বাসস
  ২১ জানুয়ারি ২০২৩, ১৯:০৭

পরিবর্তিত অর্থনৈতিক বাস্তবতা মোকাবেলায় সবাইকে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান ডিসিসিআই সভাপতির

ঢাকা, ২১ জানুয়ারি, ২০২৩ (বাসস): ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) সভাপতি ব্যারিস্টার মো. সমীর সাত্তার আজ বর্তমান বৈশ্বিক অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে পরিবর্তিত অর্থনৈতিক বাস্তবতা মোকাবেলায় সংশ্লিষ্ট সকলকে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘পরিবর্তিত অর্থনৈতিক বাস্তবতা মোকাবেলায় আমি সবাইকে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানাব।’
রাজধানীর মতিঝিলে ডিসিসিআই আয়োজিত ‘মিট দ্য প্রেস’ অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন ডিসিসিআই সভাপতি।
তিনি বলেন, শুধু বাংলাদেশ নয়, সারা বিশ্ব এখন  একটি কঠিন সময় পার করছে। 
তিনি আরো বেলন, ‘বিশ্বব্যাপী ব্যবসার পরিবেশও দিন দিন চ্যালেঞ্জিং হয়ে উঠছে।’
সমীর বলেন, এমনকি জাপানের মতো উন্নত অর্থনীতিও গত চার দশকে সর্বোচ্চ মুদ্রাস্ফীতির সম্মুখীন হচ্ছে, যা ইঙ্গিত দেয় যে, এই ধরনের পরিস্থিতিতে বেঁচে থাকা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হবে।
২০২৩ সালের এই চ্যালেঞ্জিং বছরের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন,  বেসরকারী খাত ও ব্যবসায়ে চাকরি ছাঁটাই না করে সীমিত লাভ বজায় রেখে তাদের কাজ-কর্ম বজায় রাখার দিকে মনোনিবেশ করতে হবে,  যদিও মাইক্রোসফ্ট এবং গুগলের মতো বৈশ্বিক টেক জায়ান্টগুলো সাম্প্রতিক সময় বিশাল চাকরি ছাঁটায় করেছে।
এক প্রশ্নের জবাবে সমীর বলেন, যদিও কেন্দ্রীয় ব্যাংক প্রতি ছয় মাসে একবার মুদ্রানীতি বিবৃতি (এমপিএস) প্রকাশ করে, তবে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক এবং অভ্যন্তরীণ ক্ষেত্রে ক্রমাগত পরিবর্তিত প্রেক্ষাপট এবং পরিস্থিতি বিবেচনা করে দেশে এর সংখ্যা আরো বাড়ানো উচিত। 
বর্তমান সরকারের নীতির সাথে পরিবর্তিত অর্থনৈতিক বাস্তবতাকে মোকাবেলা করা কিছুটা কঠিন হবে এবং এইভাবে এটি পরিবর্তিত প্রেক্ষাপটের সাথে সামঞ্জস্য করা যেতে পারে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক এলসি খোলার বিষয়ে নজরদারির জন্য বর্তমান এমপিএসে কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে এবং এ বিষয়ে তারা ইতিমধ্যেই পবিত্র রমজান মাসে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের সুষ্ঠু আমদানি নিশ্চিত করার জন্য এলসি মার্জিন কমানোর জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করেছে।
ব্যবসার উপর সাম্প্রতিক গ্যাসের শুল্ক বৃদ্ধির সম্ভাব্য প্রভাব সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে- ডিসিসিআই সভাপতি বলেন, এই ধরনের বৃদ্ধি ক্ষুদ্র ও ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের উপর তাৎক্ষণিক প্রভাব ফেলতে পারে।
তিনি অবশ্য মতামত দেন যে, ব্যবসার উপর প্রভাব এককভাবে মোকাবেলা করা সম্ভব নয়, বরং সংশ্লিষ্ট সকলকে যথাযথ ভূমিকা পালন করতে হবে।
ডিসিসিআই সভাপতি তার পাওয়ার-পয়েন্ট প্রেজেন্টেশনে ১০টি গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্র তুলে ধরেন, যা হল- কুটির শিল্প, ক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগ (সিএমএসএমইএস); দক্ষতা উন্নয়ন; রপ্তানি বৈচিত্র্যকরণ; ব্যক্তিগত বিনিয়োগ এবং এফডিআই; আর্থিক খাত; এলডিসি গ্রাজুয়েশন; অর্থনৈতিক কূটনীতি; অবকাঠামো এবং স্মার্ট বাংলাদেশ।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে ডিসিসিআই সিনিয়র সহ-সভাপতি এস এম গোলাম ফারুক আলমগীর (আরমান), পরিচালক ও সাবেক সহ-সভাপতি হোসেন এ শিকদার, পরিচালক রাজী এইচ চৌধুরী, পরিচালক এম মোশাররফ হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।