বাসস
  ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ২০:৪৮

চিটাগাং চেম্বার ও বেঙ্গল চেম্বার প্রতিনিধি দলের মতবিনিময়

চট্টগ্রাম, ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ (বাসস): চিটাগাং চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি নেতৃবৃন্দের সাথে ভারতীয় বেঙ্গল চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি সুবির চক্রবর্তীর নেতৃত্বে ১৬ সদস্য বিশিষ্ট এক বাণিজ্য প্রতিনিধি দল আজ সকালে ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারস্থ বঙ্গবন্ধু কনফারেন্স হলে মতবিনিময় সভায় মিলিত হন। 
চিটাগাং চেম্বার সভাপতি মাহবুবুল আলমের সভাপতিত্বে চেম্বারের প্রাক্তন সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার আলী আহমেদ ও পরিচালক মাহফুজুল হক শাহ, উইম্যান চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি’র সিনিয়র সহ-সভাপতি আবিদা মোস্তফা, কর্ণফুলী শিপ বিল্ডার্স লিমিটেডের এডভাইজর কনসালট্যান্ট ক্যাপ্টেন আমিরুল ইসলাম, প্রান্তিক গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার মো. গোলাম সারওয়ার, লুব-রেফ’র পরিচালক মো. সালাউদ্দিন ইউসুফ ও জুনিয়র চেম্বার ইন্টারন্যাশনাল সভাপতি মো. টিপু সুলতান শিকদার বক্তব্য রাখেন। অন্যদের মধ্যে চেম্বার পরিচালক জহিরুল ইসলাম চৌধুরী (আলমগীর), অঞ্জন শেখর দাশ, মো. ইফতেখার ফয়সাল, মোহাম্মদ আদনানুল ইসলাম ও মোহাম্মদ নাসিরুল আলম (ফাহিম), রিলায়েন্স শিপিং এন্ড লজিস্টিক লিমিটেডের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ রাশেদ, বিএসএম গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবু সুফিয়ান চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।
মত বিনিময়কালে চিটাগাং চেম্বার সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, ভৌগোলিক ও অর্থনৈতিকভাবে দু’দেশের মধ্যে অনেক সাদৃশ্য ও গভীর সম্পর্ক রয়েছে যা আমাদের ব্যবসায়িক সম্পর্ক সম্প্রসারণে ভূমিকা রাখবে। সেই জন্য আমাদের সড়ক, রেল ও বিমান যোগাযোগ বৃদ্ধি করা প্রয়োজন। আমাদের ফরেন ডিরেক্ট ইনভেস্টমেন্ট (এফডিআই) পলিসি অত্যন্ত লাভজনক। ত্রিপুরাকে ঘিরে আমাদের অর্থনৈতিক কর্মকা-কে আরো এগিয়ে নিতে পারলে উভয় দেশ লাভবান হবে। দু’দেশের মধ্যে অনেক বাণিজ্য বৈষম্য রয়েছে, ব্যবসায়ীদের যৌথ বিনিয়োগের মাধ্যমে এই বৈষম্য দূর করা সম্ভব। তিনি ভারতের বিনিয়োগকারীদেরকে বাংলাদেশের বৃহৎ শিল্পাঞ্চল মিরসরাই শিল্পনগরে বিনিয়োগ ও শিল্প কারখানা স্থাপনের আহবান জানান। 
বেঙ্গল চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি সুবির চক্রবর্তী বলেন, ভারত ও বাংলাদেশের কালচার একই রকম যা যৌথ বিনিয়োগের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। অনেক ক্ষেত্রে কালচার মিল না থাকলে যৌথ বিনিয়োগ দীর্ঘস্থায়ী হয় না। 
তিনি বলেন, চট্টগ্রাম বন্দর শুধু বাংলাদেশের গেটওয়ে না, এটা গেটওয়ে অব ইস্ট। তার সাথে ভারতের সেভেন সিস্টারসসহ পার্শ্ববর্তী অঞ্চলগুলোকে যুক্ত করে ইস্টার্ন রিজিওন কানেক্টিভিটি বৃদ্ধি করে উভয় দেশ লাভবান হতে পারে। এছাড়া চিটাগাং চেম্বার এবং বেঙ্গল চেম্বার যৌথভাবে একটা ইস্টার্ন রিজিওন নেটওয়ার্ক স্থাপনের লক্ষ্যে কাজ করতে পারে। 
তিনি বলেন, পশ্চিমবঙ্গের ব্যবসায়ীরা বাংলাদেশসহ আশেপাশের দেশগুলোতে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে যৌথ বিনিয়োগে আগ্রহী। বাংলাদেশ এবং ভারতের অর্থনৈতিক কর্মকা- নদীর ধার এবং সাগরতীর কেন্দ্রিক। তাই রিভার ক্রুজ, আর্টিফিসিয়াল ইন্টিলিজেন্স, লেদার প্রসেসিং, বিদ্যুৎ, নবায়নযোগ্য জ্বালানি এবং স্বাস্থ্য খাতে বিনিয়োগের সম্ভাবনার কথা উল্লেখ করেন তিনি। এছাড়া বাংলাদেশের সাথে দীর্ঘমেয়াদী নেটওয়ার্কের ভিত্তিতে আসিয়ানভূক্ত দেশগুলোতে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বাড়াতে লুক-ইস্ট পলিসির সম্ভাবনার কথা তুলে ধরেন।  
চেম্বারের প্রাক্তন সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার আলী আহমেদ বলেন, বাংলাদেশের সাথে ভারতের কোন বৈপরীত্য নেই, যার প্রমাণ হলো দু’দেশের মধ্যে শান্তিপূর্ণ করিডোর বিনিময়। এছাড়া দু’দেশ চাইলে কোন সমস্যাই সমস্যা নয়। তিনি উভয় দেশের মধ্যে হসপিটালিটি ও ট্যুরিজম সেক্টরের বিনিয়োগের প্রচুর সম্ভাবনার কথা উল্লেখ করেন।  
অন্যান্য বক্তারা বলেন, ভাষা ও সংস্কৃতিগত মিল থাকায় দুই অঞ্চলের মধ্যে যথেষ্ট মিল রয়েছে। এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে উভয় দেশের ব্যবসায়ীরা যৌথ বিনিয়োগের মাধ্যমে ব্যবসা-বাণিজ্যের সম্প্রসারণ করতে পারে। কানেক্টিটিভি বৃদ্ধির মাধ্যমে উভয় দেশের ব্যবসায়ীরা ম্যানুফ্যাকচারিং খাতসহ এসএমই খাতের বিনিয়োগের সম্ভাবনার কথা উল্লেখ করেন তাঁরা।