
ঢাকা, ১২ নভেম্বর, ২০২৫ (বাসস) : ঘুষ ও দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত অর্থ স্থানান্তর ও রূপান্তরের মাধ্যমে মানিলন্ডারিংয়ের অভিযোগে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীর এবং তার স্ত্রী সিতারা আলমগীরের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
আজ বুধবার দুদক প্রধান কার্যালয়ে এক নিয়মিত মিডিয়া ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান দুদক মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন।
আজ দুদকের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ শাহজাহান মিরাজ বাদী হয়ে সংস্থাটির সমন্বিত জেলা কার্যালয়, ঢাকা-১-এ মামলাটি দায়ের করেন।
এজাহারে উল্লেখ করা হয়, আসামি ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীর (৮৩) ও তার স্ত্রী সিতারা আলমগীর (৮০) ঘুষ ও দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত অবৈধ অর্থের প্রকৃতি, উৎস, অবস্থান, মালিকানা ও নিয়ন্ত্রণ গোপন করার উদ্দেশ্যে একাধিক ব্যাংক হিসাবে অর্থ স্থানান্তর ও রূপান্তর করেছেন।
দুদকের অনুসন্ধানে দেখা যায়, ২০০৯ সাল থেকে ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত সময়ের মধ্যে আসামিদ্বয়ের নামে ও স্বার্থ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন হিসাবে মোট বাংলাদেশি ২১৬ কোটি ১ লাখ ৬৩ হাজার ৪৯ টাকা এবং ৬ হাজার ১৮৮ মার্কিন ডলার জমা হয়। পরবর্তীতে উক্ত সময়ের মধ্যে তা উত্তোলন করা হয়।
এজাহারে আরও বলা হয়, এসব অর্থ মাহবুবুল হক চিশতি, রাশেদুল হক চিশতি, মোহাম্মদ গোলাম রসুল ও মীর আল আমিনের নামীয় বা মালিকানাধীন বিভিন্ন ব্যাংক হিসাবে জমা ও স্থানান্তরিত হয়।
কিন্তু আসামিরা এবং উল্লিখিত ব্যক্তিদের মধ্যে কোনো ব্যবসায়িক সম্পর্ক বা বৈধ আর্থিক লেনদেনের প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
দুদক মনে করে, ঘুষ ও দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত অর্থকে বৈধতার ছদ্মাবরণ দিতে এক হিসাব থেকে অন্য হিসাবে স্থানান্তর ও রূপান্তরের মাধ্যমে মানিলন্ডারিং সংঘটিত হয়েছে, যা মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪(২) ও ৪(৩) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
ঘটনার সময়কাল ২০০৯ সাল থেকে ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত এবং ঘটনার স্থান হিসেবে পদ্মা ব্যাংক পিএলসি, যমুনা ব্যাংক পিএলসি, আইএফআইসি ব্যাংক পিএলসিসহ একাধিক ব্যাংকের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।