ঢাকা, ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ (বাসস) : বিনিয়োগকারীরা মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নতুন শুল্কের ঘোষণা মেনে নেওয়ার ফলে এবং মার্কিন মুদ্রাস্ফীতির একটি গুরুত্বপূর্ণ সূচক প্রত্যাশার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণভাবে বৃদ্ধি পাওয়ার তথ্য প্রকাশের পর শুক্রবার শেয়ারবাজারে ঊর্ধ্বগতি দেখা গেছে ।
নিউ ইয়র্ক থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি এ খবর জানিয়েছে।
ওয়াল স্ট্রিট টানা তিন দিনের পতনের পর পুনরায় উত্থান করেছে।
সরকারি তথ্যে দেখা গেছে যে ফেডের কাঙ্ক্ষিত মুদ্রাস্ফীতির সূচক পার্সোনাল কনজাম্পশন এক্সপেনডিচারস (পিসিই) মূল্যসূচক আগস্টে দাঁড়িয়েছে ২.৭ শতাংশে, যা জুলাইয়ের ২.৬ শতাংশ থেকে বেড়েছে। এই সংখ্যা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের দুই শতাংশ মুদ্রাস্ফীতি লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি।
কিন্তু এটি বিশ্লেষকদের পূর্বাভাসের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ ছিল, যা বিনিয়োগকারীদের কিছুটা স্বস্তি দিয়েছে যে এ বছর ফেড আরও দু’বার সুদের হার কমানোর পথে থাকবে বলে মনে করেন ই-টোরো ট্রেডিং প্ল্যাটফর্মের মার্কিন বিনিয়োগ বিশ্লেষক ব্রেট কেনওয়েল।
অন্যদিকে, বিনিয়োগকারীরা ট্রাম্পের সাম্প্রতিক শুল্ক পদক্ষেপও মূল্যায়ন করছে।
ট্রাম্প ঘোষণা দিয়েছেন, আগামী ১ অক্টোবর থেকে যুক্তরাষ্ট্রে কারখানা না গড়া পর্যন্ত যে কোনো ব্র্যান্ডেড বা পেটেন্ট করা ওষুধের ওপর ১০০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হবে।
এতে এশিয়ার ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানিগুলোর শেয়ারে বিক্রির চাপ দেখা দিলেও, যুক্তরাষ্ট্রে বিনিয়োগ পরিকল্পনা ঘোষণা করা ব্রিটিশ জায়ান্ট জিএসকে ও অ্যাস্ট্রাজেনেকার শেয়ার বেড়েছে।
মার্কিন প্রতিদ্বন্দ্বী ফাইজার ও মার্ক এবং ফরাসি কোম্পানি সানোফির শেয়ারও উচ্চমুখী হয়েছে।
নতুন শুল্কে ক্ষতিগ্রস্ত অন্যান্য খাতে ভিন্ন চিত্র দেখা গেছে, মার্কিন ট্রাক প্রস্তুতকারক প্যাকার শেয়ার ৫ শতাংশের বেশি বেড়েছে। অথচ আসবাবপত্র খুচরা বিক্রেতা রেস্টোরেশন হার্ডওয়্যারের শেয়ার কমেছে ৪.২ শতাংশ।
অন্য খবরে, মার্কিন বিমান জায়ান্ট বোয়িং ৩.৬ শতাংশ বেড়েছে কারণ ফেডারেল বিমান নিরাপত্তা কর্তৃপক্ষ কিছু নতুন প্লেন সার্টিফিকেশনের ক্ষমতা ফিরিয়ে দিয়েছে।
ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের একটি প্রতিবেদনের পর ভিডিও গেম নির্মাতা ইলেকট্রনিক আর্টস প্রায় ১৫ শতাংশ লাফ দিয়েছে, যেখানে বলা হয়েছে কোম্পানিটি ব্যক্তিমালিকানাধীন হওয়ার পথে।
এদিকে, তেলের দামও বেড়েছে। আগস্টের পর প্রথমবারের মতো ব্রেন্ট প্রতি ব্যারেল ৭০ ডলারের উপরে উঠে গেছে।
ন্যাটোর ও রাশিয়ার মধ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধির সাথে সাথে, রাশিয়ার জ্বালানি রপ্তানির ওপর আরও নিষেধাজ্ঞা আরোপের সম্ভাবনা বৃদ্ধি পেয়েছে।