বাসস
  ০৩ মার্চ ২০২৩, ২২:০৯

জি২০-কে বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ কাটাতে প্রচেষ্টা চালানোর আহ্বান শাহরিয়ারের

নয়াদিল্লি, ৩ মার্চ, ২০২৩ (বাসস) : পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম আজ জি২০ দেশগুলোকে জলবায়ুু পরিবর্তন, মহামারী-পরবর্তী পুনরুদ্ধার, সরবরাহ শৃঙ্খলে বিঘœ, খাদ্য নিরাপত্তা, শক্তি ও অর্থনৈতিক সংকটের মতো বর্তমান বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ কাটিয়ে উঠতে প্রচেষ্টা চালানোর আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, জি২০ প্ল্যাটফর্ম গ্লোবাল সাউথের দেশগুলোকে এসডিজি বাস্তবায়নে অর্থায়ন, প্রযুক্তি ও সক্ষমতা বৃদ্ধিসহ বাস্তবায়নের উপায় জোগান দিতে পারে।
শাহরিয়র এখানে ভূ-রাজনীতি এবং ভূ-কৌশল বিষয়ক ভারতের উদ্যোগে আয়োজিত সম্মেলন রাইজিনা ডায়ালগের ৮ম সংস্করণে ‘বিকাশমান ভূ-রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে জি২০-এর সম্ভাব্য ভূমিকা’ বিষয়ে একটি প্যানেল আলোচনায় অংশ নিয়ে এই মন্তব্য করেন।
অন্যান্য প্যানেল আলোচক ছিলেন কানাডা, তুরস্ক ও মেক্সিকোর পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং ইইউ’র পররাষ্ট্র ও নিরাপত্ত বিষয়ক উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি।
আলোচনায় অংশ নিয়ে বাংলাদেশের প্রতিমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে সব ক্ষেত্রেই বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য অগ্রগতির দিকে জি-২০ দেশসহ বিশ্ব সম্প্রদায়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
তিনি অন্যান্য দেশকে এই বিস্ময়কর যাত্রার অংশ হতে আহ্বান জানান। তিনি জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের অবিলম্বে বাংলাদেশ থেকে মিয়ানমারে প্রত্যাবাসন নিশ্চিত করতে জি-২০ দেশগুলোকে সক্রিয়ভাবে সম্পৃক্ত থাকার আহ্বান জানান।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও নয়াদিল্লি-ভিত্তিক স্বাধীন গ্লোবাল থিংক ট্যাংক অবজার্ভার রিসার্চ ফাউন্ডেশন (ওআরএফ)-এর পৃষ্ঠপোষকতায় গতকাল এখানে ৩ দিনব্যাপী রাইজিনা সংলাপ শুরু হয়।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি গতকাল সংলাপের উদ্বোধন করেন। ইতালির মন্ত্রী পরিষদের সভাপতি মিসেস জর্জিয়া মেলোনি প্রধান অতিথি হিসেবে উদ্বোধনী অধিবেশনে উপস্থিত ছিলেন।
মন্ত্রী, সাবেক রাষ্ট্রপ্রধান ও সরকার প্রধান, সামরিক কমান্ডার, শিল্পের কর্ণধার ক্যাপ্টেন, প্রযুক্তি নেতবৃন্দ, শিক্ষাবিদ, সাংবাদিক, কৌশলগত বিষয়ের বিশেষজ্ঞ, নেতৃস্থানীয় থিংক ট্যাংকের বিশেষজ্ঞ ও তরুণরাসহ ১০০টিরও বেশি দেশের প্রতিনিধিরা সংলাপে যোগ দেন।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ভারতের জি২০ সভাপতিত্বের প্রেক্ষাপটে এ বছরের সম্মেলনটি বিশেষ গুরুত্ব বহন করে।
এবারের সম্মেলনের থিম হল: ‘উসকানি, অনিশ্চয়তা, গোলযোগ: সামুদ্রিক ঝড়ে বাতিঘর?’।
পরে, বাংলাদেশের প্রতিমন্ত্রী রাইজিনা সংলাপের সাইডলাইনে ইউরোপীয় ইউনিয়নের উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি জোসেপ বোরেল ফন্টেলেসের সঙ্গে বৈঠক করেন।
তিনি স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের পরও বাংলাদেশ যাতে একটি উল্লেখযোগ্য সময়ের জন্য অগ্রাধিকারমূলক আচরণ থেকে লাভবান হতে পারে বাংলাদেশের এ পুনরাবৃত্ত আহ্বান ইউরোপীয় ইউনিয়নের কাছে পৌঁছে দেন।
তিনি রোহিঙ্গা সংকট মোকাবেলায় ইইউ’র সমর্থনও চেয়েছেন। জবাবে ইউরোপীয় ইউনিয়নের উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি তাকে রোহিঙ্গাদের দ্রুত প্রত্যাবাসনে ইইউর সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
সন্ধ্যায় প্রতিমন্ত্রী আলম এখানে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী রাজকুমার রঞ্জন সিংয়ের সাথে দেখা করেন। এ সময় তারা পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট দ্বিপক্ষীয় বিষয়ে বর্ধিত বিনিময় ও সহযোগিতার গুরুত্ব পুনর্ব্যক্ত করেন।
সূত্র জানায়, তিনি ভারতের উত্তর-পূর্ব রাজ্যগুলোর সাথে বিশেষ করে উন্নয়ন, সংযোগ ও জনগণ-জনগণ যোগাযোগের ক্ষেত্রে সহযোগিতা জোরদারে বাংলাদেশ সরকারের আগ্রহের বার্তা পৌঁছে দেন।