বাসস
  ২৮ মে ২০২৪, ১৩:৫৫

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে লিচুর ভালো ফলন

ব্রাহ্মণবাড়িয়া, ২৮ মে, ২০২৪ (বাসস) : জেলার বিজয়নগর উপজেলায় এবারও লিচুর ভালো ফলন হয়েছে। তবে এবার লিচুর আকার একটু ছোট হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাগান মালিকরা। - জেলা কৃষি অফিস সূত্র বলছেন, এবার তীব্র গরমের কারণে এমনটি হয়েছে। তবে যাদের বাগানে পানি দেওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে তাদের লিচুর সাইজ ঠিক আছে।
জানা যায়, ভারতের ত্রিপুরা রাজ্য সীমান্ত ঘেঁষা ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলা। প্রায় ৫০ বছর আগে এ উপজেলায় লিচুর উৎপাদন শুরু হয়। জায়গা ও শ্রম কম হওয়াই লিচুর ব্যবসা শুরু করেন স্থানীয় কৃষকরা।এখানকার সুস্বাদু লিচুর সুনাম রয়েছে পুরো দেশ জুড়ে।
বিজয়নগর উপজেলা কৃষি অফিস জানান, এ উপজেলায় চলতি বছরে ৪৩০ হেক্টর জায়গায় লিচুর আবাদ হয়েছে। এবার লিচু বাগান আছে ৯শতটি বেশি। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ২০ কোটি টাকার লিচু বিক্রির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
উপজেলার বিষ্ণুপুর, কাঞ্চনপুর, কাশিমপুর, সিঙ্গারবিল, আদমপুর, কালাছড়া, মেরাশানী, সেজামুড়া, কামালমুড়া, হরষপুর, মুকুন্দপুর, নোয়াগাঁও, অলিপুর, কাশিনগর, ছতুরপুর, বক্তারমুড়া, রূপা, শান্তামুড়া, কামালপুর, কচুয়ামুড়া, গোয়ালনগর, ভিটিদাউপুর, পত্তন এলাকায় সবচেয়ে বেশি লিচুর বাগান রয়েছে। এসব বাগানে পাটনাই, বম্বে, চায়না থ্রি, চায়না-২ ও এলাচি জাতীয় লিচুর ফলন হয়।
এদিকে উপজেলার সবচেয়ে বড় লিচুর বাজার হিসেবে পরিচিত আউলিয়া বাজার। এছাড়াও সিংগার বিল, হরষপুর, চম্পকনগর বাজারে বিক্রি হয় অধিকাংশ লিচু। এসব বাজার থেকে ঢাকা, চট্রগ্রাম,সিলেট, কুমিল্লা, নরসিংদী, ভৈরব, নোয়াখালী, চাঁদপুর, মৌলভীবাজার, সিলেট, হবিগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ, শ্রীমঙ্গল, ফেনী ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার ব্যবসায়ীরা পাইকারি দরে লিচু কিনে নিয়ে যান।
বাগান পরিচর্যা নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন লিচু চাষিরা। লিচু চাষি ইকবাল হুসাইন বলেন, আমার দুইটি বাগানে ৪৩টি লিচু গাছ রয়েছে। এবছর আমার গাছের লিচু খড়া ও অনাবৃষ্টির কারণে একটু ছোট হয়েছে। এ বছর ৩ লাখ টাকার লিচু বিক্রি হবে বলে আশা করছি। আসাদ নামে আরেক লিচু চাষি বলেন, আমার ৬টি বাগানে ১২৪টি গাছ আছে। গাছে এবছর প্রচুর লিচুর ফলন হয়েছে। কিন্তু গরমের তাপে লিচু একটু ছোট হয়েছে তবে এ ছোট হওয়াতে আমাদের কোন ক্ষতি হয়নি। আমি আশাবাদী এবছর ১০ লাখ টাকার লিচু বিক্রি করতে পারবো।
বিজয়নগর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শাব্বির আহমেদ বলেন, উপজেলায় এ বছর ৪৩০ হেক্টর জায়গায় লিচুর আবাদ হয়েছে। লিচু বাগান আছে ৯০০টিরও বেশি।  চলতি বছরে ২০ কোটি টাকার লিচু বিক্রির লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক সুশান্ত সাহা জানান ,তীব্র গরমের কারণে এবার লিচুর সাইজ ছোট হয়েছে। তবে ফলন খুবই ভালো হয়েছে। তবে যাদের বাগানে পানি দেওয়ার ব্যবস্থা  আঝে তাদের লিচুর সাইজ আবার ঠিক আছে।