বাসস
  ১৪ ডিসেম্বর ২০২৩, ১৮:৩২

৮২৭টি ডিজিটাল বিজনেস আইডেনটিফিকেশন নিবন্ধন দিয়েছে আরজেএসসি

ঢাকা, ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৩ (বাসস): ই-কমার্স খাতে ব্যবসা পরিচালনার জন্য যৌধ মূলধন কোম্পানি ও ফার্মসমূহের পরিদপ্তর (আরজেএসসি) এখন পর্যন্ত ৮২৭টি ডিজিটাল বিজনেস আইডেনটিফিকেশন (ডিবিআইডি) নিবন্ধন ইস্যু করেছে। ই-কমার্স খাতে শৃঙ্খলা আনতে এবং ক্রেতা-বিক্রেতার মধ্যে বিশ্বাসযোগ্য পরিবেশ তৈরির লক্ষ্যে গত বছর জুলাই মাসে ডিবিআইডি নিবন্ধন বাধ্যতামূলক করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। ডিবিআইডি ছাড়া কোন প্রতিষ্ঠান এখন আর অনলাইন ব্যবসা করতে পারে না। 
বৃহস্পতিবার রাজধানীর বিয়াম ফাউন্ডেশন মিলনায়তনে ডিজিটাল কমার্স এর প্রসার ও ব্যবসা পরিবেশের মানোন্নয়নে ডিবিআইডি  প্রক্রিয়া সহজীকরণ বিষয়ক  এক সমন্বয় সভায় এ তথ্য জানানো হয়। এটুআই প্রকল্প ও ইউএনডিপির সহযোগিতায় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এ সভার আয়োজন করে।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের (সমন্বয় ও সংস্কার) সচিব মাহমুদুল হোসাইন খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্ন সচিব মোহাম্মদ দাউদুল ইসলাম ও মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের যুগ্ন সচিব মো. সাইফুল ইসলাম বক্তব্য রাখেন।
সভায় ই-কমার্স ব্যবসার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সরকারের বিভিন্ন অংশীজন প্রতিষ্ঠান এবং এই খাতের ব্যবসায়ী ও বাণিজ্যিক সংগঠনের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
সভায় জানানো হয়, ডিজিটাল বাণিজ্য সম্প্রসারণ ও নিয়মিত পর্যবেক্ষণের জন্য ‘ডিজিটাল বাণিজ্য উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ’ নামে একটি কর্তৃপক্ষ গঠন করা হচ্ছে। ডিজিটাল বাণিজ্য প্রতিষ্ঠানের নিয়মিত অনলাইন কার্যক্রম ও সরেজমিন পরিদর্শন এবং ডিজিটাল বাণিজ্যে দেশি উদ্যোক্তাদের বাজার সম্প্রসারণ ও রপ্তানি বাড়াতে এই কর্তৃপক্ষ কাজ করবে। 
এছাড়া এই কর্তৃপক্ষ ডিজিটাল বাণিজ্যের শৃঙ্খলা রক্ষা, বাণিজ্য বিরোধ নিষ্পত্তি ও অপরাধ প্রতিরোধের তদারক করবে। পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর ও আমদানি নিষিদ্ধ পণ্য ও সেবা কেনাবেচা ও সংরক্ষণ হয় কি না; কোনো ওষুধপণ্য মোড়কে সঠিক ব্যবহার বিধি, উৎপাদন ও মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার তারিখ ছাড়া অনলাইনে বিক্রি হয় কি না; অসত্য ও অতিরঞ্জিত বিজ্ঞাপন বা বিক্রয় প্রস্তাব দিয়ে ক্রেতা ও গ্রাহকদের সঙ্গে প্রতারণা হয় কি না-এসব বিষয় তদারক করবে কর্তৃপক্ষ।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের (সমন্বয় ও সংস্কার) সচিব মাহমুদুল হোসাইন খান বলেন, ডিবিআইডি চালুর মূল লক্ষ্য হলো-ডিজিটাল কমার্স প্রতিষ্ঠানের একটি সুনির্দিষ্ট আইডি থাকবে, যাতে বিজনেস এন্টিটি হিসেবে তাকে চিহ্নিত ও ট্র্যাক করা যায়। এর ফলে ক্রেতা ও বিক্রেতার মধ্যে সুন্দর ব্যবসায়িক সম্পর্ক তৈরি হবে।
ডিবিআইডি ই-কমার্স খাতে শৃংখলা তৈরিতে বিশেষ ভূমিকা রাখছে।
সভায় ই-কমার্স খাতের ব্যবসায়ীরা ডিবিআইডি নিবন্ধন প্রক্রিয়া আরও সহজ করার দাবি জানান। এছাড়া সভায় ডিজিটাল ব্যবসা কঠোরভাবে মনিটারিংয়ের জন্য ডিবিআইডির সঙ্গে জাতীয় পরিচয় পত্র, ট্রেড লাইসেন্স এবং ব্যাংকিং সিস্টেমের সমন্বয় করার সুপারিশ করা হয়।