বাসস
  ১৩ ডিসেম্বর ২০২৩, ২১:৫৯

টেকসই উন্নয়ন সহযোগিতা কাঠামোর অগ্রগতি পর্যালোচনা বাংলাদেশ ও জাতিসংঘের

ঢাকা, ১৩ ডিসেম্বর, ২০২৩ (বাসস) : অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) ’র অধীনে অর্থ মন্ত্রণালয় ও জাতিসংঘের (ইউএন) কান্ট্রি টিম আজ যৌথভাবে জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন সহযোগিতার কাঠামো ২০২২-২৬পর্যালোচনা করতে স্টিয়ারিং কমিটির বৈঠক করেছে।
জাতিসংঘের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সভায় ইআরডি সচিব মো. শাহরিয়ার কাদের সিদ্দিকী ও বাংলাদেশে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়ক গুইন লুইস কো-চেয়ার ছিলেন।
জাতিসংঘ ও বাংলাদেশ সরকার ২০২১ সালে যৌথভাবে ইউএনএসডিসিএফ ২০২২-২৬ চালু করে।
কাঠামোটি টেকসই উন্নয়নের জন্য বাংলাদেশকে জাতিসংঘের সহায়তা এবং এবং ৮ম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার লক্ষ্য অর্জনের রূপরেখা তুলে ধরে।
কাঠামোটি সাতাশটি ফলাফল এলাকা জুড়ে পাঁচটি কৌশলগত অগ্রাধিকার নিয়ে বিভিন্ন কর্মসূচি কাভার করে।
সাতাশটি মন্ত্রণালয় ও জাতিসংঘের সতেরোটি সংস্থার প্রতিনিধি অর্জিত অগ্রগতি কাঠামোর প্রধান কৌশলগত ক্ষেত্রে ২০২৪ সালের পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করেন।
এর মধ্যে রয়েছে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, দারিদ্র্য বিমোচন, খাদ্য নিরাপত্তা ও পুষ্টি, সামাজিক সুরক্ষা, পরিবেশ, শাসন ও লিঙ্গ সমতা।
জাতিসংঘের প্রতিনিধিরা ২০২৩ সালে প্রোগ্রামিংয়ের ক্ষেত্রে ব্যয়ের একটি আর্থিক পর্যালোচনাও উপস্থাপন করেন।
বৈঠকে সিদ্দিকী টেকসই উন্নয়নে জাতিসংঘ ও অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থাসহ বহুপক্ষীয় কর্তাদের মূল ভূমিকা এবং ২০২৬ সালে স্বল্পোন্নত থেকে দেশের মর্যাদা উত্তরণে অবদান রাখার ওপর জোর দেন।
জাতিসংঘের সমন্বয়ক জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা এবং ২০৩০ সালের মধ্যে এসডিজি অর্জনের জন্য আমাদের অভিন্ন উচ্চাকাক্সক্ষা বৃদ্ধিতে সহযোগিতার গুরুত্ব এবং অংশীদারিত্বে কাজ করার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্ব দেন।
বৈঠক শেষে সরকারে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় এবং জাতিসংঘ সংস্থাসমূহের অংশগ্রহণকারীদের পক্ষ থেকে 
গত এক বছরে বিভিন্ন খাতে অর্জিত অগ্রগতিতে সন্তুষ্টি প্রকাশ করা হয়।
তারা আরও ঘনিষ্ঠভাবে একসাথে কাজ চালিয়ে যাওয়ার এবং গঠিত অংশীদারিত্ব জোরদার করার অঙ্গীকার পুনর্নবীকরণ করেন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পরবর্তী সভা ২০২৪ সালের এপ্রিলে অনুষ্ঠিত হবে।