বাসস
  ২৮ মার্চ ২০২৩, ২০:০৯
আপডেট : ২৮ মার্চ ২০২৩, ২৩:১৬

রাজধানীতে মোবাইল ভ্যান থেকে কম দামে মাংস, দুধ ও ডিম বিক্রি শুরু 

ঢাকা, ২৮ মার্চ, ২০২৩ (বাসস): পবিত্র রমজান মাসে ক্রেতারা যাতে কম দামে পণ্য কিনতে পারেন সেজন্য সরকার রাজধানীতে মাংস, দুধ ও ডিম বিক্রি শুরু করেছে।
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের (ডিএলএস) পরিচালক (প্রশাসন) ডা. রিয়াজুল হক বলেন, পবিত্র রমজান মাসে পুষ্টির চাহিদা পূরণ এবং সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী ও উৎপাদকদের সহায়তার পাশাপাশি সরবরাহ অব্যাহত রাখতে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় মাসব্যাপী এই বিক্রয় কর্মসূচি শুরু করেছে।
এই কর্মসূচির আওতায় সরকার রাজধানীর ২০টি স্পটে মোবাইল পিকআপ কুল ভ্যানে করে তরল দুধ, গরুর মাংস, খাসির মাংস, ড্রেসড ব্রয়লার মুরগি ও ডিম বিক্রি করবে।
ডিএলএস পরিচালক ডা. এবিএম খালেদুজ্জামান বাসস’র সাথে আলাপকালে বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে প্রতিটি স্পটে ১০০ কেজি গরুর মাংস, ১০ কেজি খাসির মাংস, ২০০ লিটার তরল দুধ, ৫০ কেজি ড্রেসড ব্রয়লার মুরগি এবং ২ হাজার পিস ডিম বিক্রি করা হচ্ছে ।’
পরিচালক (উৎপাদন) জানান, পণ্যের সরবরাহ বাড়াতে এবং চাহিদা অনুযায়ী পর্যায়ক্রমে দাম কমানোর পরিকল্পনা সরকারের রয়েছে।
প্রতি কেজি ড্রেসড ব্রয়লার মুরগি ৩৪০ টাকা, গরুর মাংস ৬৪০ টাকা, খাসির মাংস ৯৪০ টাকা, প্রতি লিটার তরল দুধ ৮০ টাকা এবং প্রতি পিস ডিম ১০ টাকায় পাবেন।
এর আগে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম রমজানের প্রথম দিনে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরে এই কর্মসূচির উদ্বোধন করেন এবং তা ২৮ রমজান পর্যন্ত চলবে।
২০টি স্পট হলো- নতুন বাজার (বাড্ডা),  কড়াইল বস্তি (বনানী), খামারবাড়ী (ফার্মগেট), আজিমপুর মাতৃসদন, গাবতলী, দিয়াবাড়ী (উত্তরা), জাপান গার্ডেন সিটি (মোহাম্মদপুর), ষাটফিট রোড (মিরপুর), খিলগাঁও, আব্দুল গণি রোড (সচিবালয়ের কাছে), সেগুন বাগিচা (কাঁচা বাজার), আরামবাগ (মতিঝিল), রামপুরা, কালশী (মিরপুর), যাত্রাবাড়ী (মানিকনগর গলি), বসিলা (মোহাম্মদপুর), হাজারীবাগ, লুকাস মোড় (নাখালপাড়া), নয়াবাজার (পুরান ঢাকা) ও কামরাঙ্গীর চর। 
মোবাইল ভ্যানগুলো সকাল ৯টার মধ্যে এই বিশেষ পণ্যসমূহ লোড করে নির্ধারিত স্পটে থাকবে। 
জনগণের সাড়া সম্পর্কে ডিএলএস পরিচালক (সম্প্রসারণ) ড. এম শাহিনুর আলম বলেন, ‘আমরা এ ব্যাপারে জনগণের কাছ থেকে ব্যাপক সাড়া পাচ্ছি।’ নগরীর গাবতলী স্পটের তদারককারী আলম বলেন, ‘আমরা সরবরাহ বাড়ানোর চেষ্টা করছি, কিন্তু গরুর মাংসের চাহিদা এখন অনেক বেশি।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমরা তাদের চাহিদা অনুযায়ী পণ্যের সরবরাহ বাড়ানোর চেষ্টা করছি।’
কর্মসূচির তদারকি ও মনিটরিংয়ের জন্য ইতিমধ্যে মন্ত্রণালয়ের একজন অতিরিক্ত সচিবের নেতৃত্বে একটি উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠন করা হয়েছে।
এমনকি প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর (ডিএলএস), প্রাণিসম্পদ ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্প, বাংলাদেশ পোল্ট্রি ইন্ডাস্ট্রিজ সেন্ট্রাল কাউন্সিল এবং বাংলাদেশ ডেইরি ফার্মার্স অ্যাসোসিয়েশনের কর্মকর্তা ও প্রতিনিধিরাও এই কর্মসূচির তদারকি করবেন।