শিরোনাম
ঢাকা, ১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ (বাসস): প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি খাতের শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান বলেছেন, বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) সারাদেশে আরো ১০ হাজার কারখানা পরিদর্শন করবে।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিডা ইতোমধ্যেই ৫,২০৬ টি কারখানা পরিদর্শন করেছে। কর্তৃপক্ষ আরো ১০ হাজার কারখানা পরিদর্শন করার পরিকল্পনা করেছে। কারখানা, শিল্প ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে দুঘর্টনা রোধে ও কাজের সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করতে গঠিত জাতীয় কমিটির দ্বিতীয় বৈঠক শেষে তিনি এ কথা বলেন।
সচিবালয়ের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে কারখানা পরিদর্শন অধিদফতর থেকে জনবল বৃদ্ধির মাধ্যমে কর্তৃপক্ষ গঠনের বিষয় নিয়েও আলোচনা হয়।
তিনি বলেন, সরকার বিভিন্ন কারখানা, শিল্প ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে দুর্ঘটনা প্রতিরোধ এবং নিরাপদ কাজের পরিবেশ সৃষ্টি করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। বৈঠকে জানানো হয়, পরিদর্শনকৃত মোট কারখানার মধ্যে ১৭টি কারখানায় আগামী তিন মাসের মধ্যে সার্বিক পরিস্থিতির উন্নতি করতে সুযোগ দেয়া হয়েছে। তিনি আরও জানান, কোন কারখানায় নূন্যতম উন্নতি না হলে, সেগুলো বন্ধ করে দেয়া হবে।
তিনি বলেন, ২০৬ টি কারখানাকে ৬ মাসের সুযোগ দেয়া হয়েছে। এ সকল কারখানা ক্রাইটেরিয়ার ৫০ ভাগ স্কোর করেছে। নিদিষ্ট সময়ের মধ্যে পরিবেশের উন্নতি না হলে কোম্পানি বন্ধ করে দেয়া হবে।
তিনি বলেন, পরিদর্শনকৃত কারাখানাগুলোকে নিদিষ্ট সময়ের মধ্যে তাদের ত্রুটি সংশোধনের নিদের্শ দেয়া হবে। একই সময়ে সংশ্লিষ্ট সকল কর্তৃপক্ষ বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং স্থানীয় জনপ্রতিনিধিকে পরিদর্শন ও প্রয়োজনীয় নির্দেশনা সম্পর্কে অবহিত করতে হবে।
সালমান বলেন, ২০২০ সালে বাংলাদেশ ন্যাশনাল বিল্ডিং প্রণীত হয়েছে এবং এটির সফল বাস্তবায়নের লক্ষ্যে বাংলাদেশ বিল্ডিং রেগুলেটরি অথরিটি (বিবিআরএ) গঠন করা জরুরি।
তিনি আশা প্রকাশ করেন, বিবিআরএ’র তত্ত্বাবধানে সকল ডিজাইন অনুমোদন এবং ভবন নিমার্ণ কাজ তদারকি করা হলে বর্তমান পরিস্থিতির উন্নতি হবে। বৈঠকে সালমান এফ রহমান বিবিআরএ গঠন করতে গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের প্রতি আহবান জানান।
গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি (অতিরিক্ত সচিব) বলেন, আগামী তিন মাসের মধ্যে এ বিষয়ে এ্যাকশন প্লান তৈরি করা হবে এবং বিবিআরএ গঠন ও বাস্তবায়নে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া হবে।
বৈঠকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন (এলজিআরডি) ও সমবায় মন্ত্রী তাজুল ইসলাম, ঢাকা দক্ষিন সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মুন্নুজান সুফিয়ান উপস্থিত ছিলেন।