বাসস
  ১৬ জুলাই ২০২৩, ১৮:২১

দেশের ১ কোটি পরিবারের মাঝে টিসিবি’র স্বল্পমূল্যে চাল বিতরণ কার্যক্রম চালু

ঢাকা, ১৬ জুলাই, ২০২৩ (বাসস) : ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ’র (টিসিবি) ফ্যামিলি কার্ডধারীরা এখন থেকে তেল, চিনি ও ডাল ছাড়াও জনপ্রতি ৫ কেজি করে চালও কিনতে পারবেন। টিসিবি আজ থেকে সারাদেশে চাল বিক্রির এ কার্যক্রম চালু করেছে।
খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার রোববার রাজধানীর উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) ১ নম্বর ওয়ার্ডে আনুষ্ঠানিকভাবে নতুন এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
এ কর্মসূচির আওতায় টিসিবি’র ফ্যামিলি কার্ডধারী এক কোটি পরিবারের মধ্যে কেজি প্রতি ৩০ টাকা দরে ৫ কেজি করে চাল দেওয়া হবে। দেশব্যাপী এ কার্যক্রমে টিসিবির ডিলাররা নির্ধারিত ‘দিন ও সময়ে’ তেল, চিনি ও ডালের সাথে চালও বিক্রি করবেন।
রোববার খাদ্য মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, একজন কার্ডধারী ২০০ টাকায় দুই লিটার সয়াবিন তেল, ১২০ টাকায় দুই কেজি মসুর ডাল, ৭০ টাকায় এক কেজি চিনি ও ১৫০ টাকায় ৫ কেজি চাল কিনতে পারবেন।
টিসিবি’র মাধ্যমে চাল বিতরণ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুচিন্তার ফসল-এ কথা উল্লেখ করে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশেনায় জনসাধারণ টিসিবির মাধ্যমে তেল, ডাল, চিনির মত নিত্য-প্রয়োজনীয় পণ্য সূলভে পাচ্ছে। এর সাথে চাল যুক্ত করায় তাদের আরো সুবিধা হবে।
টিসিবি’র চাল বিক্রি কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনবান্ধব চিন্তাকে আজ বাস্তব রুপ দেওয়া হলো।’
 তিনি বলেন, বৈশ্বিক মহামারি করোনার (কভিড-১৯) শুরু হয় রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। এতে সারা বিশ্বে নিত্যপণ্যের দামও বেড়ে যায়। এই অবস্থা থেকে দেশের নিম্ন আয়ের মানুষকে সহযোগিতা করার জন্য সরকার এক কোটি পরিবারের মধ্যে স্বল্পমূল্যে নিত্য-পয়োজনীয় দ্রব্য বিক্রির সিদ্ধান্ত নেয়। এছাড়াও সরকারের ওএমএস, খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি ও জেলেদের জন্য বিশেষ খাদ্য সহায়তা কর্মসূচি চলমান রয়েছে।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, বছরে প্রায় ৩০ লাখ মেট্রিক টন খাদ্যশস্য বিতরণ করা হয়। এর সাথে টিসিবি’র ১ কোটি কার্ডধারীর মাঝে বছরে ৬ লাখ মেট্রিক টন চাল দেওয়া হলে বাজারের ওপর চাপ কমবে এবং এতে করে চাল উদ্বৃত্ত থাকবে। সাশ্রয়ী মূল্যে পণ্য কিনতে পারায় নিম্ন আয়ের মানুষেরও সুবিধা হবে।
সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, বলেন, টিসিবি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাতে গড়া প্রতিষ্ঠান। এক সময় এর কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গিয়েছিলো। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা টিসিবিকে পুনরায় চালু করেন। সাধারণ মানুষ এখন টিসিবির সুফল পাচ্ছে।
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, টিসিবির লক্ষ্য হচ্ছে, কম দামে চাল বিক্রির কার্যক্রমে সাধারণ মানুষকে যুক্ত করা। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশেই নিত্যপণ্যের সাথে চাল দেওয়া হচ্ছে, যাতে জনসাধারণ উপকৃত হয়।
তিনি বলনে, ১ কোটি পরিবার চাল পাওয়া মানে ৫ কোটি মানুষ সরাসরি এর মাধ্যমে উপকৃত হওয়া। এসময় তিনি টিসিবির কার্যক্রম সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে বাস্তবায়নে গণমাধ্যমকেও সক্রিয় ভূমিকা রাখার আহবান জানান।
অন্যান্যেও মধ্যে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ ও খাদ্য সচিব মোঃ ইসমাইল হোসেন অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন।
উলে¬খ্য, সরকার টিসিবির মাধ্যমে সারাদেশে নিম্ন আয়ের এক কোটি পরিবারের কাছে কম দামে সয়াবিন তেল, মসুর ডাল ও চিনি বিক্রি করে আসছে। মহানগরী ছাড়াও দেশের বিভাগীয় শহর, জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে টিসিবির স্থায়ী ডিলারদের কাছ থেকে নির্ধারিত দিন ও সময়ে তেল, মসুর ডাল  চিনির পাশাপাশি সাশ্রয়ী মূল্যে এখন  চালও কিনতে পারবেন ক্রেতারা।