বাসস
  ১৪ জুন ২০২৩, ১৭:০৩

বাগেরহাটে কোরবানির জন্য ১ লাখ ২ হাজার পশু প্রস্তুত : আকর্ষণ ১১৮৩ কেজির সুলতান

//মো. শাহ আলম টুকু //
বাগেরহাট, ১৪ জুন, ২০২৩ (বাসস): জেলার ৮ হাজার খামারে ১ লাখ ২ হাজার পশু কোরবানির জন্য প্রস্তুত রয়েছে। তবে এবার কোরবানির হাট কাঁপাতে আসছে জেলার সবচেয়ে বড় পশু “সুলতান”। ১০ ফুট লম্বা ও ৬ফুট  উচ্চতার ১১৮৩ কেজি ওজনের এ ষাঁড়টির দাম হাঁকিয়েছেন ১০ লাখ টাকা। এই  বিশাল আকৃতির ষাঁড় দেখতে প্রতিদিন উৎসুক জনতা ভিড় করছেন রামপালে উপজেলার বাগা গ্রামের কামাল এগ্রো পার্কের খামারে। সুলতানের মালিকের দাবি কোরবানীতে ন্যায্যমুল্যে পেলে বিক্রি করে দেয়া হবে।          
খামারে গিয়ে দেখা গেছে, উৎসুক জনতার ভিড়। কাছে গেলেই খামারে দেখা মিলবে দেশী-বিদেশী বড়-বড় গরু। কোরবানির ঈদের জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে ৩০টি পশু । প্রতিটি গরুর ওজন সাড়ে ৩০০ থেকে ১২০০ কেজি । মাত্র ২ বছর ৩ মাস লালন পালনে খামারে সুলতানের লাইভ ওয়েটে ১১৮৩ কেজি ওজন হয়েছে। সুঠমদেহের অধিকারী তাই তার নাম রাখা হয়েছে সুলতান। প্রতিদিন এক থেকে দেড় হাজার টাকার গো-খাদ্য খাওয়ানো হয় সুলতানকে।  
বাগেরহাটের রামপালে উপজেলার বাগা গ্রামের কামাল এগ্রো পার্কের মালিক শেখ কামাল হোসেন বলেন, শখের বসে করোনার সময়ে ফকিরহাটের বেতাগা পশুর হাট থেকে এক বছর বয়সী হলিস্টিন ফ্রিজিয়ান জাতের এ ষাড়টি ১ লাখ ৩৯ হাজার টাকায় কেনা হয়। সম্পুর্ন অর্গানিক উপায়ে সঠিক পদ্ধতিতে পশুটি পালন করা হচ্ছে। মাত্র ২ বছর ৩ মাসে সুলতানের  লাইভ ওজন ১১৮৩ কেজি। প্রতিদিন এক থেকে দেড় হাজার টাকার খড়, ঘাস ও ভুষিসহ দেশীয় খাবার খায়ানো হয়।  
তিনি আরও বলেন,শখের বসে পশু লালন পালন করা হলেও বর্তমানে বাণিজ্যিকভাবে গড়ে তোলা খামারের সবচেয়ে বড় গরু সুলতানকে ঈদে ন্যায্য মুল্যে পেলে বিক্রি করে দেয়া হবে। এই খামারে মোট ৪৮টি পশু রয়েছে।
প্রতিবেশী মো. মামুন  বলেন, বিশাল আকৃতির গরু সচরাচর আমাদের এলাকায় দেখা যায় না। তাই বিভিন্ন এলাকা থেকে মানুষ এই সুলতানকে দেখতে আসছেন। দর-দামে এখনও মিলছে না। তবে ঈদের দিন যতই ঘনিয়ে আসবে ক্রেতারা  সুলতানকে দেখতে ভিড় করবে।  
বাগেরহাট রামপাল উপজেলার প্রাণিসম্পদ বিভাগের  প্রাথমিক পশু  চিকিৎসক মো. এনামুল আকুঞ্জি বলেন, দেশী ও বিদেশী জাতের বিভিন্ন গরু লালন ও পালন খামারীদের নানা পরামর্শ দেয়া হয়। আমার জানামতে, রামপাল উপজেলায় এতবড় গরু আরও কোথাও নেই।  
বাগেরহাট  জেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ শরিফুল ইসলাম বলেন, এবার জেলায় ৮ হাজার খামারে ১ লাখ ২ হাজার পশু কোরবানির জন্য প্রস্তুত রয়েছে। যা আমার জানামতে জেলার মধ্যে সবচেয়ে বড় গরু সুলতান।