বাসস
  ০১ মার্চ ২০২৩, ২৩:১৯

প্রকৃতির ওপর প্রাপ্য অংশ থেকে কোনো দেশকে বঞ্চিত করা যাবে না : মোমেন

নয়াদিল্লি, ১ মার্চ, ২০২৩ (বাসস): বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন আজ বলেছেন, নদী সহ প্রকৃতিতে তার প্রাপ্য অংশ থেকে কোনো দেশকে বঞ্চিত করা উচিত নয়।
‘ভৌগোলিক নদী সহ প্রকৃতির সুবিধা নেওয়ার জন্য আমাদের ভাগ্য নির্ধারণ হয়েছে, একটি দেশকে তার প্রাপ্য অংশ থেকে বঞ্চিত করা উচিত নয়।’ এ কথা উল্লেখ করে তিনি সতর্ক করে দিয়েছেন যে, সকলের মনে রাখা উচিত যে ঘরোয়া রাজনীতির বিষয়গুলো যেন অন্য দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের অনুভূতিতে আঘাত না করে।
জি ২০ পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠকে যোগ দিতে মন্ত্রী এখন নয়াদিল্লিতে রয়েছেন, তিনি বিবেকানন্দ ইন্টারন্যাশনাল ফাউন্ডেশন (ভিআইএফ)-এ ‘অভিন্ন সমৃদ্ধির জন্য শান্তির সংস্কৃতি জোরদার : দক্ষিণ এশিয়ার একটি দৃষ্টিভঙ্গি’ শিরোনামের একটি পাবলিক বক্তৃতায় এখানে আজ সন্ধ্যায় এই মন্তব্য করেন। 
নতুন দিল্লি ভিত্তিক একটি থিঙ্ক ট্যাঙ্ক প্রতিষ্ঠান বিবেকানন্দ ইন্টারন্যাশনাল ফাউন্ডেশনের পরিচালক  ডঃ অরবিন্দ গুপ্ত অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন। এতে কূটনীতিক, শিক্ষাবিদ, নীতি ও নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা উপস্থিত ছিলেন।
অর্থনৈতিক সহযোগিতার বিষয়ে তিনি বলেন, বাণিজ্যের সম্ভাবনা পূরণের জন্য একটি দেশের হঠাৎ করে শুল্ক ও অশুল্ক বাধা আরোপ করা উচিত নয় কারণ এটি প্রবৃদ্ধির ইঞ্জিন এবং বিনিয়োগের সাথে হাতে হাত মিলিয়ে চলে।
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বিরাজমান বাণিজ্য বাধার কারণে বিশ্বে যে কোন অঞ্চলের চেয়ে দক্ষিণ এশিয়ার আন্তঃআঞ্চলিক বাণিজ্য সর্বনিম্ন স্তরে রয়েছে, তাই অর্থনৈতিক ও বাণিজ্য সমৃদ্ধির জন্য সব দেশেরই এক দেশ থেকে অন্য দেশে বিনিয়োগের উপর বিধিনিষেধ তুলে নেওয়া উচিত।
শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের উপর জোর দিয়ে তিনি বলেন, আমাদের অঞ্চলের স্থিতিশীলতা ও সমৃদ্ধি একে অপরের সাথে অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িত এবং একে অপরের সাথে পারস্পরিক স্বার্থে সম্পর্ক জোরদার করার মাধ্যমে এই অঞ্চলের ভবিষ্যত সর্বোত্তম সমৃদ্ধির দিকে এগিয়ে যেতে পারে। 
মন্ত্রী বিভাজনের পরিবর্তে আঞ্চলিক সহযোগিতা বাড়ানোর উপর জোর দেন কারণ আঞ্চলিক সহযোগিতার শিকড় যে কোনো দেশের রাজনৈতিক, সামাজিক ও অর্থনৈতিক পারফরম্যান্সে বিদ্যমান ভিন্নতা নির্বিশেষে এই অঞ্চলের জনগণের সামাজিক ও অর্থনৈতিক সুবিধার উপলব্ধিতে নিহিত রয়েছে।
তিনি বলেন, ‘যেহেতু আমাদের অঞ্চলটি খুবই অস্থির এবং মাঝে মাঝে আবেগে পরিপূর্ণ, তাই বিজ্ঞানী, অর্থনীতিবিদ, সাহিত্যিক এবং সাংবাদিকরা সহ বুদ্ধিজীবী সম্প্রদায় যে কোনও নেতিবাচক প্রপাগান্ডাকে বাতিল করে এই অঞ্চলের ভাল ও মঙ্গলের জন্য সঠিক এবং গঠনমূলক কর্মসূচি প্রণয়নে ইতিবাচক এবং মূল্যবান অবদান রাখতে পারেন।’