বাসস
  ২৩ জুলাই ২০২৩, ২১:০৪

গণসংগীত মানেই ফকির আলমগীর : সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী

ঢাকা, ২৩ জুলাই, ২০২৩ (বাসস): সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেছেন, গণসংগীত মানেই ফকির আলমগীর। বাংলাদেশের গণসংগীতের জনক তিনি। তার গানে ফুটে উঠেছে গণমানুষের সুখ-দুঃখ, হাসি-কান্না, আনন্দ-বেদনা, সংগ্রামের নিখুঁত প্রতিচ্ছবি।
প্রতিমন্ত্রী আজ রোববার রাজধানীর বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালা মিলনায়তনে জননন্দিত গণসংগীত শিল্পী ফকির আলমগীরের দ্বিতীয় প্রয়াণ বার্ষিকী উপলক্ষ্যে ঋষিজ শিল্পী গোষ্ঠী আয়োজিত ‘কথা-গানে ফকির আলমগীরকে স্মরণ’ ও ‘স্মৃতিপদক প্রদান’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, পপ গানের স¤্রাট বলতে আমরা আজম খানকে বুঝি। একইভাবে রবীন্দ্র সংগীতের স্বনামধন্য শিল্পী সনজীদা খাতুন, নজরুল সংগীতের ক্ষেত্রে যেমন ফিরোজা বেগম। তেমনি গণসংগীতের জনক ফকির আলমগীর। ফকির আলমগীরের গান সাধারণ মানুষের হৃদয়কে স্পর্শ করেছে।
কে এম খালিদ বলেন, ফকির আলমগীর বিহীন পহেলা বৈশাখ ও গণসংগীত সংশ্লিষ্ট যে কোনো আয়োজন পূর্ণতা পায় না। ফকির আলমগীর এর নামে আজ রাজধানীর একটি রাস্তার নামকরণ করা হয়েছে জেনে প্রতিমন্ত্রী আনন্দ প্রকাশ করে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়রের প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান। 
তিনি বলেন, পর্যায়ক্রমে বিভিন্ন প্রখ্যাত সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বদের নামে যাতে ঢাকার বিভিন্ন সড়কের নামকরণ করা হয়, সেজন্য মেয়রকে চিঠি দিয়ে অনুরোধ জানাবেন। 
ঋষিজ শিল্পী গোষ্ঠীর সভাপতি বেগম সুরাইয়া আলমগীরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন এমপি। বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুছ, বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ও অভিনেতা মামুনুর রশীদ এবং পল্লীমা সংসদের সভাপতি হাফিজুর রহমান ময়না। 
শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন ঋষিজ শিল্পী গোষ্ঠীর সহ-সভাপতি ফকির সিরাজ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন বাংলাদেশ গণসংগীত সমন্বয় পরিষদ এর সাধারণ সম্পাদক মানজার চৌধুরী সুইট। অনুষ্ঠানে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের সুরকার ও সংগীত পরিচালক এবং কণ্ঠযোদ্ধা সুজেয় শ্যামকে প্রথমবারের মতো প্রবর্তিত ‘ফকির আলমগীর স্মৃতিপদক’ প্রদান করা হয়। সাংস্কৃতিক পর্বে আবৃত্তি পরিবেশন করেন বিশিষ্ট আবৃত্তিশিল্পী লায়লা আফরোজ, ড. শাহাদাৎ হোসেন নিপু, রফিকুল ইসলাম ও মাসুম আজিজুল বাসার। একক সংগীত পরিবেশন করেন শিল্পী ফাহিম হোসেন চৌধুরী ও বিজন চন্দ্র মিস্ত্রী। দলীয় সংগীত পরিবেশন করে গণসংগীত দল ক্রান্তি, উদীচী, বহ্নিশিখা, সত্যেন সেন শিল্পী গোষ্ঠী, পঞ্চভাস্কর, আনন্দন, ভিন্নধারা, উজান, সমন্বর, সুরসাগর, সুরতাল, উঠোন ও ঋষিজ শিল্পী গোষ্ঠী।