বাসস
  ০৩ জানুয়ারি ২০২৪, ২০:২৭

গতবছর পোশাক রপ্তানি ৩.৬৭ শতাংশ বেড়েছে

ঢাকা, ৩ জানুয়ারি, ২০২৪ (বাসস) : সদ্যসমাপ্ত ২০২৩ ক্যালেন্ডার বছরে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি হয়েছে ৪৭.৩৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের যা ২০২২ সালের তুলনায় ১.৬৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বেশি, অর্থাৎ বছরওয়ারি প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৩.৬৭ শতাংশ।
গতকাল রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) প্রকাশিত পরিসংখ্যান থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে। গত বছরে বাংলাদেশের মোট রপ্তানি আয় ২ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে, যার অর্থ হলো এই প্রবৃদ্ধির বেশিরভাগই এসেছে পোশাক রপ্তানি থেকে। পোশাক রপ্তানির এই প্রবৃদ্ধিতে নিটওয়্যারের রপ্তানি অবদান বেশি, নীটওয়্যার রপ্তানি ৭.৪৭ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে, যেখানে ওভেন রপ্তানি ০.৮১ শতাংশ  হ্রাস পেয়েছে ।
২০২৩ সালের মাসভিত্তিক রপ্তানি পারফরম্যান্স-এ দেখা গেছে, বছরের জানুয়ারি এবং ফেব্রুয়ারিতে মোটামুটি প্রবৃদ্ধি সহকারে বছরটি ভালোভাবে শুরু হয়েছিল। মার্চ এবং এপ্রিলে টানা হ্রাস পাওয়ার পর, মে-সেপ্টেম্বর সময়ে প্রবৃদ্ধি ইতিবাচক ধারাতে পুনরায় ফিরে আসে এবং তা বজায় থাকে। তবে বছরের শেষ প্রান্তিকে রপ্তানি পারফরমেন্স ২০২২ সালের শেষ প্রান্তিকের তুলনায় নীচে নেমে আসে।
রপ্তানিমুখী পোশাক শিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ’র মহিউদ্দিন রুবেল বলেন, বছরভিত্তিক পোশাক রপ্তানির হিসাব করলে ২০২৩ সাল পোশাক শিল্পের জন্য একটি ঐতিহাসিক বছর ছিলো। বৈশ্বিক অর্থনৈতিক ও ভূ-রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ মোটামুটি ভালো করেছে। তিনি বলেন, বেশিরভাগ উন্নত দেশ মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে লড়াই করছে এবং এর প্রেক্ষিতে গৃহীত আর্থিক নীতি পদক্ষেপ ভোক্তাদের চাহিদার উপর বিরূপ প্রভাব ফেলছে। যার ফলে প্রধান রপ্তানি বাজারে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি কমেছে।
তিনি  আরও  বলেন, যেহেতু বিশ্বব্যাপী পোশাক বাণিজ্যের প্রবৃদ্ধি প্রতিবছর ওঠানামা করে, তাই আমরা মনে করি ২০২৪ সালে একটি পরিবর্তনের বছর হবে। কারণ ২০২৩ সালটি সমগ্র বিশ্বজুড়েই পোশাক শিল্পের জন্য একটি দুর্বল বছর ছিল এবং ২০২৪ সালে ভোক্তাদের চাহিদা এবং ব্যয় পুনরায় বাড়তে পারে বলে ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে।
তিনি আশা প্রকাশ করেন, ২০২৪ সালে পোশাক শিল্পে আরও কৌশলগত বিনিয়োগ হবে এবং উদ্ভাবনী ও প্রযুক্তি-ভিত্তিক গুণগত পরিবর্তন দৃশ্যমান হবে।