বাসস
  ০৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯:০৯

বুধবার শুরু হচ্ছে সুতা, বস্ত্র ও আনুষাঙ্গিক পণ্যের প্রদর্শনী 

ঢাকা, ৯  ডিসেম্বর, ২০২৪ (বাসস) : রাজধানীর বসুন্ধরা ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটিতে আগামী ১১ ডিসেম্বর শুরু হচ্ছে চার দিনব্যাপী ‘১০ম ইয়ার্ন, ফেব্রিক্স অ্যান্ড এক্সেসরিজ শো-২০২৪’। 

আজ সোমবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এএসকে ট্রেড এন্ড এক্সিবিশনস প্রাইভেট লিমিটেড আয়োজিত এ প্রদর্শনীতে একই ছাদের নিচে ১৫০টিরও বেশি আন্তর্জাতিক সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান অংশ নেবেন। অংশগ্রহণকারী এসব প্রতিষ্ঠান নিজেদের তৈরি বিভিন্ন সুতা, ফেব্রিক্স এবং রাসায়নিক ও স্ক্রিন প্রিন্টিংয়ের যন্ত্রপাতিসহ তাদের উদ্ভাবিত নানা আনুষঙ্গিক পণ্য প্রদর্শন করবেন। 

বায়িং অফিস, বায়িং এজেন্ট, আরএমজি রপ্তানিকারক, নিট কম্পোজিট ইউনিট, লেবেল প্রস্তুতকারক, আমদানিকারক এবং মার্চেন্ডাইজারদের আকৃষ্ট  করতে  এ প্রদর্শনীর আয়োজন করা হচ্ছে। এতে করে নতুন কালেকশনের পাশাপাশি নতুন সরবরাহকারী খুঁজে পাওয়ার এক দারুণ সুযোগ মিলবে এসব প্রতিষ্ঠানের। সুতা, কাপড় ও আনুষঙ্গিক উৎসের প্রধান গেটওয়ে হিসেবে কাজ করবে এই প্রদর্শনী। যেখানে সহজেই সর্বশেষ উদ্ভাবন ও আন্তর্জাতিক পরিসরে নতুন সরবরাহকারীদের খুঁজে পেতে সক্ষম হবেন অংশগ্রহণকারীরা।

প্রদর্শনীর আয়োজক এএসকে ট্রেড অ্যান্ড এক্সিবিশনস প্রাইভেট লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক টিপু সুলতান ভূঁইয়া বলেন, ‘সুতা, কাপড় ও আনুষঙ্গিক পণ্যের আন্তর্জাতিক সরবরাহকারীদের নিয়ে এটি একটি বিশেষ আয়োজন। আগামী মৌসুমে এই খাতের সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ও উৎস খুঁজে বের করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে এই প্রদর্শনী।’

এ ছাড়াও নিজ সদস্যদের সুবিধা দিতে এ আয়োজনে সর্বাত্মক সহযোগিতা করছে বাংলাদেশ গার্মেন্ট বায়িং হাউস অ্যাসোসিয়েশন (বিজিবিএ), মার্চেন্ডাইজিং ব্রাদারহুড অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশ (এমবিএবিডি), বাংলাদেশ মার্চেন্ডাইজার্স অ্যান্ড সাপ্লাইয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএসএ)।

অন্যদিকে, নতুন আন্তর্জাতিক বাজার তৈরি হওয়ায় বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রপ্তানি ২০২৪ অর্থবছরের জুলাই-এপ্রিল মাসে ১০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে মোট ৭ দশমিক ৭০ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে, যা গত অর্থ-বছরের একই সময়ের তুলনায় দশমিক ৭০ বিলিয়ন ডলার বেশি।

রাজনৈতিক পরিবর্তন এবং পরবর্তীতে প্রধান শিল্প অঞ্চলে শ্রমিক আন্দোলনে সৃষ্ট নানা সংকট ও বিপর্যয়ের পর আন্তর্জাতিক খুচরা পোশাক বিক্রেতা ও ব্র্যান্ডগুলো আবারও বাংলাদেশে ফিরতে শুরু করেছে। ইতিমধ্যে নতুন মৌসুমের কাজের অর্ডারও পেতে শুরু করেছে পোশাক খাত।
 
স্থানীয় পোশাক সরবরাহকারীরা জানিয়েছেন, ধীরে ধীরে এ খাতে স্বাভাবিক অবস্থা ফিরে আসায় পশ্চিমা বিশ্বের আরও বেশি খুচরা বিক্রেতা ও ব্র্যান্ডগুলো কারখানা পরিদর্শন করছে, উৎপাদন নিয়ে খোঁজ খবর নিচ্ছে।

পোশাক সরবরাহকারীরা জানান, পশ্চিমা ক্রেতারা পরবর্তী শরৎ ও শীত মৌসুমের জন্য অর্ডার দিচ্ছেন। এতে করে রাজধানীসহ সাভার, আশুলিয়া এবং গাজীপুরের মতো প্রধান শিল্প এলাকার তৈরি পোশাক (আরএমজি) কারখানাগুলোতে উৎপাদন কার্যক্রম স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে এসেছে।

কার্যকরী উৎপাদন ক্ষমতা এবং সমৃদ্ধ ইকোসিস্টেমের জন্য পোশাক উৎসে বিশ্বব্যাপী একটি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র হিসেবে সুপরিচিত বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্প। প্রায় চার হাজারেরও বেশি কারখানায় তৈরিকৃত শার্ট, ট্রাউজার, টি-শার্ট, ডেনিম, জ্যাকেট, সোয়েটারসহ নানা ধরনের নিটওয়্যার ও ওভেন গার্মেন্টস পণ্য রপ্তানি করে থাকে বাংলাদেশ।

চার দিনের এই প্রদর্শনী প্রতিদিন সকাল ১১টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত শুধুমাত্র ব্যবসায়িক দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।