শিরোনাম
ঢাকা, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪ (বাসস) : নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম দুই টেস্ট জিতে সিরিজে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেছে সফরকারী ইংল্যান্ড। তৃতীয় ও শেষ ম্যাচ জিতলেই টেস্ট ইতিহাসে ষষ্ঠবারের মত তিন ম্যাচ সিরিজে নিউজিল্যান্ডকে হোয়াইটওয়াশের লজ্জা দিবে ইংল্যান্ড। সেই লক্ষ্য নিয়ে আগামী ১৪ ডিসেম্বর হ্যামিল্টনে বাংলাদেশ সময় ভোর ৪টায় সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে ব্ল্যাকক্যাপসদের মুখোমুখি হবে ইংলিশরা। হোয়াইটওয়াশের লজ্জা এড়াতে শেষ টেস্টে জয়ের জন্য মরিয়া নিউজিল্যান্ড।
আত্মবিশ্বাসের তুঙ্গে থেকে ঘরের মাঠে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ শুরু করেছিলো নিউজিল্যান্ড। প্রথমবারের মত ভারতের মাটিতে টেস্ট সিরিজ জয়ের ইতিহাস গড়ে কিউইরা। তিন ম্যাচের সিরিজে টিম ইন্ডিয়াকে হোয়াইটওয়াশ করেছিলো নিউজিল্যান্ড।
কিন্তু ঘরের মাঠে ইংল্যান্ডের সামনে মুখ থুবড়ে পড়ে নিউজিল্যান্ডের। ক্রাইস্টচার্চে সিরিজের প্রথম টেস্টে ৮ উইকেটে এবং ওয়েলিংটনে দ্বিতীয় টেস্ট ৩২৩ রানের বড় ব্যবধানে হারে কিউইরা। এক ম্যাচ বাকী থাকতেই সিরিজ হেরে হোয়াইটওয়াশের মুখে ছিটকে পড়েছে ব্ল্যাকক্যাপসরা।
সিরিজের শেষ টেস্টে জয় ছাড়া অন্য কিছুই ভাবছে না নিউজিল্যান্ড। দলের অধিনায়ক টম ল্যাথাম বলেন, ‘দুই টেস্টে আমরা ভালো খেলতে পারিনি। শেষ টেস্টে জয়ের জন্য মরিয়া ছেলেরা। জয় দিয়ে ভালোভাবে সিরিজ শেষ করতে চাই আমরা। যাতে হোয়াইটওয়াশের লজ্জায় পড়তে না হয় আমাদের।’
আক্রমনাত্মক ক্রিকেট খেলে ইংল্যান্ডকে ঘায়েল করার কথা জানালেন ল্যাথাম। তিনি বলেন, ‘ইংল্যান্ড দারুণ ছন্দে আছে। তাদের থামাতে হলে, আমাদের আগ্রাসী ক্রিকেট খেলতে হবে। যা প্রথম দুই টেস্টে আমরা করতে পারিনি। ব্যাটিং-বোলিংয়ে একসাথে জ্বলে উঠলে জয় পাওয়া অসম্ভব না।’
হোয়াইটওয়াশ এড়ানোর পরীক্ষায় দলের ওপেনার ডেভন কনওয়েকে পাবে না নিউজিল্যান্ড। সন্তানসম্ভবা স্ত্রীর পাশে থাকতে তৃতীয় ও শেষ টেস্টে খেলবেন না নিউজিল্যান্ডের এই বাঁ-হাতি ব্যাটার। প্রথম দুই টেস্টে ব্যাট হাতে নিজের সেরাটা দিতে পারেননি কনওয়ে। চার ইনিংসে মাত্র ২১ রান করেন তিনি।
কনওয়ের জায়গায় দলে সুযোগ পেয়েছেন অলরাউন্ডার মার্ক চ্যাপম্যান। তবে একাদশে সুযোগ পাবার দৌড়ে এগিয়ে ১৯ টেস্ট খেলা উইল ইয়ং। ভারতের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে ২৪৪ রান করে সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি।
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম দুই টেস্টের দুর্দান্ত পারফরমেন্স ধরে রাখতে বদ্ধপরিকর ইংল্যান্ড। শেষ ম্যাচেও কিউইদের বিপক্ষে জয়ের জন্য দল মাঠে নামবে ইংলিশরা।
নিউজিল্যান্ডকে হোয়াইটওয়াশ করাই ইংল্যান্ডের প্রধান লক্ষ্য বলে জানান অধিনায়ক বেন স্টোকস। তিনি বলেন, ‘প্রথম দুই টেস্টে আমরা যেভাবে পরিকল্পনা করেছি সেভাবেই খেলেছি। আমাদের পরিকল্পনাগুলো ভালোভাবে কাজে লেগেছে। শেষ টেস্টেও আমরা জয়ের জন্য মাঠে নামবো। নিউজিল্যান্ডকে হোয়াইটওয়াশ করাই আমাদের প্রধান লক্ষ্য। আশা করবো ছেলেরা নিজেদের পারফরমেন্সের ধারাবাহিকতা ধরে রাখবে এবং সাফল্য নিয়ে এবারের নিউজিল্যান্ড সফর শেষ করবে।’
তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজে ১৯৬৩, ১৯৬৫, ১৯৭৮, ২০০৪ ও ২০২২ সালে নিউজিল্যান্ডকে হোয়াইটওয়াশ করেছিলো ইংল্যান্ড। এরমধ্যে নিউজিল্যান্ডের মাটিতে মাত্র একবার ৩-০ ব্যবধানে সিরিজে জিতেছে ইংলিশরা। ১৯৬৩ সালের সফরে কিউইদের প্রথম হোয়াইটওয়াশের লজ্জা দিয়েছিলো ইংল্যান্ড।
দু’দলের মুখোমুখি লড়াইয়েও নিউজিল্যান্ডের চেয়ে জয়ের পাল্লা ভারী ইংল্যান্ডের। ১১৪ মোকাবেলায় ইংল্যান্ডের জয় ৫৪টিতে, নিউজিল্যান্ড জিতেছে ১৩টিতে। বাকী ৪৭ টেস্ট ড্র হয়।
ইংল্যান্ড দল : বেন স্টোকস (অধিনায়ক), রেহান আহমেদ, গাস অ্যাটকিনসন, শোয়েব বশির, জ্যাকব বেথেল, হ্যারি ব্রুক, ব্রাইডন কার্স, জর্ডান কক্স (উইকেটরক্ষক), জ্যাক ক্রলি, বেন ডাকেট, জ্যাক লিচ, ওলি পোপ, ম্যাথু পটস, জো রুট, ওলি স্টোন ও ক্রিস ওকস।
নিউজিল্যান্ড দল : টম ল্যাথাম (অধিনায়ক), টম ব্লান্ডেল, জ্যাকব ডাফি, মার্ক চ্যাপম্যান, ম্যাট হেনরি, ড্যারিল মিচেল, উইল ও’রুর্ক, গ্লেন ফিলিপস, রাচিন রবীন্দ্র, মিচেল স্যান্টনার, নাথান স্মিথ, টিম সাউদি, কেন উইলিয়ামসন, উইল ইয়ং।