বাসস
  ১৬ জুলাই ২০২৩, ১৮:৫৩
আপডেট : ১৬ জুলাই ২০২৩, ১৮:৫৭

দুগ্ধ খামারীদের সহায়তার লক্ষ্যে প্রাণ ডেইরী ও রাকাবের চুক্তি

ঢাকা, ১৬ জুলাই, ২০২৩ (বাসস) : দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে প্রাণ এর চুক্তিবদ্ধ দুগ্ধ খামারীদের সহায়তার লক্ষ্যে রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক (রাকাব) ও প্রাণ ডেইরী’র মধ্যে সাপ্লাই চেইন ফ্যাইন্যান্স সংক্রান্ত একটি চুক্তি সাক্ষরিত হয়েছে।
এ চুক্তির ফলে খামারীরা দুধ সরবরাহের সঙ্গে সঙ্গে দুধের মূল্য ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে পেয়ে যাবেন। এছাড়া খামারীরা চাইলে ব্যাংক থেকে সহজে প্রয়োজনীয় ঋণ সহায়তা পাওয়ার মাধ্যমে বড় খামার প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হবেন। এতে খামারীদের আর্থিক স্বচ্ছলতার পাশাপাশি দেশে দুধের উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে।
বৃহস্পতিবার বিকালে রাজধানীর বাড্ডায় প্রাণ গ্রুপের প্রধান কার্যালয়ে রাকাব এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক নিরঞ্জন চন্দ্র দেবনাথ ও প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের পরিচালক (কর্পোরেট ফাইন্যান্স) উজমা চৌধুরী নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে এ সংক্রান্ত চুক্তিতে সই করেন। এসময় রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকের চেয়ারম্যান রইছউল আলম মন্ডল ও প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাহী আহসান খান চৌধুরীসহ দু’পক্ষের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
রাকাব ব্যবস্থাপনা পরিচালক নিরঞ্জন চন্দ্র দেবনাথ বলেন, দেশের দুগ্ধ খাত এগিয়ে নিতে এ পদক্ষেপ খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। চুক্তির ফলে দুগ্ধ খামারী ও দুগ্ধ প্রক্রিয়াজাতকারী প্রতিষ্ঠান প্রয়োজনীয় অর্থায়ন পাবে।
এ বিষয়ে উজমা চৌধুরী বলেন, ‘এ ধরনের উদ্যোগে আমাদের স্মার্ট বাংলাদেশের পথে ধীরে ধীরে এগিয়ে যেতে সহায়তা করবে। খামারীরা দুধ সরবরাহের সাথে সাথে ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে দুধের মূল্য পাবেন। এছাড়া খামরীরা দুধের ভরা মৌসুমে অধিক পরিমাণ দুধ সরবরাহ করতে পারবেন। এতে রাকাবের পক্ষ থেকে অর্থায়নে সহায়তা করা হবে। প্রাণ ভরা মৌসুমে অধিক পরিমাণ প্রাপ্ত দুধ প্রক্রিয়াজাত করে গুড়ো দুধে রুপান্তর করতে পারবে যা শুষ্ক মৌসুমে দুধের চাহিদা পূরণ করতে ভূমিকা রাখবে।’
তিনি আরও বলেন, প্রাণ ডেইরী প্রান্তিক দুগ্ধ চাষীদের কাছ থেকে দুধ সংগ্রহ করে প্রক্রিয়াজাতের মাধ্যমে বিভিন্ন দুগ্ধজাত পণ্য যেমন পাস্তুরিত দুধ, গুড়া দুধ, ঘি, স্বাদযুক্ত দুধ, দই, মিষ্টি, মাঠা, চিজসহ বিভিন্ন পণ্য উৎপাদন ও বিপণন করে আসছে। দুধের এ বহুমুখী ব্যবহারের ফলে একদিকে যেমন দেশের পুষ্টির চাহিদা মেটাতে বড় ভূমিকা রাখছে, অন্যদিকে প্রান্তিক দুগ্ধ চাষীদের ন্যায্যমূল্য পেতে এবং অর্থনৈতিকভাবে সাবলম্বি হয়ে উদ্যোক্তা হতে সহায়তা করছে। এ ধরনের চুক্তির ফলে দেশের অভ্যন্তরে দুধের অধিক উৎপাদন ও সঠিক প্রক্রিয়াজাতকরণের ফলে সারাবছর দুধের চাহিদা পূরণ করা সম্ভব হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।