ঢাকা, ১৯ জুন, ২০২৫ (বাসস) : বাংলাদেশ ও নেপালের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদার করতে পর্যটন ও দু’দেশের জনগণের মধ্যে সংযোগের ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত নেপালের রাষ্ট্রদূত ঘনশ্যাম ভান্ডারি।
বুধবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রামে ‘নেপাল-বাংলাদেশ ট্যুরিজম মিট’ শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে নেপালের রাষ্ট্রদূত বলেন, হিমালয়ের উচ্চতা আর বঙ্গোপসাগরের গভীরতার মধ্যে সত্যিকারের সংযোগ গড়ে তুলতে আমাদের আরও ঘনিষ্ঠ সহযোগিতা প্রয়োজন।’
এ সময় তিনি দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে ক্রমবর্ধমান পারস্পরিক অংশীদারত্বেরও প্রশংসা করেন।
‘ডেস্টিনেশন নেপাল: ফ্রম দ্য বে অব বেঙ্গল টু দ্য হিমালয়াস’ প্রতিপাদ্যে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ঢাকাস্থ নেপাল দূতাবাস ও নেপাল ট্যুরিজম বোর্ড। বৃহস্পতিবার দূতাবাসের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রদূত ভাণ্ডারি নেপালের পর্যটন অবকাঠামো উন্নয়নের চলমান প্রচেষ্টার কথা তুলে ধরেন এবং নেপালকে বিশ্বমানের পর্যটন গন্তব্য হিসেবে প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশি ভ্রমণপ্রেমীদের গুরুত্বপূর্ণ অবদানের প্রশংসা করেন।
নেপাল ট্যুরিজম বোর্ডের মার্কেটিং অ্যান্ড প্রোমোশন পরিচালক রোহিনী প্রসাদ খানাল নেপালের সমৃদ্ধ ও বৈচিত্র্যময় পর্যটন আকর্ষণসমূহ তুলে ধরেন এবং বাংলাদেশের পর্যটন উদ্যোক্তাদের সঙ্গে সহযোগিতা জোরদারের আহ্বান জানান।
তিনি বাংলাদেশকে নেপালের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ পর্যটক উৎস হিসেবে উল্লেখ করেন এবং আশা প্রকাশ করেন, ভবিষ্যতে আরও বেশি সংখ্যক বাংলাদেশি পর্যটক নেপাল ভ্রমণ করবেন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন খ্যাতনামা বাংলাদেশি পর্বতারোহী বাবর আলী, যিনি ২০২৪ সালে মাউন্ট এভারেস্ট জয় এবং সম্প্রতি মাউন্ট অন্নপূর্ণা সফলভাবে আরোহণ করেছেন। অনুষ্ঠানে তিনি নেপালে তার ট্রেকিং অভিজ্ঞতা শেয়ার করেন।
অনুষ্ঠানে নেপালের সংস্কৃতির অংশ হিসেবে চট্টগ্রামে অধ্যয়নরত নেপালি শিক্ষার্থীদের পরিবেশনায় লোকসাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়। এছাড়াও অনুষ্ঠিত হয় র্যাফেল ড্র, যেখানে ঢাকা-কাঠমান্ডু রুটে ট্যুর প্যাকেজ ও রাউন্ড-ট্রিপ এয়ার টিকিট জেতার সুযোগ রাখা হয়।
এর আগে সকালে বাংলাদেশি পর্যটন খাতের প্রতিনিধিদের সঙ্গে নেপালি ট্যুর অপারেটরদের মধ্যে ব্যবসায়িক বৈঠক ও নেটওয়ার্কিং সেশন অনুষ্ঠিত হয়। নেপালি প্রতিনিধিদলে ছিলেন নেপাল ট্যুরিজম বোর্ডের কর্মকর্তা এবং ১৩টি শীর্ষস্থানীয় ট্যুর ও ট্রাভেল এজেন্সির প্রতিনিধি।
আয়োজনে বাংলাদেশের ট্রাভেল এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশন (এটিএবি), ট্যুর অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন (টিওএবি), বিভিন্ন হোটেল, এয়ারলাইন্স ও পর্যটন সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের ১২০ জনের বেশি প্রতিনিধি অংশ নেন।