বাসস
  ০৯ ডিসেম্বর ২০২৩, ১৯:৪১

ব্যাটিংয়ে উন্নতি চান শান্ত

ঢাকা, ৯ ডিসেম্বর ২০২৩ (বাসস) : টেস্টে বড় দলগুলোকে হারানোর জন্য দলেল ব্যাটিংয়ে উন্নতির জন্য কঠোর পরিশ্রম করতে হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। 
দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টে নিউজিল্যান্ডের কাছে ৪ উইকেটে হারের জন্য ব্যাটিংকেই দায়ী করেছেন শান্ত।  ব্যাটিং ব্যর্থতার  কারণেই  নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথমবারের মত টেস্ট সিরিজ জয়ের সুযোগ হাতছাড়া হয় টাইগারদের।
প্রথম টেস্টে ১৫০ রানে জয় পায়  বাংলাদেশ। মিরপুরে দ্বিতীয় টেস্টে নিজেদের সেরাটা দিয়েও দলকে হারের মুখ থেকে রক্ষা করতে পারেননি বোলাররা। 
ইনজুরি আক্রান্ত সাকিবের অনুপস্থিতিতে এই সিরিজে দলকে নেতৃত্ব দেওয়া শান্ত সিরিজ ড্রর পর বলেন, ‘প্রথমত খেলোয়াড়দের লড়াইয়ের জন্য আমি গর্বিত। প্রথম টেস্টে আমরা দুর্দান্ত ক্রিকেট খেলেছি এবং দ্বিতীয় ম্যাচে আমরা নিজেদের উজার করে দিয়েছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা প্রতিপক্ষকে ১৩৭ রানের টার্গেট দিয়েছিলাম এবং বোলাররা দারুন বোলিং পারফরমেন্স করে ছোট টার্গেটকে আরও বড় করে তোলে। ছেলেদের লড়াইয়ে আমি খুবই খুশি। ব্যাটিংয়ে উন্নতি করতে হবে। এই বিভাগে আমাদের কঠোর পরিশ্রম করতে হবে কারণ এখানে আমাদের অনেক ঘাটতি আছে। আমি বলবো না, আমরা উন্নতি করিনি। দলে অনেক নতুন খেলোয়াড় আছে কিন্তু তাদের দেখে মনে হয় না তারা উদ্বিগ্ন বা চিন্তায় আছে। আমরা দল হিসেবে খেলেছি এবং এটি ভালো দিক।’
সিলেটে ভালো মানের উইকেটে বাংলাদেশ প্রথম টেস্ট জিতলেও মিরপুরের উইকেট নিয়ে অনেক সমালোচনা হয়েছে। মিরপুরে খেলা অন্যান্য অধিনায়কদের মত এই উইকেটকে ‘নিজের ক্যারিয়ারের সবচেয়ে বাজে উইকেট হিসেবে’ মন্তব্য করেছেন নিউজিল্যান্ডের দলনেতা টিম সাউদি। 
কিন্তু অন্যদের মন্তব্যের সাথে একমত নন শান্ত। তিনি জানান, তারা  ২৩০-২৪০ রান করতে পারতে পারলে আর  মিরপুরের উইকেটের দোষ দিতো না।
শান্ত বলেন, ‘আমি বলব না, সিলেটের উইকেট বোলারদের অনেক সাহায্য করেছে। বোলাররা ভালো বোলিং করেছে এবং স্কোর বোর্ড সচল রেখেছে ব্যাটাররা। মিরপুরের উইকেট নিয়ে কথা বলতে হলে  বলবো, ব্যাটাররা ভালো ব্যাটিং করতে পারেনি। এটি ২৩০-২৪০ রানের উইকেট, কিন্তু আমরা তার চেয়ে কম রানে আউট হয়েছি এবং এজন্যই উইকেট খারাপ বলে মনে হয়েছে। নতুন বল খেলার চ্যালেঞ্জ ছিল। এমনকি আমরা যখন বিদেশী কন্ডিশনে খেলি, নতুন বল খেলা চ্যালেঞ্জিং হয়। অতএব  এটি ভিন্ন কিছু নয়। আমরা ভালো ব্যাটিং করলে এই পরিস্থিতি তৈরি হতো না।’
বাংলাদেশের মাথা ব্যাথার কারন ছিলেন নিউজিল্যান্ডের গ্লেন ফিলিপস। ১৭২ রানে অলআউট হবার  এক পর্যায়ে  ৫৫ রানেই নিউজিল্যান্ড ৫ উইকেট হারিয়ে ফেলে।  কিন্তু ফিলিপসের ৭২ বলে ৮৭ রানের ইনিংসের সুবাদে উল্টো ৮ রানের লিড পায় নিউজিল্যান্ড। 
দ্বিতীয় ইনিংসে ১৩৭ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে আবারও ব্যাটিং বিপর্যয়ের মুখে পড়ে নিউজিল্যান্ড। ৬৯ রানে ৬ উইকেট হারায় তারা। এরপর মিচেল স্যান্টনারকে নিয়ে ৭০ রানের জুটি গড়ে কিউইদের জয়ের স্বাদ দেন ফিলিপস। ব্যাট হাতে অপরাজিত ৪০ রান করেন তিনি। 
স্পিন দিয়ে আক্রমণের ধারা অব্যাহত রেখে প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করার পরিকল্পনা ছিল শান্তর। কিন্তু সেই পরিকল্পনা বুমেরাং হয়েছে। কিন্তু পেসার শরিফুল ইসলামকে কেন ব্যবহার করা হয়নি, এমন প্রশ্নে শান্ত বলেন, ‘আমি মনে করি স্পিনাররা ভালো বোলিং করছিল কিন্তু ফিলিপস সত্যিই ভালো ব্যাটিং করেছে। এটা আমাদের মেনে নিতে হবে। ভালো করার সুযোগ ছিল আমাদের কিন্তু আমার মনে হয় না, দলের বোলাররা খারাপ বোলিং করেছে। ফিলিপসকে কৃতিত্ব দিতে হবে।’