ আজ পৃথিবীর এক বিস্ময়। বাংলাদেশের দারিদ্র বিমোচনের মডেল গোটা বিশে^র অনুসরণ করা উচিত এখানেই বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার সাফল্য। বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৬ কোটি মানুষকে সঙ্গে নিয়ে বাংলাদেশকে সেই উচ্চতায় নিয়ে গেছেন যে, বাংলাদেশ দারিদ্র বিমোচনে মডেল। 
সরকারি দলের সদস্যরা বলেন, সরকারের উন্নয়নে উর্ষান্বিত হয়ে বিএনপি-জামাত দেশের জনগণের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টির চেষ্টা চালাচ্ছে। কিন্তু এ চেষ্টা কখনো সফল হবে না। জনগণ তা ব্যর্থ করে দিবে।  তারা সরকারের গত ১৪ বছরে দেশের সব খাতে উন্নয়ন আর সাফল্যের কথা তুলে ধরে বলেন, দেশের জনগণ আজ এ সাফল্য ভোগ করছে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ একটি প্রযুক্তি নির্ভর উন্নয়নশীল দেশ হিসাবে বিশ্বের বুকে মর্যাদার সাথে মাথা উচুঁ করে দাঁড়িয়েছে। অল্প সময়ের মধ্যে বাংলাদেশের এ উন্নয়ন বিশ্বের অনেক দেশের কাছে অনুকরণীয় হচ্ছে। সরকারি দলের সদস্যরা বলেন, বৈশ্বিক মহামারি করোনার সময়ও দেশের অর্থনৈতিক চাকা চালু রেখে উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রাখা সম্ভব হয়েছে।