বাসস
  ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১৮:৪৬

সৌদি আরবে ডিএপি সার কারখানা স্থাপনে সম্ভাব্যতা যাচাই সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত

ঢাকা, ১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ (বাসস) : সৌদি আরবে ডাই-এমোনিয়াম ফসফেট (ডিএপি) সার কারখানা স্থাপনের লক্ষ্যে সম্ভাব্যতা যাচাইয়ে বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ কর্পোরেশন (বিসিআইসি) ও হানওয়া সৌদি কনস্ট্রাকশন কোং লিমিটেডের (এইচএসসিসিএল)  মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে।
আজ বুধবার রাজধানীর মতিঝিলস্থ শিল্প ভবনের (শিল্প মন্ত্রণালয়) সম্মেলন কক্ষে এক অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানে এ সমঝোতা স্মরক (এমওইউ) স্বাক্ষরিত হয়।
শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন এমওইউ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি এবং শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। 
শিল্পসচিব জাকিয়া সুলতানার সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে সম্মানীত অতিথি হিসেবে সৌদি আরবের রিয়াদ হতে ভার্চুয়ালী যুক্ত হন সৌদি আরবে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী এবং সৌদি প্রতিষ্ঠান এইচএসসিসি’র সিনিয়র জনসংযোগ পরিচালক আব্দুল আজিজ ডুহাইম। 
শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন সংস্থা বিসিআইসি’র চেয়ারম্যান মোঃ সাইদুর রহমানসহ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, শিল্প মন্ত্রণালয় এবং অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাবৃন্দ এ সময়  উপস্থিত ছিলেন।
এ সমঝোতা স্মারকে বাংলাদেশের পক্ষে স্বাক্ষর করেন বিসিআইসি’র সিনিয়র মহাব্যবস্থাপক (প্রশাসন) সমীর বিশ্বাস এবং হানওয়া সৌদি কনস্ট্রাকশন কোম্পনি লিমিটেডের পক্ষে সিনিয়র জনসংযোগ পরিচালক আব্দুল আজিজ ডুহাইম।
সমঝোতা স্মারক অনুযায়ী এইচএসসিসি একটি ডিএপি সার কারখানা প্রতিষ্ঠার সম্ভাব্যতা যাচাই করে দেখবে। ২০২৪ সালের মধ্যে এইচএসসিসি তাদের অর্থায়নে এ সম্ভাব্যতা যাচাই প্রকল্প সম্পাদন করবে। বিসিআইসি প্রয়োজনীয় তথ্য উপাত্ত দিয়ে তাদের সহায়তা করবে। এ সমঝোতা স্মারকের উদ্দেশ্য হলো উভয় পক্ষের মাঝে আলাপ আলোচনা ও সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের মাধ্যমে একটি সুনির্দিষ্ট চুক্তির পথরেখা তৈরি করা।
এমওইউ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে শিল্পমন্ত্রী বলেন, ‘২০১৮ সালে প্রধানমন্ত্রীর সৌদি আরব সফরের সময় ডিএপি সার কারখানা স্থাপনের জন্য একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছিল। আজ আমরা সৌদি আরবের উপযুক্ত কোনো জায়গায় একটি ডিএপি সার কারখানা স্থাপনের লক্ষ্যে সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের জন্য এই সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেছি।’
তিনি বলেন, ‘কৃষি মন্ত্রণালয়ের চাহিদা অনুযায়ী বাংলাদেশে ডিএপি সারের চাহিদা সাড়ে ১৬ লাখ মেট্রিক টন। চট্টগ্রাম ডিএপি সার কারখানায় আমরা উৎপাদন করি প্রায় ১ লাখ মেট্রিক টন। বাকীটা আমদানি করতে হয়। বাংলাদেশে পর্যাপ্ত প্রাকৃতিক গ্যাস নেই এবং প্রয়োজনীয় কাঁচামাল রক ফসফেট ও ফসফরিক এসিড নেই। কাজেই সৌদি আরবে কারখানা স্থাপন যৌক্তিক হবে। কারখানা স্থাপন প্রক্রিয়া যৌথ বিনিয়োগে হতে পারে। আমরা আলাপ আলোচনা করে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিব।’
আজকের এই সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর ও বাস্তবায়নের মাধ্যমে বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের মধ্যকার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরো জোরদার হবে বলেও শিল্পমন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন।