বাসস
  ১৩ এপ্রিল ২০২৩, ১৯:১০

ডিপিএল: জয়ের ধারায় ফিরলো আবাহনী, সহজ জয় শেখ জামালের, নাটকীয় জয় মাশরাফির রূপগঞ্জের

নাইম-মোসাদ্দেকের ব্যাটিংয়ে জয়ের ধারায় ফিরলো আবাহনী
ঢাকা, ১৩ এপ্রিল, ২০২৩ (বাসস) : ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে (ডিপিএল) প্রথম আট ম্যাচ জয়ের পর নবম খেলায় এসে হারের ধাক্কা খায় আবাহনী লিমিটেড। আজ নিজেদের দশম ম্যাচে মোহাম্মদ নাইম ও অধিনায়ক মোসাদ্দেক হোসেনের ব্যাটিং নৈপুন্যে অগ্রনী ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবকে ৯ রানে হারিয়ে আবারও জয়ের ধারায় ফিরেছে  আবাহনী।
আজ ফতুল্লার খান সাহেব ওসমান আলি স্টেডিয়ামে টস হেরে প্রথমে ব্যাটিং করতে নামে আবাহনী। ওপেনার এনামুল হক বিজয় ২৮ রানে ফিরলেও, হাফ-সেঞ্চুরি তুলে থামেন আরেক ওপেনার মোহাম্মদ নাইম। ১০টি চার ও ২টি ছক্কার সহায়তায় ৭৫ বলে ৭৯ রান করে আউট হন তিনি। 
আবাহনীর মিডল-অর্ডার ব্যাটাররা বড় ইনিংস খেলতে না পারলেও, পাঁচ নম্বরে নেমে হাফ-সেঞ্চুরির দেখা পান অধিনায়ক মোসাদ্দেক হোসেন। ৬৯ বলে ১টি চার ও ২টি ছক্কায় ৫২ রান করেন তিনি।
মিডল-অর্ডারে আফিফ হোসেন ৩১, জাকের আলি ২৭ ও মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন ৩৩ রান করেন। ৫০ ওভারে সব উইকেট হারিয়ে ২৬৭ রান করে আবাহনী। অগ্রনী ব্যাংকের পেসার এনামুল হক ৩টি উইকেট নেন।
জবাবে ৪৬ রানের মধ্যে ২ উইকেট হারায় অগ্রনী ব্যাংক। ওপেনার আজমির আহমেদ ও মিডল অর্ডার ব্যাটার ইলিয়াস সানির জোড়া হাফ-সেঞ্চুরিতে লড়াইয়ে থাকে অগ্রনী ব্যাংক। ৪টি করে চার-ছক্কায় ৬৩ বলে ৬০ রান করে ফিরেন আজমির। ৮০ বলে ৫৭ রানের ইনিংস খেলেন সানি। ২টি চার ও ৩টি ছয় মারেন তিনি।
আজমির-সানির ফেরার পর অগ্রনী ব্যাংকের জয়ের আশা বাঁচিয়ে রাখেন অধিনায়ক মার্শাল আইয়ুব। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তার অপরাজিত হাফ-সেঞ্চুরির লড়াকু ইনিংসটি বৃথা যায়। শেষ ওভারে ১৬ রানের দরকার পূরণ করতে পারেনি অগ্রনী ব্যাংক। ৫০ ওভারে ৬ উইকেটে ২৫৮ রান করে ম্যাচ হারে অগ্রনী ব্যাংক। ৩টি চারে ৭১ বলে ৫৮ রান নিয়ে অপরাজিত থাকেন মার্শাল। আবাহনীর রাকিবুল ইসলাম-নাহিদুল ইসলাম ২টি করে এবং সাইফুদ্দিন ১টি উইকেট নেন।
এই জয়ে ১০ ম্যাচে ১৮ পয়েন্ট নিয়ে রান রেটে এগিয়ে থেকে টেবিলের শীর্ষে থাকলো আবাহনী। ১০ ম্যাচে ১৮ পয়েন্ট আছে শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবেরও। রান রেটে পিছিয়ে টেবিলের দ্বিতীয়স্থানে আছে শেখ জামাল। ১০ ম্যাচে ৬ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের দশমস্থানে অগ্রনী ব্যাংক।

