বাসস
  ২১ জুন ২০২৩, ২০:১১

দেশেই টিকা উৎপাদনে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সাথে আমেরিকার ডিআইআইয়ের সমঝোতা স্বাক্ষরিত

ঢাকা, ২১ জুন, ২০২৩ (বাসস): দেশে ১৩ রকমের টিকা উৎপাদনে রাষ্ট্রীয় ঔষধ প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান এসেনসিয়াল ড্রাগস্ কোম্পানি লিমিটেড (ইডিসিএল) এবং যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক কোম্পানি ডায়াডিক ইন্টারন্যাশনালের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরিত হয়েছে।
আজ বুধবার দুপুরে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এই সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরিত হয়।
সমঝোতা স্মারকের আওতায় আমেরিকার ডায়াডিক ইন্টারন্যাশনাল দেশে ভ্যাকসিন উৎপাদন, সংরক্ষণ এবং মান-নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজনীয় কারিগরি সহায়তা প্রদান করবে। 
অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব ড. মু আনোয়ার হোসেন হাওলাদার, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এবিএম খুরশীদ আলম, ডায়াডিক ইন্টারন্যাশনাল ইনকর্পোরেটেড এর সিইও মার্ক এমালফারব, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার খুরশিদ আলম, বিএসএমএমইউ এর ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ডা. শারফুদ্দিন আহমেদ এবং ইডিসিএল এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. এহসানুল কবীর প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। 
অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ভ্যাকসিন প্লান্টটি গোপালগঞ্জে প্রায় নয় একর জায়গায় স্থাপিত হবে। ইতোমধ্যে ভূমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। এখানে করোনা ভ্যাক্সিন সহ প্রায় ১৩ রকমের ভ্যাক্সিন তৈরি করা হবে। 
জাহিদ মালেক বলেন, বিশ্বের মাত্র ৫টি দেশ এই মানের ভ্যাক্সিন উৎপাদন করতে পারে। আমরাও উৎপাদনে চলে গেলে আমরা দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশেও ভ্যাক্সিন রপ্তানি করে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা আয় করতে পারবো। এর সাথে আমাদের দেশে বহুসংখ্যক কর্মসংস্থানও সৃষ্টি হবে। 
আমেরিকার ডায়াডেক সম্পর্কে বলতে গিয়ে মন্ত্রী জানান, তারা আমাদেরকে কারিগরি সহায়তা প্রদান করবে, লোকবল ও প্রশিক্ষণ সহায়তা দেবে। এখানে তাদের কোন অংশীদারিত্ব থাকবে না। এখানে যে ভ্যাকসিনগুলো তৈরি হবে সেগুলো আন্তর্জাতিক মানের হবে। এই বিষয়ে তারা আমাদেরকে সাহায্য সহযোগিতা প্রদান করবে। 
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা আশা করছি আগামী চার বছরে আমরা উৎপাদনে যেতে পারবো। এই প্লান্টে আমরা প্রথমে করোনা ভ্যাকসিন এবং পর্যায়ক্রমে আমাদের প্রয়োজনীয় সকল ভ্যাক্সিন উৎপাদন করব। এই ভ্যাকসিন প্লান্ট তৈরিতে আমরা সাড়ে তিনশো মিলিয়ন ইউএস ডলারের আশ্বাস আছে।  এরপর আমাদের প্রয়োজন অনুযায়ী খরচ করতে হবে। 
এসেনসিয়াল ড্রাগস্ কোম্পানি লিমিটেডের পক্ষে ইডিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক অধ্যাপক ডা. এহসানুল কবির এবং ডাইডিক ইন্টারন্যাশনাল ইনকর্পোরেটেড এর সিইও মার্ক এমালফারব সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেন।