
ঢাকা, ১২ নভেম্বর, ২০২৫ (বাসস) : রাজধানীর সূত্রাপুরে চাঞ্চল্যকর মামুন হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। ঘটনার সঙ্গে জড়িত পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের কাছ থেকে দু’টি বিদেশি পিস্তল, ছয় রাউন্ড গুলি, দু’টি ম্যাগজিন, দু’টি মোটরসাইকেল ও ১ লাখ ৫৩ হাজার ৬৪০ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে।
আজ বুধবার মিন্টো রোডের ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) অতিরিক্ত কমিশনার শফিকুল ইসলাম এ কথাগুলো বলেন।
ডিবি প্রধান শফিকুল ইসলাম জানান, গত ১০ নভেম্বর সূত্রাপুর এলাকায় মামুনকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় সন্ত্রাসীরা। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় স্থানীয়রা তাকে ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়, পরে ঢাকা মেডিকেলে স্থানান্তর করলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
তিনি জানান, ঘটনার পর উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশে ডিবি ছায়া তদন্ত শুরু করে। আশপাশের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ ও বিশ্লেষণ করে অভিযুক্তদের শনাক্ত করা হয়। পরবর্তীতে ঢাকা, নরসিংদী ও সিলেটে একাধিক স্থানে অভিযান চালিয়ে পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন— ফারুক, রবিন, রুবেল, ইউসুফ ও শামীম। তাদের মধ্যে ফারুক ও রবিন সরাসরি মামুনকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। তারা হত্যার পর ঘটনাস্থল ত্যাগ করে রুবেলের কাছে অস্ত্র জমা দেয়। পরে রুবেল ওই অস্ত্রগুলো ইউসুফের কাছে সংরক্ষণের জন্য হস্তান্তর করে।
জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃতরা জানায়, ঢাকার কাফরুল এলাকার শীর্ষ সন্ত্রাসী রনির নির্দেশে মামুনকে হত্যার পরিকল্পনা করা হয়। পূর্বে কয়েক দফা চেষ্টা ব্যর্থ হওয়ার পর গত ১০ নভেম্বর মামলার হাজিরার দিনকে হত্যার উপযুক্ত সময় হিসেবে বেছে নেয় তারা। রনির কাছ থেকে মোট ২ লাখ টাকা পারিশ্রমিক পায় ফারুক ও রবিন—প্রত্যেকে ১ লাখ টাকা করে।
ডিবি প্রধান বলেন, গ্রেফতারের পর রুবেল ও ইউসুফের দেখানো মতে, মোহাম্মদপুরের রায়েরবাজার এলাকা থেকে দু’টি বিদেশি পিস্তল, গুলি ও ম্যাগজিন উদ্ধার করা হয়।
ডিবি প্রধান বলেন, ‘আমরা মাত্র ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই মামলাটি উদঘাটন করতে সক্ষম হয়েছি। সাংবাদিকদের তাৎক্ষণিক সহযোগিতা ও সিসিটিভি ফুটেজের কারণে অপরাধীদের শনাক্ত করতে সুবিধা হয়েছে।’
পলাতক সন্ত্রাসী রনিকে গ্রেফতারের জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান তিনি।