বাসস
  ২৯ আগস্ট ২০২৪, ২২:০৮
আপডেট : ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৫:১৪

বাংলাদেশ-মালয়েশিয়া মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যের জন্য লাভজনক : হাইকমিশনার

ঢাকা, ২৯ আগস্ট, ২০২৪ (বাসস)  :  ঢাকায় নিযুক্ত মালয়েশীয় হাইকমিশনার হাজনাহ মো. হাশিম বলেছেন, সম্ভাব্য মালয়েশিয়া-বাংলাদেশ মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) দুই বন্ধুত্বপূর্ণ দেশের মধ্যে বাণিজ্য আরও জোরদারের জন্য প্রতিশ্রুতিশীল।
আগামী ৩১ আগস্ট মালয়েশিয়ার জাতীয় দিবস উপলক্ষে আজ এখানে মালয়েশিয়ার হাই কমিশনার এক বিবৃতিতে বলেন, ‘মালয়েশিয়া-বাংলাদেশ মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ), আমাদের ব্যবসার জন্য ভাল সূচনা করবে এবং সামনে যেকোন চ্যালেঞ্জের জন্য আমাদের অর্থনীতিকে প্রস্তুত করবে।’
১৯৫৭ সালের ৩১ আগস্ট, মালয়েশিয়ার প্রথম প্রধানমন্ত্রী প্রয়াত টুঙ্কু আবদুল রহমান মালয়’কে (যা এখন মালয়েশিয়া) যুক্তরাজ্য থেকে স্বাধীন বলে ঘোষণা করেছিলেন।
হাইকমিশনার বলেন, কুয়ালালামপুর এবং ঢাকার মধ্যে একটি শক্তিশালী বাণিজ্য সম্পর্ক বজায় রয়েছে, কেননা  মালয়েশিয়ার ১৯তম বৃহত্তম বাণিজ্যিক অংশীদার এবং দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে বাংলাদেশ। 
রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার গঠনকালে অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস  প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ পাওয়ায় অভিনন্দন জানানো সরকার প্রধানদের তালিকায় প্রথম দিকে ছিলেন মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী দাতো সেরি আনোয়ার ইব্রাহিম। হাইকমিশনার বলেন, প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার বাংলাদেশের নতুন সরকারকে সাহায্য ও সমর্থন করতে মালয়েশিয়ার প্রস্তুতিও ব্যক্ত করেছেন।
রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশী পর্যটকদের শুধু অবসর সময় উপভোগের জন্য নয়, চিকিৎসা পর্যটনের জন্যও মালয়েশিয়া সফর অব্যাহত রাখার জন্য স্বাগত জানান। তিনি বলেন, মালয়েশিয়া অত্যন্ত সাশ্রয়ী মূল্যে উন্নত চিকিৎসা সুবিধা এবং দক্ষ স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করে।
হাইকমিশনার উল্লেখ করেন যে মালয়েশিয়া শিক্ষার একটি কেন্দ্র হিসেবেও আবির্ভূত হয়েছে, যা বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের আকৃষ্ট করছে এবং তারা সেখানে বৈচিত্রময় ও অন্তর্ভুক্তিমূলক পরিবেশে বিশ্বমানের শিক্ষা গ্রহণ করছে।
তিনি বলেন, ‘আমি অত্যন্ত গর্বের সাথে পুনরুল্লেখ করতে চাই যে মালয়েশিয়া প্রথম মুসলিম দেশ হিসেবে ১৯৭২ সালের ৩১ জানুয়ারি আনুষ্ঠানিক কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের মাধ্যমে বাংলাদেশকে একটি সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয়।’ হাইকমিশনার বলেন, এরপর থেকে দুই দেশের মধ্যে একটি ‘ভ্রাতৃত্বপূর্ণ সম্পর্ক’ বজায় রয়েছে এবং এর বিকাশ অব্যাহত রয়েছে, যা আজ দুই দেশের মানুষ উপভোগ করছে।