সহজ জয় শেখ জামালের
ঢাকা, ১৩ এপ্রিল, ২০২৩ (বাসস) : দুই ব্যাটার তাওহিদ হৃদয়-সাইফ হাসানের জোড়া হাফ-সেঞ্চুরি ও পেসার এবাদত হোসেনের বোলিং নৈপুন্যে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে (ডিপিএল) শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব ৭ উইকেটে হারিয়েছে প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবকে।
আজ সাভারে  বিকেএসপির তিন নম্বর মাঠে টস জিতে প্রথমে বোলিং করতে নামে শেখ জামাল। ব্যাট হাতে নেমে জাতীয় দলের অভিজ্ঞ ব্যাটার মুশফিকুর রহিমের হাফ-সেঞ্চুরিতে ৪৯ দশমিক ১ ওভারে ২৪৪ রানে গুটিয়ে যায় প্রাইম ব্যাংক। পাঁচ নম্বরে নেমে ৭৫ বলে ৭৭ রান করেন মুশফিক। ৭টি চার ও ১টি ছয় মারেন তিনি।
মুশফিক ছাড়া প্রাইম ব্যাংকের অন্য কোন ব্যাটার বড় ইনিংস খেলতে পারেননি। নাসির হোসেন ৩৪, শাহাদাত হোসেন ৩৩ ও মাহেদি হাসান অপরাজিত ৩০ রান করেন। শেখ জামালের এবাদত ১০ ওভারে ৪১ রানে ৪ উইকেট নেন।
জবাবে ৪৮ রানের মধ্যে টপ অর্ডারের দুই ব্যাটারকে হারায় শেখ জামাল। তৃতীয় উইকেটে ৬৫ রানের জুটি গড়ে দলকে লড়াইয়ে রাখেন ওপেনার সাইফ ও হৃদয়। ৭টি চার ও ৩টি ছক্কায় ৮০ বলে ৭০ রান করে বিদায় নেন সাইফ।
দলীয় ১১৩ রানে সাইফের বিদায়ের পর চতুর্থ উইকেটে অবিচ্ছিন্ন ১৩৫ রানের জুটি গড়ে শেখ জামালের জয় নিশ্চিত করেন হৃদয় ও অধিনায়ক নুরুল হাসান।
মাত্র ২ রানের জন্য  সেঞ্চুরি পাননি হৃদয়। ৬টি চার ও ৩টি ছক্কায় ১১৮ বলে অপরাজিত ৯৮ রান করেন হৃদয়। ৩টি চার ও ২টি ছয়ে ৫৯ বলে অপরাজিত ৪৪ রান করেন নুরুল। প্রাইম ব্যাংকের তাইজুল-মাহেদি ও করিম জানাত ১টি করে উইকেট নেন।
এই জয়ে ১০ ম্যাচে ১৮ পয়েন্ট নিয়ে  রান রেটে পিছিয়ে থেকে টেবিলের দ্বিতীয়স্থানে শেখ জামাল। সমানসংখ্যক ম্যাচে ১৮ পয়েন্ট নিয়ে রান রেটে এগিয়ে টেবিলের শীর্ষে আছে আবাহনী। ১০ ম্যাচে ১২ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের চতুর্থস্থানে রয়েছে প্রাইম ব্যাংক।

আমিনের সেঞ্চুরি ম্লান করে নাটকীয় জয় মাশরাফির রূপগঞ্জের
ঢাকা, ১৩ এপ্রিল, ২০২৩ (বাসস) : পাকিস্তানের উমর আমিনের দুর্দান্ত সেঞ্চুরি সত্বেও লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জের কাছে শ^াসরুদ্ধকর ম্যাচে ১ রানে হারলো ঢাকা লিওপার্ডস। ১৩৩ বলে ১২৮ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলেও লিওপার্ডসকে হারের মুখ থেকে রক্ষা করতে পারলেন না আমিন।
আজ মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় ঢাকা লিওপার্ডস। ব্যাট হাতে নেমে তিন ব্যাটারের হাফ-সেঞ্চুরিতে ৫০ ওভারে ৮ উইকেটে ২৬৮ রান করে লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ।
ওপেনার পারভেজ হোসেন ইমন ৩টি করে চার-ছক্কায় ৭০ বলে ৫২, ৫টি চার ও ১টি ছক্কায় সাব্বির রহমান ৬৬ বলে ৫৪ ও ভারতের চিরাগ জানি ৭টি চারে ৫০ বলে অপরাজিত ৫৯ রান করেন।
শেষদিকে সোহাগ গাজী ২৩ বলে ২৬ ও মুক্তার আলি ১০ বলে অপরাজিত ২৫ রান করেন। ঢাকা লিওপার্ডসের মঈন খান ৩টি ও আমিন-আরিফুল ২টি করে উইকেট নেন।
জবাবে ৩২ রানের মধ্যে ৩ উইকেট হারায় ঢাকা লিওপার্ডস। চতুর্থ উইকেটে লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জের বোলারদের সামনে প্রতিরোধ গড়ে তুলেন আমিন ও সাব্বির হোসেন। ১৬৭ রানের জুটি গড়েন তারা। ৯১ বলে ১টি করে চার-ছয়ে ৬৪ রানে থামেন সাব্বির।
অন্য প্রান্তে সেঞ্চুরি তুলে ঢাকা লিওপার্ডসের জয়ের আশা ধরে রেখেছিলেন আমিন। শেষ ওভারে ৭ রানের দরকার পড়ে ঢাকা লিওপার্ডসের। লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জের জানির করা শেষ ওভার থেকে আসে ৫ রান। ৫০ ওভারে ৬ উইকেটে ২৬৭ সংগ্রহ পেয়ে ১ রানে ম্যাচ হারে ঢাকা লিওপার্ডস।
৮টি চার ও ২টি ছক্কায় ১৩৩ বলে ১২৮ রানে অপরাজিত থাকেন আমিন। এছাড়া অধিনায়ক সোহরাওয়ার্দি শুভ ২৫ ও মঈন ১৯ রান করেন। লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জের জানি ২টি, সোহাগ-রাজিবুল ১টি করে উইকেট নেন।
এই জয়ে ১০ ম্যাচে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের তৃতীয়স্থানে আছে লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ। সমানসংখ্যক ম্যাচে ৩ পয়েন্ট নিয়ে ১২ দলের লিগ টেবিলের তলানিতে ঢাকা লিওপার্ডস। আগের ম্যাচে শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাবকে হারিয়ে এবারের আসরে প্রথম জয় পায় ঢাকা লিওপার্ডস।