
ঢাকা, ১ নভেম্বর, ২০২৫ (বাসস) : আজ এক অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেছেন, সমবায় হলো সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নের একটি মডেল। যা পারস্পরিক সহযোগিতা, সমতা ও যৌথ দায়িত্ববোধের মাধ্যমে অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নকে এগিয়ে নিয়ে যায়।
রাজধানীর আগারগাঁওয়ে ‘৫৪তম জাতীয় সমবায় দিবস-২০২৫’ উপলক্ষে সমবায় অধিদপ্তরের মাল্টিপারপাস হলে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বক্তারা আজ এ কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের সচিব (রুটিন দায়িত্ব) মো. ইসমাইল হোসেন।
এতে আরও বক্তব্য রাখেন সমবায় অধিদপ্তরের রেজিস্ট্রার ও মহাপরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মুনিমা হাফিজ, অতিরিক্ত রেজিস্ট্রার (ইপিপি) মো. আহসান কবির এবং সমবায় অধিদপ্তরের রেজিস্ট্রার ও বিসিএস সমবায় সমিতির সভাপতি কাজী মেসবাহ উদ্দিন আহমেদ।
বক্তারা বলেন, একজন ব্যক্তির সীমিত সক্ষমতা যখন অনেকের সম্মিলিত শক্তির মাধ্যমে বৃদ্ধি পায়, তখনই ‘সমবায়’ গড়ে ওঠে।
তারা উল্লেখ করেন, সমবায় কেবল অর্থনৈতিক সংগঠন নয়, এটি একটি সামাজিক দর্শনও, যা মানুষকে পারস্পরিক উন্নয়ন ও কল্যাণে একসঙ্গে কাজ করতে অনুপ্রাণিত করে।
বক্তারা আরও বলেন, সমবায় ব্যবস্থা মানুষকে শোষণ ও বৈষম্য থেকে মুক্ত করে এবং অর্থনৈতিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করে। যেখানে ধনী-গরিব, নারী-পুরুষ, শিক্ষিত-অশিক্ষিত সবাই সমান অধিকার ভোগ করেন।
বক্তারা জানান, বর্তমানে দেশে মোট ১ লাখ ৭৪ হাজার ৯৩০টি সমবায় রয়েছে। যেখানে প্রায় ১৫ লাখ ৯৫ হাজার ৭৪২ জনের কর্মসংস্থান হয়েছে এবং যার কার্যকর মূলধন ৩৮ হাজার ১০৭ কোটি ৮১ লাখ টাকা।
সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগের কথা উল্লেখ করে তারা বলেন, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের অধীনে সমবায় অধিদপ্তর ‘ইন্টিগ্রেটেড ডিজিটাল সার্ভিস ডেলিভারি প্ল্যাটফর্ম’ বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিয়েছে, যার মাধ্যমে সকল সমবায় সেবা একটি ডিজিটাল কাঠামোর আওতায় এনে স্বচ্ছতা, দক্ষতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত হবে।
বক্তারা ১৯৭৩ সালে প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশ মিল্ক প্রডিউসার্স কো-অপারেটিভ ইউনিয়ন লিমিটেড (মিল্ক ভিটা) এর কথা উল্লেখ করেন যা, ১ কোটি ১২ লাখ টাকার সরকারি সহায়তায় গঠিত হয় এবং দুগ্ধ খামারিদের স্বার্থ রক্ষা ও দুধ উৎপাদন বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
বক্তারা তাদের দৃঢ় বিশ্বাস ব্যক্ত করে বরেন, একটি সমবায়ভিত্তিক সমাজ গঠনের মাধ্যমে টেকসই উন্নয়ন ও উন্নত, সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তোলা সম্ভব।