ঢাকা, ২৬ জুলাই, ২০২৫ (বাসস) : যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা জানিয়েছে, ডোনাল্ড ট্রাম্পের অধীনে ফেডারেল কর্মীসংখ্যা হ্রাসের বৃহৎ উদ্যোগের অংশ হিসেবে সংস্থাটি প্রায় ৩,৯০০ কর্মী করতে চলেছে, যদিও একই সময়ে প্রেসিডেন্ট মানুষসহ চাঁদ ও মঙ্গলে অভিযানের পরিকল্পনাকে অগ্রাধিকার দিচ্ছেন।
ওয়াশিংটন থেওেক এএফপি জানায়, নাসা একটি ই-মেইল বিবৃতিতে জানিয়েছে, তাদের ‘বিলম্বিত পদত্যাগ কর্মসূচি’র দ্বিতীয় দফায় প্রায় ৩,০০০ কর্মী অংশ নিয়েছেন, শুক্রবার রাতে যার সময়সীমা শেষ হয়।
প্রথম দফায় অংশগ্রহণকারী ৮৭০ জন ও স্বাভাবিক কর্মী প্রস্থানের সঙ্গে মিলিয়ে হিসেব করলে দেখা যাচ্ছে, ট্রাম্প জানুয়ারিতে দায়িত্ব নেওয়ার আগে নাসার সিভিল সার্ভেন্ট কর্মীসংখ্যা ১৮,০০০-এর কিছু বেশি থাকলেও তা এখন প্রায় ১৪,০০০-এ নেমে আসছে, অর্থাৎ ২০ শতাংশেরও বেশি হ্রাস পাচ্ছে।
বিলম্বিত পদত্যাগ কর্মসূচির আওতায় যারা ছাড়ছেন, তারা নির্ধারিত একটি প্রস্থানের তারিখ পর্যন্ত প্রশাসনিক ছুটিতে থাকবেন। সংস্থার এক মুখপাত্র জানান, এই সংখ্যাটি সামনের কয়েক সপ্তাহে কিছুটা কমবেশি হতে পারে।
নাসার বিবৃতিতে বলা হয়, ‘আমরা একটি অধিকতর দক্ষ ও সুশৃঙ্খল সংস্থায় পরিণত হওয়ার প্রয়াসে ভারসাম্য রক্ষা করছি, এবং চাঁদ ও মঙ্গলের মতো অভিযানের মাধ্যমে অনুসন্ধান ও উদ্ভাবনের ‘সোনালি যুগ’ বজায় রাখার সক্ষমতা ধরে রাখাটাই আমাদের জন্য অগ্রাধিকার।’
চলতি বছরের শুরুর দিকে ট্রাম্প প্রশাসনের প্রস্তাবিত নাসা বাজেটে বিজ্ঞান ও জলবায়ু কর্মসূচি ব্যাপকভাবে কাটছাঁট করে চাঁদে প্রত্যাবর্তন এবং মঙ্গলে অভিযানের বিষয়গুলোকে কেন্দ্রে রাখা হয়।
হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, তারা ‘চীনের আগে আবার চাঁদে ফিরে যাওয়া এবং মঙ্গলে প্রথম মানব পাঠানোর’ বিষয়টিকে গুরুত্ব দিচ্ছে। চীন ২০৩০ সালের মধ্যে তাদের প্রথম মানুষসহ চন্দ্রাভিযান বাস্তবায়নের লক্ষ্যে এগোচ্ছে, আর যুক্তরাষ্ট্রের ‘আর্টেমিস’ কর্মসূচি বারবার বিলম্বের মুখে পড়ছে।
এখন পর্যন্ত নাসা একটি ‘অ্যাক্টিং অ্যাডমিনিস্ট্রেটর’-এর অধীনে চলছে। সংস্থার নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের পছন্দ ছিলেন টেক ধনকুবের জ্যারেড আইজ্যাকম্যান। ট্রাম্পের সাবেক উপদেষ্টা ইলন মাস্ক তাকে সমর্থন দিলেও শেষ পর্যন্ত ট্রাম্প নিজে বাতিল করে দেন।