চট্টগ্রাম বন্দরে তিন মাসে কনটেইনার হ্যান্ডলিং বেড়েছে ১২ শতাংশের বেশি

বাসস
প্রকাশ: ০৭ অক্টোবর ২০২৫, ২১:০৭

চট্টগ্রাম, ৭ অক্টোবর ২০২৫ (বাসস): চলতি অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) চট্টগ্রাম বন্দরে কনটেইনার, কার্গো ও জাহাজ হ্যান্ডলিং আগের অর্থ বছরের একই সময়ের তুলনায় বেড়েছে। 

২০২৫-২৬ অর্থবছরের জুলাই-সেপ্টেম্বরে চট্টগ্রাম বন্দরে ৯ লাখ ২৭ হাজার ৭১৩ টিইইউস (২০ ফুট দীর্ঘ) কনটেইনার হ্যান্ডলিং হয়েছে, যা গত অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ১ লাখ ১ হাজার ১৮৫ টিইইউস বেশি। প্রবৃদ্ধির হার ১২ দশমিক ২৪ শতাংশ।

বন্দর সূত্রে জানা যায়, গত তিন মাসে চট্টগ্রাম বন্দরে কার্গো হ্যান্ডলিং হয়েছে ৩ কোটি ২৯ লাখ ১৯ হাজার ৯৬৬ টন এবং জাহাজ হ্যান্ডলিং হয়েছে ১ হাজার ৩১টি।

বিগত অর্থবছরের তুলনায় চলতি অর্থবছরে কার্গো ও জাহাজ হ্যান্ডলিংয়ের ক্ষেত্রে প্রবৃদ্ধি যথাক্রমে ১৩ দশমিক ৮৮ শতাংশ এবং ৯ দশমিক ২২ শতাংশ।

অপরদিকে নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনালে (এনসিটি) বাংলাদেশ নৌবাহিনী পরিচালিত প্রতিষ্ঠান চিটাগাং ড্রাইডক লিমিটেড (সিডিডিএল) তিন মাসে অর্থাৎ ২০২৫-২৬ অর্থবছরে জুলাই-সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৩ লাখ ৪২ হাজার ৬৪৯ টিইইউস কনটেইনার হ্যান্ডলিং করেছে, যা বিগত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ৪১ হাজার ৭৫৪ টিইইউস বেশি। এই সময়ে কনটেইনার হ্যান্ডলিংয়ে ১৩ দশমিক ৮৮ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে।

২০২৫-২৬ অর্থবছরে ১ম তিন মাসে এনসিটিতে মোট জাহাজ হ্যান্ডলিং হয়েছে ১৭৮টি। বিগত অর্থবছরের চেয়ে ২৬টি জাহাজ বেশি হ্যান্ডলিং হয়েছে। প্রবৃদ্ধি ১৭ দশমিক ১১ শতাংশ। এনসিটিতে ২০২৫-২৬ অর্থবছরের ১ম তিন মাসে কনটেইনার ও জাহাজ হ্যান্ডলিংয়ের পরিমাণ এবং প্রবৃদ্ধি এ যাবৎকালের মধ্যে সর্বোচ্চ। 
পঞ্জিকাবর্ষ হিসেবে ২০২৫-২৬ জানুয়ারি-সেপ্টেম্বর নয় মাসে চট্টগ্রাম বন্দরে ২৫ লাখ ৬৩ হাজার ৪৫০ টিইইউস কনটেইনার হ্যান্ডলিং হয়েছে, যা বিগত অর্থবছরের একই সময়ে চেয়ে ১ লাখ ২১ হাজার ৬২৫ টিইইউস বেশি বা প্রবৃদ্ধির হার ৪ দশমিক ৯৮ শতাংশ।
একইভাবে বিগত নয় মাসে চট্টগ্রাম বন্দরে কার্গো ও জাহাজ হ্যান্ডলিংয়েও সাফল্য রয়েছে। এ সময় মোট কার্গো হ্যান্ডলিং হয়েছে ১০ কোটি ২৭ লাখ ৪ হাজার ২৫৯ টন এবং জাহাজ হ্যান্ডলিং হয়েছে ৩ হাজার ১৬১টি। কার্গো ও জাহাজ হ্যান্ডলিংয়ের ক্ষেত্রে প্রবৃদ্ধি যথাক্রমে ১১ দশমিক ৭০ এবং ১০ দশমিক ৩৭ শতাংশ।

বন্দর ব্যবহারকারীরা বলছেন, বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে যুদ্ধ, ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনা ইত্যাদি বিশ্ব অর্থনীতির প্রত্যাশিত গতিকে মন্থর করেছে। পাশাপাশি পরিবহন ধর্মঘট, কাস্টমসে কলম বিরতি এবং শাটডাউনের মতো ঘটনায় বন্দরের কার্যক্রম ব্যাহত হয়েছে। তারপরও বন্দরের কর্মকর্তা-কর্মচারী, শ্রমিক ও সংশ্লিষ্ট অংশীজনের একান্ত সহযোগিতায় বন্দরের অপারেশনাল কার্যক্রমে তেমন প্রভাব ফেলেনি, বরং কনটেইনার, কার্গো ও জাহাজ হ্যান্ডলিং বেড়েছে এবং রপ্তানি আয়ে ইতিবাচক প্রবৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে।

চট্টগ্রাম বন্দরের এক কর্মকর্তা বলেন, চট্টগ্রাম বন্দর বাংলাদেশের অর্থনীতির মূল চালিকা শক্তি বা অর্থনীতির হৃৎপিণ্ড হিসেবে কাজ করে। জাতীয় রাজস্বের সিংহভাগ জোগান হয় এ বন্দর থেকেই। বন্দরের আধুনিকায়ন, দক্ষতার সাথে কার্গো ও কনটেইনার হ্যান্ডলিং কার্যক্রম পরিচালনার মাধ্যমে জাহাজের গড় অবস্থানকাল হ্রাস এবং জেটি ও ইয়ার্ড সুবিধাদি সম্প্রসারণসহ নিরাপদ ও দক্ষ বন্দর ব্যবস্থাপনা নিশ্চিতকরণ এবং জাতীয় আমদানি-রপ্তানিতে সক্রিয় ভূমিকা পালন করাই হলো বন্দরের লক্ষ্য।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
ইলিশ সংরক্ষণে চাঁদপুরে কোস্ট গার্ডের জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম
গুণগতমান ঠিক রেখে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রকল্প সম্পন্নের নির্দেশ সেতু সচিবের
নিম্নমানের কাগজে পাঠ্যপুস্তক মুদ্রণ করে সরকারি অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে দুদকের অভিযান
শ্রমিক জাগরণের লক্ষ্যে ঢাকায় মহাসমাবেশ সফল করতে শিমুল বিশ্বাসের আহবান
ডিএমপিতে সেপ্টেম্বর মাসে সংক্ষিপ্ত বিচারে ২৫৭টি মামলা নিষ্পত্তি
দ্বিপক্ষীয় প্রতিরক্ষা সহযোগিতা জোরদারে বাংলাদেশ ও তুরস্ক আলোচনা
শিক্ষার্থী হত্যা : সাবেক ধামরাই উপজেলা চেয়ারম্যান মোহাদ্দেছসহ পাঁচজন রিমান্ডে
লড়াই করে হারল বাংলাদেশ
ইউনেস্কোর সাধারণ পরিষদের সভাপতি পদে বাংলাদেশের ঐতিহাসিক বিজয়ে শিক্ষা উপদেষ্টার অভিনন্দন 
গ্রিস উপকূলে নৌকাডুবিতে ৪ অভিবাসী নিহত
১০