ঢাকা, ২৭ জুলাই, ২০২৫ (বাসস) : কয়েকদিন ধরে চলা সীমান্ত সংঘর্ষের অবসান ঘটাতে ‘দ্বিপাক্ষিক সংলাপ’ শুরু করতে নীতিগতভাবে সম্মত হয়েছে থাইল্যান্ড।
শনিবার রাতে ব্যাংকক জানায়, তারা নমপেনের সঙ্গে যুদ্ধবিরতিতে রাজী। দুদেশের মধ্যে চলমান সংঘর্ষে এ পর্যন্ত অন্তত ৩৩ জন নিহত হয়েছে।
যুক্তরাজ্যের টার্নবেরি থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি এ খবর জানায়।
থাইল্যান্ডের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই বিবৃতি দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বক্তব্যের পর। ট্রাম্প জানান, তিনি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ দুটির নেতার সঙ্গেই কথা বলেছেন এবং উভয়পক্ষ দ্রুত যুদ্ধবিরতি ও শান্তি আলোচনায় বসতে সম্মত হয়েছে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্স-এ প্রকাশিত বিবৃতিতে থাই পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নিশ্চিত করেছে যে ট্রাম্প ও থাইল্যান্ডের ভারপ্রাপ্ত প্রধানমন্ত্রী ফুমথাম ওয়েচায়াচাইয়ের মধ্যে ফোনালাপ হয়েছে।
আরো জানানো হয়, ‘থাইল্যান্ড নীতিগতভাবে যুদ্ধবিরতি বাস্তবায়নে সম্মত। তবে এ ব্যাপারে কম্বোডিয়ার আন্তরিক মনোভাব দেখতে চায় থাই সরকার।’
মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ফুমথাম ট্রাম্পকে অনুরোধ করেছেন ‘কম্বোডিয়া পক্ষকে জানাতে যে থাইল্যান্ড যত দ্রুত সম্ভব দ্বিপাক্ষিক সংলাপ আহ্বান করতে চায়, যাতে যুদ্ধবিরতির জন্য পদক্ষেপ ও প্রক্রিয়া নির্ধারণ করা যায় এবং শেষ পর্যন্ত সংঘাতের শান্তিপূর্ণ সমাধান সম্ভব হয়।’
এর আগে শনিবার স্কটল্যান্ড সফরকালে ট্রাম্প তার ট্রুথ সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মে পোস্ট করে জানান, তিনি কম্বোডিয়া ও থাইল্যান্ডের দুই নেতার সঙ্গে কথা বলেছেন এবং দুই পক্ষ ‘তাৎক্ষণিকভাবে বৈঠকে বসতে এবং দ্রুত যুদ্ধবিরতি ও পরবর্তীতে শান্তি প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে রাজী হয়েছে।’
থাই ও কম্বোডিয়ান সেনারা তিন দিন ধরে দু’দেশের যৌথ সীমান্তে সংঘর্ষে লিপ্ত রয়েছে। এতে ১ লাখ ৫০ হাজারেরও বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে।